রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও
চলিত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়। শিক্ষার্থীদের ভর্তি, টিকা গ্রহণ, পাসপোর্টসহ নানা কাজে এখন জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তবে গফরগাঁওয়ে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্রের নানা জটিলতায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে জন্মনিবন্ধনের সনদ পেতে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুরুতে হাতে লেখা নিবন্ধনে খরচ হতো ১০০ থেকে ২০০ টাকা। কিছুদিন পর কম্পিউটারে প্রিন্ট নিবন্ধন করতে বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। এখন করতে হবে অনলাইন নিবন্ধন। তবে ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম এটি করতে তাঁদের মা-বাবার জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হচ্ছে। সঙ্গে প্রয়োজন হচ্ছে নানা ধরনের কাগজপত্র। উপরন্তু এ সব সংগ্রহ করতে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদ পাওয়ার খরচ তো রয়েছেই।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সনদ নিতে হচ্ছে। এখানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ছাড়া জন্মনিবন্ধন মিলছে না। দত্তেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে ৫০০-৭০০ টাকা ছাড়া মেলে না অনলাইন জন্মনিবন্ধন। একই চিত্র সালটিয়া, পাঁচবাগ, উস্থি ও টাংগাব ইউপির ডিজিটাল সেন্টারে। অথচ জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকা। কিন্তু নানা অজুহাতে ৫০০-৬০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে হয়রানি।
রসুলপুর ইউপি ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৬০০ টাকার নিচে কেউ জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন আলালপুর গ্রামের শিক্ষার্থী মবিন শেখ। তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়েও হয়রানির শেষ নেই। দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।’
একই গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী খলিল উদ্দিন সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মস্থল কিশোরগঞ্জ থেকে ছুটি নিয়ে তিনবার এসেছেন জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য। এখনো পাননি সনদ। তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদ না পেলে সন্তানের ভর্তির জন্য হয়তো আবেদন করতে পারব না।
তবে হয়রানি ও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন রসুলপুর ইউপির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুই ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সময় দিতে সমস্যা হচ্ছে। সনদের জন্য বেশি টাকা নেওয়া হয় না।
টাংগাব ইউপির ডিজিটাল সেন্টারে এসে প্রায় পনেরো দিন ধরে ঘুরছেন সায়রা খাতুন। অনেক দিন আগে এখান থেকে জন্মনিবন্ধন করেছেন। এখন বাস করেন নরসিংদীতে। লাগবে ডিজিটাল সনদ। এটি পেতেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি।
টাংগাব ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘অনেক সময় সনদে নামের ভুলের কারণে দেরি হয়। তা ছাড়া নির্বাচনী ব্যস্ততায় পরিষদে গিয়ে বসতে পারছি না।’
দত্তেরবাজার ইউপির সচিব সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন করতে সরকারি ফির বাইরে টাকা লাগে না। সেন্টারের বাইরে কাউকে টাকা দিলে সেই দায়িত্ব আমাদের না।’
দত্তেরবাজার ইউপির চেয়ারম্যান মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কেউ সনদ নিচ্ছে, এমন অভিযোগ নেই। তবে কাজের চাপ থাকায় সময় লাগছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি ডিজিটাল সেন্টার থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে সরকারি ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সনদ পেতে সময় লাগার কারণ সার্ভার জটিলতা। একসঙ্গে সবাই আবেদন করায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।’
চলিত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়। শিক্ষার্থীদের ভর্তি, টিকা গ্রহণ, পাসপোর্টসহ নানা কাজে এখন জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তবে গফরগাঁওয়ে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্রের নানা জটিলতায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে জন্মনিবন্ধনের সনদ পেতে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, শুরুতে হাতে লেখা নিবন্ধনে খরচ হতো ১০০ থেকে ২০০ টাকা। কিছুদিন পর কম্পিউটারে প্রিন্ট নিবন্ধন করতে বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। এখন করতে হবে অনলাইন নিবন্ধন। তবে ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম এটি করতে তাঁদের মা-বাবার জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হচ্ছে। সঙ্গে প্রয়োজন হচ্ছে নানা ধরনের কাগজপত্র। উপরন্তু এ সব সংগ্রহ করতে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদ পাওয়ার খরচ তো রয়েছেই।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ডিজিটাল সেন্টারে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সনদ নিতে হচ্ছে। এখানে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ছাড়া জন্মনিবন্ধন মিলছে না। দত্তেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে ৫০০-৭০০ টাকা ছাড়া মেলে না অনলাইন জন্মনিবন্ধন। একই চিত্র সালটিয়া, পাঁচবাগ, উস্থি ও টাংগাব ইউপির ডিজিটাল সেন্টারে। অথচ জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকা। কিন্তু নানা অজুহাতে ৫০০-৬০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে হয়রানি।
রসুলপুর ইউপি ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৬০০ টাকার নিচে কেউ জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন আলালপুর গ্রামের শিক্ষার্থী মবিন শেখ। তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়েও হয়রানির শেষ নেই। দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে।’
একই গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী খলিল উদ্দিন সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মস্থল কিশোরগঞ্জ থেকে ছুটি নিয়ে তিনবার এসেছেন জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য। এখনো পাননি সনদ। তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদ না পেলে সন্তানের ভর্তির জন্য হয়তো আবেদন করতে পারব না।
তবে হয়রানি ও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন রসুলপুর ইউপির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুই ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সময় দিতে সমস্যা হচ্ছে। সনদের জন্য বেশি টাকা নেওয়া হয় না।
টাংগাব ইউপির ডিজিটাল সেন্টারে এসে প্রায় পনেরো দিন ধরে ঘুরছেন সায়রা খাতুন। অনেক দিন আগে এখান থেকে জন্মনিবন্ধন করেছেন। এখন বাস করেন নরসিংদীতে। লাগবে ডিজিটাল সনদ। এটি পেতেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি।
টাংগাব ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘অনেক সময় সনদে নামের ভুলের কারণে দেরি হয়। তা ছাড়া নির্বাচনী ব্যস্ততায় পরিষদে গিয়ে বসতে পারছি না।’
দত্তেরবাজার ইউপির সচিব সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘জন্মনিবন্ধন করতে সরকারি ফির বাইরে টাকা লাগে না। সেন্টারের বাইরে কাউকে টাকা দিলে সেই দায়িত্ব আমাদের না।’
দত্তেরবাজার ইউপির চেয়ারম্যান মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কেউ সনদ নিচ্ছে, এমন অভিযোগ নেই। তবে কাজের চাপ থাকায় সময় লাগছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি ডিজিটাল সেন্টার থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে সরকারি ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সনদ পেতে সময় লাগার কারণ সার্ভার জটিলতা। একসঙ্গে সবাই আবেদন করায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে