শাহীন শাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের রামুতে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি সাদ্দাম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য জড়িত বলে অভিযোগে বলা হচ্ছে।
জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দুদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী রামুর উত্তর মিঠছড়ি এলাকার নিহত মোস্তাক আহমদের স্ত্রী রেহেনা আক্তার। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তর মিঠাছড়ি গাইনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তিনি ২০১৯ সালের ৬ মে রিকশায় ওঠাকে কেন্দ্র করে রিকশাচালক মোস্তাক আহমদকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আহত মোস্তাক বাদী হয়ে রামু থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
৯ মে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা যান মোস্তাক আহমদ। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে সাদ্দামকে আসামি করে রামু আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য রামু থানাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন এসআই মামুন ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, মামুন ইসলাম আসামির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নামমাত্র তদন্ত করে ১৪ দিনের মাথায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সুপারিশের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেন। কিন্তু প্রতিবেদনটি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন তৎকালীন পুলিশ সুপার। এর মধ্যে বদলি হয়ে অন্যত্রে চলে যান মামুন। মামলাটির দ্বিতীয় দফায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই মোহাম্মদ আমির হোসেনকে। তিনি কোনো তদন্ত না করে পূর্বের কর্মকর্তার তদন্ত অগ্রগতি করেন মাত্র। মামলাটি তথ্যগত ভুল দাবি করে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন আমির হোসেন।
২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি আদালত ৯ নম্বর আদেশে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল পাওয়ার কথা উল্লেখ করে মূল ভিসেরা রিপোর্ট এবং অন্যান্য কিছু বিষয় তলব করেন।
২১ জানুয়ারি প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদীর আইনজীবী নারাজি দরখাস্ত দাখিল করেন। কিন্তু করোনাকালীন সময় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির শুনানি হয়নি।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর নারাজি দরখাস্ত শুনানির জন্য হাজিরা দাখিল করা হলে আদালত ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। রামু আদালতের জিআরও অফিসের সংরক্ষিত কার্যতালিকায় ১১ অক্টোবরের পাতায় মোট ২৬টি মামলার মধ্যে মোস্তাক হত্যা মামলাটি ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। যার পরবর্তী ধার্য দিন ছিল ২০ ডিসেম্বর।
কিন্তু জিআরও ইমাম হোসাইন অফিসে কর্মরত কনস্টেবল ময়েজ উদ্দিন, বেসরকারি কর্মচারী মনোরঞ্জন নাথ (মনু) এবং রামু উপজেলার উত্তর মিঠাছড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহাবুব পরস্পর যোগসাজশে ২০ ডিসেম্বর তারিখ পরিবর্তন করে ১০ নভেম্বর দেখিয়ে আদালতকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করে আগামী ২৪ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদালতের জিআরওর সঙ্গে কথা হয়। রামু থানার এসআই আমীর হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় তদন্তকারী হিসেবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
রামু আদালতের জিআরও এএসআই মো. ইমাম হোসাইন বাদীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন জানিয়ে বলেন, অফিসে কোনো জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। ম্যাজিস্ট্রেট স্যার যেভাবে তারিখ উল্লেখ করতে বলেছেন, সেভাবে করা হয়েছে। তিনি দেখেই স্বাক্ষরও করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক চন্দন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন মহল অবগত রয়েছে। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি বিশেষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের রামুতে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি সাদ্দাম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য জড়িত বলে অভিযোগে বলা হচ্ছে।
জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দুদক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী রামুর উত্তর মিঠছড়ি এলাকার নিহত মোস্তাক আহমদের স্ত্রী রেহেনা আক্তার। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উত্তর মিঠাছড়ি গাইনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তিনি ২০১৯ সালের ৬ মে রিকশায় ওঠাকে কেন্দ্র করে রিকশাচালক মোস্তাক আহমদকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আহত মোস্তাক বাদী হয়ে রামু থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
৯ মে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা যান মোস্তাক আহমদ। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে সাদ্দামকে আসামি করে রামু আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য রামু থানাকে নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন এসআই মামুন ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, মামুন ইসলাম আসামির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নামমাত্র তদন্ত করে ১৪ দিনের মাথায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সুপারিশের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেন। কিন্তু প্রতিবেদনটি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন তৎকালীন পুলিশ সুপার। এর মধ্যে বদলি হয়ে অন্যত্রে চলে যান মামুন। মামলাটির দ্বিতীয় দফায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই মোহাম্মদ আমির হোসেনকে। তিনি কোনো তদন্ত না করে পূর্বের কর্মকর্তার তদন্ত অগ্রগতি করেন মাত্র। মামলাটি তথ্যগত ভুল দাবি করে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন আমির হোসেন।
২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি আদালত ৯ নম্বর আদেশে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল পাওয়ার কথা উল্লেখ করে মূল ভিসেরা রিপোর্ট এবং অন্যান্য কিছু বিষয় তলব করেন।
২১ জানুয়ারি প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদীর আইনজীবী নারাজি দরখাস্ত দাখিল করেন। কিন্তু করোনাকালীন সময় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির শুনানি হয়নি।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর নারাজি দরখাস্ত শুনানির জন্য হাজিরা দাখিল করা হলে আদালত ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। রামু আদালতের জিআরও অফিসের সংরক্ষিত কার্যতালিকায় ১১ অক্টোবরের পাতায় মোট ২৬টি মামলার মধ্যে মোস্তাক হত্যা মামলাটি ৬ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। যার পরবর্তী ধার্য দিন ছিল ২০ ডিসেম্বর।
কিন্তু জিআরও ইমাম হোসাইন অফিসে কর্মরত কনস্টেবল ময়েজ উদ্দিন, বেসরকারি কর্মচারী মনোরঞ্জন নাথ (মনু) এবং রামু উপজেলার উত্তর মিঠাছড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহাবুব পরস্পর যোগসাজশে ২০ ডিসেম্বর তারিখ পরিবর্তন করে ১০ নভেম্বর দেখিয়ে আদালতকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করিয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করে আগামী ২৪ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
অভিযোগ সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদালতের জিআরওর সঙ্গে কথা হয়। রামু থানার এসআই আমীর হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় তদন্তকারী হিসেবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
রামু আদালতের জিআরও এএসআই মো. ইমাম হোসাইন বাদীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন জানিয়ে বলেন, অফিসে কোনো জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি। ম্যাজিস্ট্রেট স্যার যেভাবে তারিখ উল্লেখ করতে বলেছেন, সেভাবে করা হয়েছে। তিনি দেখেই স্বাক্ষরও করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক চন্দন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন মহল অবগত রয়েছে। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি বিশেষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে