দৌলতপুরে বন্যার অবনতি আরও ১০ গ্রাম পানিবন্দী

তামিম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ৫৪
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ০০

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের আরও ১০টি গ্রাম নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮টিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে,  গত রোববার এ পানি প্রবাহিত হয়েছিল বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।

এদিকে কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পদ্মা নদীতে পানিপ্রবাহ ছিল ১৩ দশমিক ৩০ মিটার, যা বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যা ও ভাঙনের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে দৌলতপুর উপজেলার পদ্মাপারের আরও তিনটি ইউনিয়নের মানুষ। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দ্রুতই এসব এলাকা প্লাবিত হবে। উজানে পানি বৃদ্ধির ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। ইতিমধ্যে পানিতে ডুবেছে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের পদ্মার চরের আবাদি জমি।

এ বিষয়ে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ১৮টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। প্রতিদিনই নদীতে পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নতুন করে আরও গ্রাম পানিবন্দী হতে পারে।

কথা হয় চিলমারী আব্দুল জব্বার হাজী পাণ্ডব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিদ্যালয়ের তিন পাশে এখন বন্যার পানি। যে কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তাঁর বিদ্যালয়ের মাঠ প্লাবিত হয়ে যাবে।

বাজুমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার হারুনুর রশিদ জানান, তাঁর মাদ্রাসার মাঠে পানি চলে এসেছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সর্দার মোহাম্মদ আবু সালেহ বলেন, ‘চিলমারী ইউনিয়নের তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা পানিবন্দী হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। পানিবন্দী প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা তাঁদের বন্যা পরিস্থিতির চিত্রসহ লিখিতভাবে জানালে তা যাচাই করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে কি না, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জাব্বার জানিয়েছেন, উপজেলার পানিবন্দী এলাকায় সরকারি সহায়তা পাঠানো হয়েছে। কাল (বুধবার) তা বিতরণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত