সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতার সমাধান ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়কটি মাত্র সাড়ে ৮ কিলোমিটারের। ২০১৮ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ৭ বছর ২ মাসে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪ কিলোমিটার সড়কের। বাকি আরও সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ।
তবে প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিও) নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ দাবি করেছেন, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ ভাগ। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে।
সিডিএ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় সম্পন্ন করা হবে প্রকল্পটি। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পের মেয়াদ গণনা শুরু হয়। ২০২০ সালের জুনে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। বাস্তবায়নে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পরে প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়নে শুধু সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কাজ আর শেষ হয়নি।
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে চাক্তাই, রাজাখালী, ইস্পাহানি খালের পাশের এলাকায় মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বাকলিয়ার বলিরহাট, কল্পলোক এলাকার রাজাখালী খাল ও এর দুটি শাখা খাল, ফয়েজ খাল এবং নোয়াখালী খালের মুখে রেগুলেটর ও পাম্প হাউস স্থাপন করা হয়েছে। মানুষের হাঁটাচলার জন্য প্রকল্প ঘেঁষে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজও প্রায় সম্পন্ন।
সিডিএর বিশেষ এ প্রকল্পটি শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবেও কাজ করবে। বাঁধে শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ১২টি স্লুইসগেট রয়েছে। এসব স্লুইসগেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প স্থাপন করা হবে। ১২টি স্লুইসগেটের মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ। বাকি দুটি ছোট স্লুইসগেটের নির্মাণকাজ চলতি বছরেই শেষ হবে বলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব দাশ জানিয়েছেন।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজি হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর বাকলিয়া-চান্দগাঁও-মোহরা এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। অল্প সময়ের মধ্যে কালুরঘাট থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যাবে। সড়ক অবকাঠামোর অভাবে কর্ণফুলীর তীরবর্তী যেসব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সেসব এলাকার জীবনমানের দ্রুত উন্নয়ন হবে। একই সঙ্গে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানেও ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কিছুটা হলেও শহরে যানজটের লাগাম টানা সম্ভব হবে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠবে পর্যটন স্পট। অন্যদিকে এ সড়ক ঘেঁষে নগরীর চান্দগাঁও হামিদচরে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকল্পে কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার দিকে একটি সংযোগ সড়কও রাখা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহন এই সড়ক হয়ে কালুরঘাট এলাকায় পৌঁছার সুযোগ পাবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস্তবায়নের প্রথম দিকে চার কিলোমিটারের ওয়াকওয়েসহ আরও কয়েকটি বিষয় ছিল না। এ কারণে প্রকল্পে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। একই সঙ্গে বাজেটও বাড়াতে হয়েছে। আর ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২১ ও ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারি প্রকল্পের কাজ থমকে দেয়।’
চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতার সমাধান ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়কটি মাত্র সাড়ে ৮ কিলোমিটারের। ২০১৮ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ৭ বছর ২ মাসে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪ কিলোমিটার সড়কের। বাকি আরও সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কের কাজ।
তবে প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিও) নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ দাবি করেছেন, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ ভাগ। আগামী বছরের জুনে প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে।
সিডিএ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় সম্পন্ন করা হবে প্রকল্পটি। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পের মেয়াদ গণনা শুরু হয়। ২০২০ সালের জুনে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। বাস্তবায়নে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পরে প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়নে শুধু সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কাজ আর শেষ হয়নি।
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে চাক্তাই, রাজাখালী, ইস্পাহানি খালের পাশের এলাকায় মাটি ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। বাকলিয়ার বলিরহাট, কল্পলোক এলাকার রাজাখালী খাল ও এর দুটি শাখা খাল, ফয়েজ খাল এবং নোয়াখালী খালের মুখে রেগুলেটর ও পাম্প হাউস স্থাপন করা হয়েছে। মানুষের হাঁটাচলার জন্য প্রকল্প ঘেঁষে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজও প্রায় সম্পন্ন।
সিডিএর বিশেষ এ প্রকল্পটি শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবেও কাজ করবে। বাঁধে শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ১২টি স্লুইসগেট রয়েছে। এসব স্লুইসগেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প স্থাপন করা হবে। ১২টি স্লুইসগেটের মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ। বাকি দুটি ছোট স্লুইসগেটের নির্মাণকাজ চলতি বছরেই শেষ হবে বলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব দাশ জানিয়েছেন।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজি হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর বাকলিয়া-চান্দগাঁও-মোহরা এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। অল্প সময়ের মধ্যে কালুরঘাট থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যাবে। সড়ক অবকাঠামোর অভাবে কর্ণফুলীর তীরবর্তী যেসব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সেসব এলাকার জীবনমানের দ্রুত উন্নয়ন হবে। একই সঙ্গে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানেও ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কিছুটা হলেও শহরে যানজটের লাগাম টানা সম্ভব হবে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠবে পর্যটন স্পট। অন্যদিকে এ সড়ক ঘেঁষে নগরীর চান্দগাঁও হামিদচরে নির্মিত হচ্ছে দেশের একমাত্র মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকল্পে কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার দিকে একটি সংযোগ সড়কও রাখা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহন এই সড়ক হয়ে কালুরঘাট এলাকায় পৌঁছার সুযোগ পাবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস্তবায়নের প্রথম দিকে চার কিলোমিটারের ওয়াকওয়েসহ আরও কয়েকটি বিষয় ছিল না। এ কারণে প্রকল্পে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। একই সঙ্গে বাজেটও বাড়াতে হয়েছে। আর ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২১ ও ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনা মহামারি প্রকল্পের কাজ থমকে দেয়।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে