মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনির্মিত দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন ভবনে কক্ষ বরাদ্দসহ প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে চবি কর্তৃপক্ষ। যদিও ভবনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
গত বুধবার দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘নতুন কলা ভবনে আগামী মাস থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। ইতিমধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগকে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ শিগগিরই ডিন অফিসও নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে, এরপর বিভাগগুলো দ্রুত চলে যাবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় ভবন নির্মাণের দরপত্র ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট আহ্বান করা হয়। জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড লিড ফার্ম হিসেবে এবং দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড পার্টনার ইনচার্জ হিসেবে দরপত্রে অংশ নেয়।
ওই কাজের জন্য প্রথম নিম্ন দরদাতা হয় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জি কে বি এল (জেভি)। তাদের ৭৫ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শেষের সময় নির্ধারিত ছিল।
দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জেভি) নামে কাজ শুরু হলেও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সই শুরু থেকে কাজটি করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, একই বছরের ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়তি মেয়াদে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তবে এ সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যেই এ ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভবন নির্মাণকাজের তদারককারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর ওরফে জামশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের কাজ প্রায়ই শেষ ৷ এখন কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি আছে।’ এক মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, ভবনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আগামী মাসে ৬ থেকে ৭টা বিভাগ নতুন ভবনে চলে যাবে। সেগুলোর জন্য এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।
কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, ঠিকাদার যদি ভালোভাবে কাজ করে, তাহলে দুই-তিন মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
শিক্ষকের তিন দাবি: এদিকে নতুন ও পুরোনো কলা ভবনের বিষয়ে উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম। তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নবনির্মিত কলা ভবনের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের নামে নামকরণ, নতুন কলা ভবনের সঙ্গে পুরোনো কলা ভবনের মধ্যে সংযোগ সেতু স্থাপন ও পুরোনো কলা ভবনে লিফট স্থাপন।
গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও আরবি বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এ আবেদন করেন এস এম রফিকুল আলম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চবির প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালেই তিনি মারা যান। তাই আমি নতুন কলা ভবনের নাম অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের নামে হওয়াটাকেই উপযুক্ত মনে করছি।’
এস এম রফিকুল আলম আরও বলেন, ‘পুরোনো কলাভবন যেহেতু একাডেমিক কার্যক্রম চলবে, তাই নতুন কলা ভবন ও পুরোনো কলাভবনের মাঝে সংযোগ সেতু স্থাপনের দাবি জানিয়েছি। আর এর নামকরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের নামে নাম করার প্রস্তাব করেছি। এ ছাড়া পুরোনো কলাভবনের সিঁড়ির ধাপগুলো উঁচু হওয়ার কারণে বয়স্ক ও অসুস্থ ছাত্র শিক্ষকদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়। তাই পুরোনো কলা ভবনে লিফট স্থাপনের অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম একটা ভালো আবেদন করেছেন। আমি তাঁর আবেদন উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করেছি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনির্মিত দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন ভবনে কক্ষ বরাদ্দসহ প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে চবি কর্তৃপক্ষ। যদিও ভবনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
গত বুধবার দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘নতুন কলা ভবনে আগামী মাস থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। ইতিমধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগকে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ শিগগিরই ডিন অফিসও নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হবে, এরপর বিভাগগুলো দ্রুত চলে যাবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দ্বিতীয় ভবন নির্মাণের দরপত্র ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট আহ্বান করা হয়। জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড লিড ফার্ম হিসেবে এবং দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড পার্টনার ইনচার্জ হিসেবে দরপত্রে অংশ নেয়।
ওই কাজের জন্য প্রথম নিম্ন দরদাতা হয় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জি কে বি এল (জেভি)। তাদের ৭৫ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শেষের সময় নির্ধারিত ছিল।
দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএল (জেভি) নামে কাজ শুরু হলেও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সই শুরু থেকে কাজটি করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল, একই বছরের ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল ও একই বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৪ জুলাই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়তি মেয়াদে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তবে এ সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যেই এ ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভবন নির্মাণকাজের তদারককারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর ওরফে জামশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের কাজ প্রায়ই শেষ ৷ এখন কিছু ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি আছে।’ এক মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, ভবনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আগামী মাসে ৬ থেকে ৭টা বিভাগ নতুন ভবনে চলে যাবে। সেগুলোর জন্য এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।
কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, ঠিকাদার যদি ভালোভাবে কাজ করে, তাহলে দুই-তিন মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
শিক্ষকের তিন দাবি: এদিকে নতুন ও পুরোনো কলা ভবনের বিষয়ে উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম। তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নবনির্মিত কলা ভবনের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের নামে নামকরণ, নতুন কলা ভবনের সঙ্গে পুরোনো কলা ভবনের মধ্যে সংযোগ সেতু স্থাপন ও পুরোনো কলা ভবনে লিফট স্থাপন।
গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও আরবি বিভাগের সভাপতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এ আবেদন করেন এস এম রফিকুল আলম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চবির প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালেই তিনি মারা যান। তাই আমি নতুন কলা ভবনের নাম অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের নামে হওয়াটাকেই উপযুক্ত মনে করছি।’
এস এম রফিকুল আলম আরও বলেন, ‘পুরোনো কলাভবন যেহেতু একাডেমিক কার্যক্রম চলবে, তাই নতুন কলা ভবন ও পুরোনো কলাভবনের মাঝে সংযোগ সেতু স্থাপনের দাবি জানিয়েছি। আর এর নামকরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের নামে নাম করার প্রস্তাব করেছি। এ ছাড়া পুরোনো কলাভবনের সিঁড়ির ধাপগুলো উঁচু হওয়ার কারণে বয়স্ক ও অসুস্থ ছাত্র শিক্ষকদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হয়। তাই পুরোনো কলা ভবনে লিফট স্থাপনের অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম একটা ভালো আবেদন করেছেন। আমি তাঁর আবেদন উপাচার্য বরাবর প্রেরণ করেছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে