রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী শহরের গণপরিবহন বলতে শুধু রিকশা আর অটোরিকশা। ব্যাটারির চার্জে চলে যানবাহনগুলো। এগুলোর ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য শহরে অন্তত পাঁচ শতাধিক গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। কিন্তু গ্যারেজগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলে মাঝেমধ্যেই ঘটছে শর্ট সার্কিটের মতো ঘটনা। এতে অগ্নিকাণ্ড এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শহরে অন্তত ১০ হাজার অটোরিকশা ও পাঁচ হাজার রিকশা চলাচল করে। এগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য শহরের অলিতে-গলিতে গ্যারেজ রয়েছে প্রায় ৫০০ টি। একবার চার্জ দিতে লাগে ১৮০ টাকা। গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা চার্জ দিতে হয় রিকশা-অটোরিকশা। এসব গ্যারেজ চালাতে প্রয়োজন বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ এবং সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স। কিন্তু হাতে গোনা কিছু গ্যারেজ ছাড়া কারও লাইসেন্স নেই। অনেকে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চালাচ্ছেন বাণিজ্যিক গ্যারেজ।
গত বুধবার নগরীর কয়েকটি গ্যারেজ ঘুরে দেখা গেছে, গ্যারেজগুলোতে অনিরাপদভাবে ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এলোমেলো পড়ে আছে বিদ্যুতের তার। টিন দিয়ে ঘেরা গ্যারেজগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার। ফলে যে কোনো সময় তার পুড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। চার্জ দিতে যাওয়া চালকদেরও জীবন রয়েছে হুমকিতে।
গত বছরের ২০ আগস্ট নগরীর হড়গ্রাম এলাকায় অটোরিকশার গ্যারেজে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক চালক নিহত হন। সবশেষ গত মঙ্গলবার সকালে শর্ট সার্কিট থেকে নগরীর কয়েরদাড়া এলাকায় একটি গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩০টি রিকশা, দুটি মোটরসাইকেল ও ১২টি অটোরিকশা পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
ঝুঁকিপূর্ণ গ্যারেজগুলোর বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাইদ বলেন, ‘গ্যারেজগুলোর সবার যেন লাইসেন্স থাকে আমরা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু গ্যারেজ মালিকেরা আসছেন না। লাইসেন্স থাকা গ্যারেজের সংখ্যা খুবই কম। তিনি বলেন, আমরা গ্যারেজ মালিকদের সঙ্গে বসেছি। লাইসেন্স নিতে বলেছি। তাতে কাজ খুব একটা হয়নি। এখন লাইসেন্স না থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না এ রকম একটা নিয়ম চালু করতে পারলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু অনেকেই আবার আবাসিক লাইসেন্স নিয়েই বাণিজ্যিক গ্যারেজ চালাচ্ছে। এটাও দেখতে হবে।
জানতে চাইলে নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের পরিচালক ও সংরক্ষণ সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন, ‘আবাসিক সংযোগ নিয়ে গ্যারেজ চালানোর তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ধরনের তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যারেজ চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব শুধু লাইন পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত। তারপর গ্যারেজ মালিকেরা নিজেদের মতো করেই সবকিছু করে থাকেন। তাও আমরা পরামর্শ দিই যেন বিদ্যুৎ ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়।’
রাজশাহী শহরের গণপরিবহন বলতে শুধু রিকশা আর অটোরিকশা। ব্যাটারির চার্জে চলে যানবাহনগুলো। এগুলোর ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য শহরে অন্তত পাঁচ শতাধিক গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। কিন্তু গ্যারেজগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলে মাঝেমধ্যেই ঘটছে শর্ট সার্কিটের মতো ঘটনা। এতে অগ্নিকাণ্ড এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শহরে অন্তত ১০ হাজার অটোরিকশা ও পাঁচ হাজার রিকশা চলাচল করে। এগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য শহরের অলিতে-গলিতে গ্যারেজ রয়েছে প্রায় ৫০০ টি। একবার চার্জ দিতে লাগে ১৮০ টাকা। গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা চার্জ দিতে হয় রিকশা-অটোরিকশা। এসব গ্যারেজ চালাতে প্রয়োজন বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ এবং সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স। কিন্তু হাতে গোনা কিছু গ্যারেজ ছাড়া কারও লাইসেন্স নেই। অনেকে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চালাচ্ছেন বাণিজ্যিক গ্যারেজ।
গত বুধবার নগরীর কয়েকটি গ্যারেজ ঘুরে দেখা গেছে, গ্যারেজগুলোতে অনিরাপদভাবে ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এলোমেলো পড়ে আছে বিদ্যুতের তার। টিন দিয়ে ঘেরা গ্যারেজগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার। ফলে যে কোনো সময় তার পুড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। চার্জ দিতে যাওয়া চালকদেরও জীবন রয়েছে হুমকিতে।
গত বছরের ২০ আগস্ট নগরীর হড়গ্রাম এলাকায় অটোরিকশার গ্যারেজে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক চালক নিহত হন। সবশেষ গত মঙ্গলবার সকালে শর্ট সার্কিট থেকে নগরীর কয়েরদাড়া এলাকায় একটি গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩০টি রিকশা, দুটি মোটরসাইকেল ও ১২টি অটোরিকশা পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
ঝুঁকিপূর্ণ গ্যারেজগুলোর বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাইদ বলেন, ‘গ্যারেজগুলোর সবার যেন লাইসেন্স থাকে আমরা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু গ্যারেজ মালিকেরা আসছেন না। লাইসেন্স থাকা গ্যারেজের সংখ্যা খুবই কম। তিনি বলেন, আমরা গ্যারেজ মালিকদের সঙ্গে বসেছি। লাইসেন্স নিতে বলেছি। তাতে কাজ খুব একটা হয়নি। এখন লাইসেন্স না থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না এ রকম একটা নিয়ম চালু করতে পারলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু অনেকেই আবার আবাসিক লাইসেন্স নিয়েই বাণিজ্যিক গ্যারেজ চালাচ্ছে। এটাও দেখতে হবে।
জানতে চাইলে নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের পরিচালক ও সংরক্ষণ সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন, ‘আবাসিক সংযোগ নিয়ে গ্যারেজ চালানোর তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ধরনের তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যারেজ চালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব শুধু লাইন পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত। তারপর গ্যারেজ মালিকেরা নিজেদের মতো করেই সবকিছু করে থাকেন। তাও আমরা পরামর্শ দিই যেন বিদ্যুৎ ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে