চঞ্চল চৌধুরী
‘হাওয়া’ সিনেমার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?
–সুমনের সঙ্গে বহু বছরের পরিচয়। আমি চারুকলায় পড়াশোনা করেছি, সুমনও চারুকলার ছোট ভাই। সুন্দর কাজ করে সুমন। বছর চারেক আগে একদিন সিনেমা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসল। সেই আলোচনায় বাংলাদেশের সফল সিনেমার তালিকা, সিনেমাগুলোর গল্প কেমন ইত্যাদি বিষয়ে একটা গবেষণার মতো তুলে ধরল। এরপর একটা গল্প শেয়ার করল এবং জানাল এই সিনেমাটা সে বানাতে চায়। সিনেমাটি নিয়ে সে বেশ কনফিডেন্ট। সেই সিনেমাই হচ্ছে ‘হাওয়া’।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আর গল্পটা কেমন?
–মাঝসমুদ্রে মাছধরা ট্রলারের গল্প ‘হাওয়া’। প্রত্যেক শিল্পী দিনের পর দিন একসঙ্গে থেকেছি, চরিত্রগুলোর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। শুটিং হয়েছে সেন্ট মার্টিন থেকে ২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে মধ্যসাগরে। ৪৫ দিন কাজ করেছি আমরা।
সমুদ্রে শুটিং করতে গিয়ে তো বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখিও হতে হয়েছিল?
–হ্যাঁ, হয়েছে। শুটিংয়ের ২৫-৩০ দিন পর, সমুদ্রে তখন বুলবুল নামের ঝড়ের তাণ্ডব চলছিল। স্পটে পৌঁছানোর পরই সমুদ্রের উত্তাল ঝড়ের মুখে পড়লাম। ঝোড়ো হাওয়া আর বিশাল ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল আমাদের।
ট্রেলারে নায়িকা চরিত্রটি বেশ রহস্যময়ী মনে হয়েছে। নায়িকা আর আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন?
–মাছ ধরার ট্রলারের প্রধান মাঝি চরিত্রটি আমি। আর যেহেতু একজন নারী চরিত্র আছে, সেই চরিত্রটিকে রহস্যময়ী মনে হচ্ছে, তাই গল্পে নায়িকা চরিত্রটি নিয়ে এখনই পুরোটা জানাতে চাই না।
দর্শক কী কী কারণে ‘হাওয়া’ দেখবেন?
–প্রতিটি সচেতন দর্শক নিজের দায় থেকেই এ সিনেমা দেখবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এরই মধ্যে দর্শক আন্দাজ করতে পারছেন সিনেমাটি কেমন হবে। আর একটা বিষয়, এই যে একদিকে হলের মালিকেরা বলছেন ভালো সিনেমা হয় না, অন্যদিকে প্রযোজক বলছেন সিনেমা হল নেই, চালাবে কোথায়? আসলে কেউ ঠিকঠাক যার যার কাজটি করছি না আমরা। তাই সবার সক্রিয় অংশগ্রহণটা জরুরি। ভালো সিনেমার জন্য প্রযোজক, হলমালিকদের যেমন এগিয়ে আসা উচিত, দর্শকদের উচিত হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। আমরা সমুদ্রের পারের গল্প দেখেছি, তবে মাঝসমুদ্রের গল্প দেখিনি। এমন স্ট্রাগল নিয়ে আগে কাজ হয়নি। একটা নৌকার মধ্যে মাঝসমুদ্রে ৪৫টি দিন কাটিয়ে দিয়েছি।
সিনেমার গান নিয়ে বলুন?
–দুটি গান রয়েছে এই সিনেমায়। সাদা সাদা কালা কালা গানটি তো এরই মধ্যে বেশ হিট হয়েছে।
নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনকে নিয়ে আপনার মন্তব্য?
–গৌতম ঘোষ, তৌকীর আহমেদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অমিতাভ রেজা, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, অনম বিশ্বাসের মতো অভিজ্ঞ নির্মাতার সঙ্গে কাজ হয়েছে আমার। এবার কাজ হলো সুমনের সঙ্গে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ভাবনার পরিবর্তন হয়, এটা স্বাভাবিক। সুমন এই সময়ের চিন্তাধারায় অনেক এগিয়ে। এই সময়ের জন্য পারফেক্ট একজন পরিচালক। এই সময়ে কী ধরনের সিনেমা বানাতে হবে, সেটা জেনে-বুঝেই কাজটা করেছে সুমন।
দর্শকের জন্য কিছু বলবেন?
–কোভিডের কারণে দর্শকদের হলে আসা কমে গেছে। ইউটিউবে বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কবে সিনেমা মুক্তি পাবে সেই অপেক্ষাতেও থাকেন অনেকে। কিন্তু সিনেমা হল বাঁচাতে হলে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হলে দর্শককে সিনেমা হলে গিয়েই সিনেমা দেখতে হবে। কারণ সিনেমা বানানো হয় হলের জন্য, টিভি বা মোবাইলের জন্য নয়।
নতুন কী করছেন?
–আমি একসঙ্গে অনেক সিনেমার কাজ করতে চাই না। হাওয়া রিলিজের পর দর্শক রেসপন্স বুঝে নতুন সিনেমার চিন্তা করব। আর টিভি নাটক তো আমার পরিবারের অংশ। তবে বাজেট সীমাবদ্ধতাসহ নানা কারণে কম কাজ করা হচ্ছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই সময় দিচ্ছি বেশি।
বিনোদনের খবর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
‘হাওয়া’ সিনেমার সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?
–সুমনের সঙ্গে বহু বছরের পরিচয়। আমি চারুকলায় পড়াশোনা করেছি, সুমনও চারুকলার ছোট ভাই। সুন্দর কাজ করে সুমন। বছর চারেক আগে একদিন সিনেমা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসল। সেই আলোচনায় বাংলাদেশের সফল সিনেমার তালিকা, সিনেমাগুলোর গল্প কেমন ইত্যাদি বিষয়ে একটা গবেষণার মতো তুলে ধরল। এরপর একটা গল্প শেয়ার করল এবং জানাল এই সিনেমাটা সে বানাতে চায়। সিনেমাটি নিয়ে সে বেশ কনফিডেন্ট। সেই সিনেমাই হচ্ছে ‘হাওয়া’।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আর গল্পটা কেমন?
–মাঝসমুদ্রে মাছধরা ট্রলারের গল্প ‘হাওয়া’। প্রত্যেক শিল্পী দিনের পর দিন একসঙ্গে থেকেছি, চরিত্রগুলোর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। শুটিং হয়েছে সেন্ট মার্টিন থেকে ২ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে মধ্যসাগরে। ৪৫ দিন কাজ করেছি আমরা।
সমুদ্রে শুটিং করতে গিয়ে তো বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখিও হতে হয়েছিল?
–হ্যাঁ, হয়েছে। শুটিংয়ের ২৫-৩০ দিন পর, সমুদ্রে তখন বুলবুল নামের ঝড়ের তাণ্ডব চলছিল। স্পটে পৌঁছানোর পরই সমুদ্রের উত্তাল ঝড়ের মুখে পড়লাম। ঝোড়ো হাওয়া আর বিশাল ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল আমাদের।
ট্রেলারে নায়িকা চরিত্রটি বেশ রহস্যময়ী মনে হয়েছে। নায়িকা আর আপনার চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন?
–মাছ ধরার ট্রলারের প্রধান মাঝি চরিত্রটি আমি। আর যেহেতু একজন নারী চরিত্র আছে, সেই চরিত্রটিকে রহস্যময়ী মনে হচ্ছে, তাই গল্পে নায়িকা চরিত্রটি নিয়ে এখনই পুরোটা জানাতে চাই না।
দর্শক কী কী কারণে ‘হাওয়া’ দেখবেন?
–প্রতিটি সচেতন দর্শক নিজের দায় থেকেই এ সিনেমা দেখবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এরই মধ্যে দর্শক আন্দাজ করতে পারছেন সিনেমাটি কেমন হবে। আর একটা বিষয়, এই যে একদিকে হলের মালিকেরা বলছেন ভালো সিনেমা হয় না, অন্যদিকে প্রযোজক বলছেন সিনেমা হল নেই, চালাবে কোথায়? আসলে কেউ ঠিকঠাক যার যার কাজটি করছি না আমরা। তাই সবার সক্রিয় অংশগ্রহণটা জরুরি। ভালো সিনেমার জন্য প্রযোজক, হলমালিকদের যেমন এগিয়ে আসা উচিত, দর্শকদের উচিত হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। আমরা সমুদ্রের পারের গল্প দেখেছি, তবে মাঝসমুদ্রের গল্প দেখিনি। এমন স্ট্রাগল নিয়ে আগে কাজ হয়নি। একটা নৌকার মধ্যে মাঝসমুদ্রে ৪৫টি দিন কাটিয়ে দিয়েছি।
সিনেমার গান নিয়ে বলুন?
–দুটি গান রয়েছে এই সিনেমায়। সাদা সাদা কালা কালা গানটি তো এরই মধ্যে বেশ হিট হয়েছে।
নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনকে নিয়ে আপনার মন্তব্য?
–গৌতম ঘোষ, তৌকীর আহমেদ, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অমিতাভ রেজা, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, অনম বিশ্বাসের মতো অভিজ্ঞ নির্মাতার সঙ্গে কাজ হয়েছে আমার। এবার কাজ হলো সুমনের সঙ্গে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের ভাবনার পরিবর্তন হয়, এটা স্বাভাবিক। সুমন এই সময়ের চিন্তাধারায় অনেক এগিয়ে। এই সময়ের জন্য পারফেক্ট একজন পরিচালক। এই সময়ে কী ধরনের সিনেমা বানাতে হবে, সেটা জেনে-বুঝেই কাজটা করেছে সুমন।
দর্শকের জন্য কিছু বলবেন?
–কোভিডের কারণে দর্শকদের হলে আসা কমে গেছে। ইউটিউবে বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কবে সিনেমা মুক্তি পাবে সেই অপেক্ষাতেও থাকেন অনেকে। কিন্তু সিনেমা হল বাঁচাতে হলে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হলে দর্শককে সিনেমা হলে গিয়েই সিনেমা দেখতে হবে। কারণ সিনেমা বানানো হয় হলের জন্য, টিভি বা মোবাইলের জন্য নয়।
নতুন কী করছেন?
–আমি একসঙ্গে অনেক সিনেমার কাজ করতে চাই না। হাওয়া রিলিজের পর দর্শক রেসপন্স বুঝে নতুন সিনেমার চিন্তা করব। আর টিভি নাটক তো আমার পরিবারের অংশ। তবে বাজেট সীমাবদ্ধতাসহ নানা কারণে কম কাজ করা হচ্ছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই সময় দিচ্ছি বেশি।
বিনোদনের খবর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে