তাদের ডাকাতির লক্ষ্য প্রবাসী শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ২৯
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৭

তাদের মূল টার্গেট থাকত প্রবাসী শ্রমিকেরা। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর এলাকা থেকেই প্রবাসীদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার টাকা-পয়সা লুটে নিত ডাকাত দলটি। এই দলের সর্দার তৈয়ব আলী, যিনি একটি উপজেলার বিএনপির শ্রমিক দলের সভাপতি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও হত্যা মামলাসহ আরও ছয়টি মামলা রয়েছে তার নামে। গত বুধবার রাতে রাজধানী ঢাকা, মাদারীপুর ও ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ডাকাত দলের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—তৈয়ব আলী, তার স্ত্রী রিমা আক্তার হ্যাপি, মিলন সরদার, মনির হোসেন ও বিপুল দেবনাথ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি অস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়ারলেস, একটি হ্যান্ডকাফ, নগদ ২৩ হাজার টাকাসহ ডাকাত করা ১৩৬৩ গ্রাম স্বর্ণ অলংকার উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, শ্রমিক দলের সভাপতির আড়ালে ডাকাতি করার মাধ্যমে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন তৈয়ব আলী। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে একটি বিলাসবহুল বাড়িসহ দুটি ফ্ল্যাট ও একটি দামি গাড়ি রয়েছে তার। ওই গাড়িটি নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে ডাকাতি কাজে ব্যবহার করতেন তিনি। তার সহযোগী মিলন সরদারেও একটি চার তলা বাড়ি আছে সন্ধান পেয়েছে ডিবি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি দুবাই থেকে আসার ফ্লাইটের যাত্রীদের টার্গেট করেই ডাকাত করে। প্রবাসী যাত্রীরা বিদেশ থেকে কমদামে কিছু

এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ১

স্বর্ণ নিয়ে আসে। পরে তারা দেশে অনেক দামে বিক্রি করে। তবে এই চক্রটি প্রবাসীদের টার্গেট করেই তাদের সর্বস্ব লুটে নেয়। তিনি জানান, ডাকাত দলটি বিমানবন্দর ভেতর থেকে কোনো তথ্যই পায় না। কিন্তু তারা খুব চালাক, বিমানের সিডিউল সব লাখ রাখে। এ ছাড়া দুবাই থেকে আসা ফ্লাইটগুলো তারা লক্ষ্য করে বেশি। কারণ এতে প্রবাসীসহ বিদেশি যাত্রীরাই বেশি আসে। এ ডাকাত দলের সদস্যদের টার্গেটই থাকত ভোর রাতে যারা এয়ারপোর্ট থেকে বিভিন্ন এলাকায় যায় তাদের। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ডাকাতি করে আসছিল।

একটি মামলার সূত্র ধরে ডাকাত দলের এই পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কে এম হাফিজ আক্তার জানান, রাসেল ও সাইফুল নামে দুই প্রবাসী গাবতলী যাওয়ার উদ্দেশে কাওলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি যোগে মিরপুর বেড়িবাঁধ যাওয়ার পথে আবদুল্লাহপুর থানার বেড়িবাঁধ রোডে সিলভার রঙের একটি গাড়ি তাদের সিএনজির গতিরোধ করে। পরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার সূত্র ধরেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত