আগুনে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি

মনিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ০০
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৭

যশোরের মনিরামপুরে আগুন লেগে আসবাবের দুটি কাঠগোলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গোলা দুটির মালিকেরা বলছেন, আগুনে তাঁদের ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মনিরামপুর বাজারের দোলখোলা মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানে রাখা নতুন তৈরি করা আসবাব, কাঠ ও টিনের চালা পুড়ে ছাই হয়েছে।

খবর পেয়ে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান দুটি হচ্ছে সুমন ফার্নিচার ও দীঘি ফার্নিচার। সুমন ফার্নিচারের মালিকের নাম সুমন বিশ্বাস। তিনি হাকোবা গ্রামের সন্তোষ বিশ্বাসের ছেলে। আর দীঘি ফার্নিচারের মালিক তপন বিশ্বাস। তিনি একই গ্রামের অমূল্য বিশ্বাসের ছেলে। পুড়ে যাওয়া দোকান দুটির অবস্থান পাশাপাশি।

ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি কেউ শত্রুতা করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিখা ঘোষ বলেন, ‘দোকান দুটোর পাশেই আমার ঘর। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মড়মড় শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এর পর বাইরে এসে দেখি পেছনে সুমনের কাঠগোলায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।’

শিখা ঘোষ বলেন, ‘এ সময় চিৎকার দিয়ে পাশের বাড়ি গিয়ে লোকজন ডেকে তুলি। তারপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগে সুমনের গোলার পুরোটা আর তপনের গোলার অর্ধেক পুড়ে যায়। পরে তাঁরা দুই ঘণ্টা পানি মেরে আগুন নেভান।’

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী বলেন, ‘সুমনের দোকানে কয়েকটি খাট পালঙ্ক বানানো ছিল। আজ (রোববার) সেগুলো সরবরাহ দেওয়ার কথা ছিল। সুমনের ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তপনের ক্ষতি সুমনের ছেয়ে কিছুটা কম।’

তপন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করছি পরিকল্পিতভাবে গোলায় আগুন দেওয়া হয়েছে। দোকানের পেছনে জমি বিক্রি করবেন মালিক। আমাদের দুই দোকানের মাঝে দিয়ে পথ দেবে ক্রেতাকে। এ জন্য ২-৩ মাস আগে আমাদের দোকান সরিয়ে ফেলতে বলেছে। আমরা সরাইনি। এ নিয়ে হয়তো কেউ শত্রুতা করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

তপনের স্ত্রী সোনালি বিশ্বাস বলেন, ‘এ দোকানের পরে আমাগের সবকিছু। ৫ জনের সংসার চলে দোকান থেকে আয়ের টাকায়।’

স্থানীয় বলছেন, অনেক বছর আগে এখানে রাস্তার পাশে গাড়ি রাখলে তাতে আগুন দিয়ে দিত। ৩-৪ বছর আগে পাশের ইউনুস আকবরের বাড়িতে আগুন দিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল পোড়ায় দেছে। মাঝে দিয়ে বন্ধ ছিল। এখন আবার আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে।’

মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘খদুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত