সংস্কারে ধীরগতিতে ভোগান্তি

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০৪
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৩৬

জয়পুরহাটের কালাই সদরের সঙ্গে একমাত্র সংযোগ সড়ক আঁওড়া থেকে গঙ্গাদাসপুর গ্রামের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের রাস্তা। সংস্কারকাজের ধীরগতির কারণে তা পাকাকরণ হয়নি আজও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ২০ গ্রামের মানুষ।

কৃষিপণ্য কেনাবেচা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষিকাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফসল বেচতে পারছেন না কৃষকেরা। যানবাহন বিকল হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আয় বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা সংসার চালাবেন কীভাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, রাস্তাটির কাজের উদ্বোধন হয় ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে, আর কাজের সমাপ্তিকাল ধরা হয় ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত। নতুন করে কাজের চার মাস সময়সীমা বাড়িয়ে ২৪ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত নির্ধারণ হয়েছে।

অথচ কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। সংস্কারকাজ এখনো শেষ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা ব্রিটিশ আমলের। এই রাস্তা দিয়ে উৎরাইল, গোহারা, মোহাইল, গঙ্গাদাসপুরসহ ২০ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, আঁওড়া থেকে শান্তিনগর পর্যন্ত রাস্তার মাটির বক্স কাটিং করে বালু ফেলা হয়েছে। শান্তিনগর থেকে গঙ্গাদাসপুর পর্যন্ত রাস্তা চওড়াকরণের জন্য ভরাট করা হয়েছে।

জানা গেছে, জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে রাস্তাটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের প্রায় দুই বছর শেষ হতে চলেছে। আর সবে রাস্তার সংস্কারকাজ দৃশ্যমান। 
উপজেলার মোহাইল গ্রামের আব্দুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তা সংস্কারের ধীরগতির কারণে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় ব্যাহত হচ্ছে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদিত ফসল বেচতে না পারলে সংসার চালাব কীভাবে?’

ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের চালক মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তা খারাপ থাকায় ভ্যান চালাতে পারছি না। রাস্তার কারণে যানবাহন বিকল হচ্ছে। এই কয়েক দিন আগে আমার অটোভ্যানের মোটর পুড়ে গেছে, যার দাম পাঁচ হাজার টাকা।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই রাস্তার কারণে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ময়েন উদ্দিন (বাসী) ও মেসার্স মাছুমা বেগম এই রাস্তার পাকাকরণের কাজ পান। কিন্তু রাস্তার কাজ করছেন শুক্রা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান নামের এক ঠিকাদার।

এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রাস্তার কাজ চলমান। দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি।’ উপজেলার স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলী (এলজিইডি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে এবং পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত