মুফতি আবু দারদা
হজ মুমিনের জীবনে একবারই ফরজ হয়। তা-ও কেবল দৈহিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকার শর্তে। ফলে যাঁরা হজ পালনের সুযোগ পান, তাঁরা প্রকৃত অর্থেই ভাগ্যবান। হজ হাজিদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনে। আল্লাহর প্রেমে সিক্ত হয়ে গুনাহমুক্ত জীবন গড়ার শপথ নেন তাঁরা। হাজি সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং সকল অশ্লীল ও গুনাহের কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে সে সদ্যোজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়।’ (বুখারি)
অবশ্য হজের এই ফজিলত ও পুরস্কার হাজির তাকওয়া, সদিচ্ছা ও নিষ্ঠার ওপরই নির্ভর করে। হজ-পরবর্তী জীবনে তাঁর কার্যকলাপ বলে দেবে তাঁর হজ কতটুকু ফলপ্রসূ। এ কথা সত্য যে হজ মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। হাজিকে আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত করে। হজ মুমিন বান্দাকে মুত্তাকি ও নিষ্ঠাবান হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়। দুনিয়ার ভোগবিলাস থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার শিক্ষা দেয়। তাই হজ থেকে ফিরেও ভালো কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
হজ থেকে ফিরে বান্দার প্রথম কাজ হলো, দৈনন্দিন জীবনের ফরজগুলো আবশ্যিকভাবে পালন করা, সব গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং মানুষের হক যথাযথভাবে আদায় করা। অতীতে পেশাগত বা অন্য কোনো কারণে কোনো গুনাহের কাজে জড়িত থাকলে তা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। এ ক্ষেত্রে তাঁকে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করতে হবে এবং কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হবে। সর্বদা আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগরূক রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যনিষ্ঠদের সঙ্গে থেকো।’ (সুরা তাওবা: ১১৯)
নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা, প্রতিদিনের সুন্নত-মুস্তাহাবগুলো যথাযথভাবে পালন করা, বেশি বেশি নফল ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তোলা ইত্যাদি কাজ গুনাহমুক্ত জীবনের পক্ষে দারুণ সহায়ক। বিশেষ করে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে বর্ণিত জিকির-আজকার যথাযথভাবে পালন করলে এ পথে এক ধাপ এগিয়ে থাকা যাবে।
তবে এসব করতে গিয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করা যাবে না। বরং স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন নির্বাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে এবং তা হতে হবে হালাল উপায়ে। পরিবারসহ সবার হক যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজ মুমিনের জীবনে একবারই ফরজ হয়। তা-ও কেবল দৈহিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকার শর্তে। ফলে যাঁরা হজ পালনের সুযোগ পান, তাঁরা প্রকৃত অর্থেই ভাগ্যবান। হজ হাজিদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনে। আল্লাহর প্রেমে সিক্ত হয়ে গুনাহমুক্ত জীবন গড়ার শপথ নেন তাঁরা। হাজি সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং সকল অশ্লীল ও গুনাহের কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে সে সদ্যোজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়।’ (বুখারি)
অবশ্য হজের এই ফজিলত ও পুরস্কার হাজির তাকওয়া, সদিচ্ছা ও নিষ্ঠার ওপরই নির্ভর করে। হজ-পরবর্তী জীবনে তাঁর কার্যকলাপ বলে দেবে তাঁর হজ কতটুকু ফলপ্রসূ। এ কথা সত্য যে হজ মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। হাজিকে আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত করে। হজ মুমিন বান্দাকে মুত্তাকি ও নিষ্ঠাবান হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়। দুনিয়ার ভোগবিলাস থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার শিক্ষা দেয়। তাই হজ থেকে ফিরেও ভালো কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
হজ থেকে ফিরে বান্দার প্রথম কাজ হলো, দৈনন্দিন জীবনের ফরজগুলো আবশ্যিকভাবে পালন করা, সব গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং মানুষের হক যথাযথভাবে আদায় করা। অতীতে পেশাগত বা অন্য কোনো কারণে কোনো গুনাহের কাজে জড়িত থাকলে তা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। এ ক্ষেত্রে তাঁকে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করতে হবে এবং কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হবে। সর্বদা আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগরূক রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যনিষ্ঠদের সঙ্গে থেকো।’ (সুরা তাওবা: ১১৯)
নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা, প্রতিদিনের সুন্নত-মুস্তাহাবগুলো যথাযথভাবে পালন করা, বেশি বেশি নফল ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তোলা ইত্যাদি কাজ গুনাহমুক্ত জীবনের পক্ষে দারুণ সহায়ক। বিশেষ করে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়া কোরআন-হাদিসে বর্ণিত জিকির-আজকার যথাযথভাবে পালন করলে এ পথে এক ধাপ এগিয়ে থাকা যাবে।
তবে এসব করতে গিয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করা যাবে না। বরং স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন নির্বাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে এবং তা হতে হবে হালাল উপায়ে। পরিবারসহ সবার হক যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে