নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বারিধারায় কনস্টেবল মনিরুল হক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর কনস্টেবল কাওছার আলী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। যদিও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এখনো বলে আসছে, কাওছারের অসুস্থতার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। এই অবস্থায় গত রোববার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কাওছারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ নিয়ে গেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের একটি টিম তাঁদের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিল।’ পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ নিয়ে গেছেন বলে জানালে ওসি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তিনি বলেন, কী কী ওষুধ খেত, তা জানার জন্য আনা হয়েছে। প্রয়োজনে আবার তা ফেরত দেওয়া হবে।
কাওছারের বাড়ি দৌলতপুরের দাড়েরপাড় গ্রামে। তাঁর মা মাবিয়া খাতুন জানান, রোববার রাতে দৌলতপুর থানার একদল পুলিশ তাঁদের বাড়িতে যায়। এই দলে ৮-৯ জন সদস্য ছিলেন। তবে তাঁরা সবাই সাদাপোশাকে ছিলেন।
মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘সাদাপোশাকের পুলিশ এসে আমাদের কাছে কাওছারের সব কাগজপত্র চায়। কী ওষুধ খেত, কোথায় চিকিৎসা নিয়েছে, সেগুলো সব নিয়ে গেছে। এ সময় আমরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের ছবি মোবাইলে তুলে রাখলে, ওই দলের এক ব্যক্তি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সব ডিলেট করে দেন। মানসিক রোগের যে ওষুধ কাওছার খেত, তাও নিয়ে যান তাঁরা।’
তদন্ত কমিটি গঠন
হত্যা মামলা ছাড়াও এ ঘটনায় ডিএমপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীমকে। অন্য দুই সদস্য হলেন ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এলিন চৌধুরী এবং ডিএমপি সদর দপ্তরের আইএডি বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই কমিটিকে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কাওছারের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) বলেন, ‘কাওছার মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে আমাদের কখনো জানাননি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা করান, সেটা তাঁর বিষয়। কিন্তু তিনি কখনো আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি চার বছর ধরে সুস্থ অবস্থায় ডিএমপিতে দায়িত্ব পালন করছেন। হত্যাকাণ্ডটি তাৎক্ষণিক উত্তেজনায় ঘটেছে।’
গাফিলাতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের নিজেদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি কথা-কাটাকাটি, এরপর গুলি—তাঁর কাছে এসএমজি ছিল। এসএমজি দিয়ে ফায়ার ওপেন করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। শুনে আসলেই আমরা সবাই বিচলিত হয়েছিলাম, এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে কেন হত্যা করবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা শুনেছি হয়তো তাঁর পারিবারিক কোনো অসুবিধা থাকতে পারে বা অন্য কোনো কিছু থাকতে পারে। কাজেই এখনই সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু আমরা বলতে পারছি না।’
রাজধানীর বারিধারায় কনস্টেবল মনিরুল হক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর কনস্টেবল কাওছার আলী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। যদিও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এখনো বলে আসছে, কাওছারের অসুস্থতার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। এই অবস্থায় গত রোববার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কাওছারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ নিয়ে গেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের একটি টিম তাঁদের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিল।’ পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ নিয়ে গেছেন বলে জানালে ওসি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে তিনি বলেন, কী কী ওষুধ খেত, তা জানার জন্য আনা হয়েছে। প্রয়োজনে আবার তা ফেরত দেওয়া হবে।
কাওছারের বাড়ি দৌলতপুরের দাড়েরপাড় গ্রামে। তাঁর মা মাবিয়া খাতুন জানান, রোববার রাতে দৌলতপুর থানার একদল পুলিশ তাঁদের বাড়িতে যায়। এই দলে ৮-৯ জন সদস্য ছিলেন। তবে তাঁরা সবাই সাদাপোশাকে ছিলেন।
মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘সাদাপোশাকের পুলিশ এসে আমাদের কাছে কাওছারের সব কাগজপত্র চায়। কী ওষুধ খেত, কোথায় চিকিৎসা নিয়েছে, সেগুলো সব নিয়ে গেছে। এ সময় আমরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের ছবি মোবাইলে তুলে রাখলে, ওই দলের এক ব্যক্তি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সব ডিলেট করে দেন। মানসিক রোগের যে ওষুধ কাওছার খেত, তাও নিয়ে যান তাঁরা।’
তদন্ত কমিটি গঠন
হত্যা মামলা ছাড়াও এ ঘটনায় ডিএমপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীমকে। অন্য দুই সদস্য হলেন ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার এলিন চৌধুরী এবং ডিএমপি সদর দপ্তরের আইএডি বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই কমিটিকে তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কাওছারের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) বলেন, ‘কাওছার মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে আমাদের কখনো জানাননি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা করান, সেটা তাঁর বিষয়। কিন্তু তিনি কখনো আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তিনি চার বছর ধরে সুস্থ অবস্থায় ডিএমপিতে দায়িত্ব পালন করছেন। হত্যাকাণ্ডটি তাৎক্ষণিক উত্তেজনায় ঘটেছে।’
গাফিলাতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের নিজেদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি কথা-কাটাকাটি, এরপর গুলি—তাঁর কাছে এসএমজি ছিল। এসএমজি দিয়ে ফায়ার ওপেন করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। শুনে আসলেই আমরা সবাই বিচলিত হয়েছিলাম, এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে কেন হত্যা করবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা শুনেছি হয়তো তাঁর পারিবারিক কোনো অসুবিধা থাকতে পারে বা অন্য কোনো কিছু থাকতে পারে। কাজেই এখনই সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু আমরা বলতে পারছি না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪