শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ, (রংপুর)
রংপুরের তারাগঞ্জে ৭২ দিনেও লক্ষ্যমাত্রার এক শতাংশ ধান কিনতে পারেনি খাদ্যগুদাম। ৬৯৭ মেট্রিক টন ধান কেনার কথা থাকলেও গত বুধবার পর্যন্ত মাত্র ৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে ২ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন চাল ও ৬৯৭ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাল সংগ্রহ শেষ হলেও ৬৯৭ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে মাত্র ৩ মেট্রিক টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা ও চাল ৪০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু শুকানো কম হলে তারা নিতে চায় না। ধান নিয়ে ফেরত আসতে হয়। ভ্যান খরচ, খাদ্যগুদামে শ্রমিকদের চাঁদা—এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। বাজারে পাইকারদের কাছে ধান বেচতে কোনো ঝামেলা নেই। ধান মাড়াইয়ের পর তাঁরা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি।
ডাংগীরহাট গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া (৩৮) বলেন, ‘ধান ডাঙ্গে পিড়ার মাথাত বেচাইলে ৭১০ টাকা মণ (২৮ কেজি এক মণ) দরে পাইকার বাড়িত আসি কিনি নিয়া যায়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্যে শুকি, হাকে দিবার গেইলে হইবে ছয়-সাত ধারা (তিন কেজি ৫০০ গ্রামে এক ধারা)। ২৭ টাকা কেজি দরে সাত ধারার দাম ৬৭৩ টাকা। খাদ্যগুদামোত ধান নিজের ভাড়া দিয়া নিগার নাগে। হিসাব করি দেখছি, খাদ্যগুদামোত ধান দিবার গেইলে ঝামেলা বেশি, লসও হয়। সেই তকনে এবার ধান দেও নাই।’
খাদ্যগুদামে ধান দিবার বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িরহাট গ্রামের সাদ্দাম হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘খাদ্যগুদামোত ধান দিবার গেইলে খাজনার চাইতে বাজনা বেশি হয়া যায়। এক টন ধান নিগাইলে তাক ভ্যান থাকি নামার জন্যে ওইঠাকার লেবারেরা ৫০০ টাকা নেয়। ফির ভ্যান ভাড়া যায় ৬০০ টাকা। তার ওপর আরও ঝামেলা থাকে। গরিব কৃষকের জন্যে ওগলা খাদ্যগুদাম নোয়ায়। খাদ্যগুদামোত ধান দেওয়া কথা কন না। যদি ধান ৩০০ টাকা মণ উঠে তখন ভাবি দেখমো ওটে ধান দেওয়া যায় কি না।’
জানতে চাইলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। খাদ্যগুদামে ধান দিতে যে নিয়মগুলো মানতে হয়, সেভাবে দিতে গেলে কৃষকদের খরচ বেশি হয়। এ বছর সরকারি মূল্য ও বাজারদর প্রায় সমান। তাই কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।’
রংপুরের তারাগঞ্জে ৭২ দিনেও লক্ষ্যমাত্রার এক শতাংশ ধান কিনতে পারেনি খাদ্যগুদাম। ৬৯৭ মেট্রিক টন ধান কেনার কথা থাকলেও গত বুধবার পর্যন্ত মাত্র ৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার আমন মৌসুমে ২ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন চাল ও ৬৯৭ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাল সংগ্রহ শেষ হলেও ৬৯৭ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে মাত্র ৩ মেট্রিক টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। প্রতি কেজি ধান ২৭ টাকা ও চাল ৪০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্যগুদামে দেওয়া ধান একটু শুকানো কম হলে তারা নিতে চায় না। ধান নিয়ে ফেরত আসতে হয়। ভ্যান খরচ, খাদ্যগুদামে শ্রমিকদের চাঁদা—এসব বাড়তি খরচ তো আছেই। বাজারে পাইকারদের কাছে ধান বেচতে কোনো ঝামেলা নেই। ধান মাড়াইয়ের পর তাঁরা বাড়ি থেকে কিনে নিয়ে যান। বর্তমানে সরকারি মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি।
ডাংগীরহাট গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া (৩৮) বলেন, ‘ধান ডাঙ্গে পিড়ার মাথাত বেচাইলে ৭১০ টাকা মণ (২৮ কেজি এক মণ) দরে পাইকার বাড়িত আসি কিনি নিয়া যায়। আর ওই এক মণ ধান খাদ্যগুদামের জন্যে শুকি, হাকে দিবার গেইলে হইবে ছয়-সাত ধারা (তিন কেজি ৫০০ গ্রামে এক ধারা)। ২৭ টাকা কেজি দরে সাত ধারার দাম ৬৭৩ টাকা। খাদ্যগুদামোত ধান নিজের ভাড়া দিয়া নিগার নাগে। হিসাব করি দেখছি, খাদ্যগুদামোত ধান দিবার গেইলে ঝামেলা বেশি, লসও হয়। সেই তকনে এবার ধান দেও নাই।’
খাদ্যগুদামে ধান দিবার বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িরহাট গ্রামের সাদ্দাম হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘খাদ্যগুদামোত ধান দিবার গেইলে খাজনার চাইতে বাজনা বেশি হয়া যায়। এক টন ধান নিগাইলে তাক ভ্যান থাকি নামার জন্যে ওইঠাকার লেবারেরা ৫০০ টাকা নেয়। ফির ভ্যান ভাড়া যায় ৬০০ টাকা। তার ওপর আরও ঝামেলা থাকে। গরিব কৃষকের জন্যে ওগলা খাদ্যগুদাম নোয়ায়। খাদ্যগুদামোত ধান দেওয়া কথা কন না। যদি ধান ৩০০ টাকা মণ উঠে তখন ভাবি দেখমো ওটে ধান দেওয়া যায় কি না।’
জানতে চাইলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। খাদ্যগুদামে ধান দিতে যে নিয়মগুলো মানতে হয়, সেভাবে দিতে গেলে কৃষকদের খরচ বেশি হয়। এ বছর সরকারি মূল্য ও বাজারদর প্রায় সমান। তাই কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে