মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
কুমিল্লা দক্ষিণ অঞ্চলের চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ—এই চার উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য একসময় আশীর্বাদ ছিল ডাকাতিয়া নদী। সেই ডাকাতিয়াই এখন তাদের জন্য অভিশাপ; কোনো উপকারে আসে না, বরং বিপাকে ফেলা নদী।
নদীটি চৌদ্দগ্রাম দিয়ে শুরু হয়ে চার উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় মিলিত হয়েছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চাঁদপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনের অন্যতম পথ ছিল এ ডাকাতিয়া নদী। খরস্রোতা সেই নদী এখন পানিশূন্য। নদীর বুকে এখন বালুচর।
খনন না করায় নদীটি এখন ব্যবহার উপযোগীও নেই। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। সেচের পানির জন্য এখন তাঁদের ভরসা পাম্প। তাতে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হচ্ছে চাষিদের।
সম্প্রতি নদীটির চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম অংশ ঘুরে দেখা যায়, ডাকাতিয়ার তলদেশে জেগে ওঠা চরে এখন কোথাও ফসলের খেত, আবার কোথাও ফেটে চৌচির। আবার কোথাও কোথাও মাটিও কেটে নেওয়া হয়েছে। দুই পাড়ে অবাধে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন তীরের লোকজন। বিভিন্ন স্থানে কলকারখানার দূষিত বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা কাঁকড়ী নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ডাকাতিয়া নদী। এরপর নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মিশেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ২০৭ কিলোমিটার। প্রস্থ ৬৭ মিটার (প্রায় ২২০ ফুট)। ২০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির কোথাও বর্তমানে ২২০ ফুট প্রস্থ খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার কোথাও ৩০, কোথাও বা ৪০ ফুটের মরা খালে পরিণত হয়েছে।
লাকসাম পৌর এলাকার নাছির উদ্দিন বলেন, একসময় এই অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌপথ। ওই সময় বিভিন্ন পণ্যবাহী বড় বড় জাহাজ ও লঞ্চ এ নদীপথ দিয়ে চলাচল করত। নৌ যোগাযোগের সুবিধার কারণে এই নদীপথে শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার লোকজন লাকসামে এসে বাণিজ্য করতেন। এ ছাড়া আগে খরস্রোত এই নদীতে ছিল দেশীয় মাছের প্রাচুর্য। কয়েক হাজার জেলে এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে প্রভাবশালীরা নদীটি দখল করে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি দ্রুত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় একসময় ডাকাতিয়া নদীর অস্তিত্বই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, নতুন ডাকাতিয়ার ১২ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। পুরোনো ডাকাতিয়ার লাকসাম-মনোহরগঞ্জ অংশে খনন করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরেই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ অঞ্চলের চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ—এই চার উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য একসময় আশীর্বাদ ছিল ডাকাতিয়া নদী। সেই ডাকাতিয়াই এখন তাদের জন্য অভিশাপ; কোনো উপকারে আসে না, বরং বিপাকে ফেলা নদী।
নদীটি চৌদ্দগ্রাম দিয়ে শুরু হয়ে চার উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় মিলিত হয়েছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চাঁদপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনের অন্যতম পথ ছিল এ ডাকাতিয়া নদী। খরস্রোতা সেই নদী এখন পানিশূন্য। নদীর বুকে এখন বালুচর।
খনন না করায় নদীটি এখন ব্যবহার উপযোগীও নেই। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। সেচের পানির জন্য এখন তাঁদের ভরসা পাম্প। তাতে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হচ্ছে চাষিদের।
সম্প্রতি নদীটির চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম অংশ ঘুরে দেখা যায়, ডাকাতিয়ার তলদেশে জেগে ওঠা চরে এখন কোথাও ফসলের খেত, আবার কোথাও ফেটে চৌচির। আবার কোথাও কোথাও মাটিও কেটে নেওয়া হয়েছে। দুই পাড়ে অবাধে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন তীরের লোকজন। বিভিন্ন স্থানে কলকারখানার দূষিত বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা কাঁকড়ী নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ডাকাতিয়া নদী। এরপর নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও হাজীগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মিশেছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ২০৭ কিলোমিটার। প্রস্থ ৬৭ মিটার (প্রায় ২২০ ফুট)। ২০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির কোথাও বর্তমানে ২২০ ফুট প্রস্থ খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার কোথাও ৩০, কোথাও বা ৪০ ফুটের মরা খালে পরিণত হয়েছে।
লাকসাম পৌর এলাকার নাছির উদ্দিন বলেন, একসময় এই অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌপথ। ওই সময় বিভিন্ন পণ্যবাহী বড় বড় জাহাজ ও লঞ্চ এ নদীপথ দিয়ে চলাচল করত। নৌ যোগাযোগের সুবিধার কারণে এই নদীপথে শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলার লোকজন লাকসামে এসে বাণিজ্য করতেন। এ ছাড়া আগে খরস্রোত এই নদীতে ছিল দেশীয় মাছের প্রাচুর্য। কয়েক হাজার জেলে এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে প্রভাবশালীরা নদীটি দখল করে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি দ্রুত কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় একসময় ডাকাতিয়া নদীর অস্তিত্বই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, নতুন ডাকাতিয়ার ১২ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে। পুরোনো ডাকাতিয়ার লাকসাম-মনোহরগঞ্জ অংশে খনন করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরেই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে