মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র ইনসুলিন হরমোনের অভাবজনিত একটি রোগ। এই রোগে দেহের যেসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আক্রান্ত হয়, চোখ এর একটি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এপিডেমিওলজিক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ডায়াবেটিসের জন্য রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ রোগী দৃষ্টিস্বল্পতায় ভুগছে। এটা অবশ্য নির্ভর করে রোগী কত দিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এর ওপর।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর সময় যত বেশি যাবে, চোখ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে। চোখের গুরুত্বপূর্ণ অংশ রেটিনা। সংবেদনশীল এই পর্দা অক্ষিগোলকের ভেতরের দিকে থাকে। আমরা যা দেখি, এর ছবি প্রতিফলিত হয় এই পর্দার ওপর।
এরপর তা বিভিন্ন নিউরোকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুহূর্তে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় এবং আমরা আমাদের চারপাশের ছবি দেখি। অনেকে ভাবেন, ছানি
অথবা অস্বচ্ছ লেন্সের জন্যই শুধু আমাদের দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। এ ধারণা ঠিক নয়। স্বচ্ছ লেন্স আলোকে রেটিনার ওপর প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে মাত্র। রেটিনা মূল সংবেদনশীল স্নায়ুপর্দা, যা প্রতিফলিত ছবিটিকে প্রক্রিয়াজাতের পর দৃশ্যমান করে। তাই কারও রেটিনা যখন আক্রান্ত হয়, তখন স্বচ্ছ লেন্স থাকার পরও অথবা অস্বচ্ছ লেন্স (ছানি) সরিয়ে স্বচ্ছ কৃত্রিম লেন্স (আইওএল) প্রতিস্থাপনের পরও ওই ব্যক্তি দেখতে পায় না।
রেটিনা যেভাবে আক্রান্ত হয়
ডায়াবেটিসে রেটিনায় সূক্ষ্ম রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতে একরকম রক্তশূন্যতা অথবা অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে কেন্দ্রীয় রেটিনায় পানি ও তেলজাতীয় পদার্থ জমে ফুলে যায় অথবা রেটিনায় অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য রেটিনার বিভিন্ন জায়গায় নতুন রক্তনালির সৃষ্টি হয়। এসব রক্তনালি স্বাভাবিক রক্তনালির মতো পরিপক্ব হয় না। এই নতুন অপরিপক্ব রক্তনালি খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে চোখের ভেতর রক্তক্ষরণ হয় এবং দৃষ্টিশক্তি একেবারেই চলে যায়।
ডায়াবেটিসজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধের উপায়
এসব সমস্যা প্রতিরোধ অথবা প্রতিকারের জন্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন। গবেষণার ফলে কিছু কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতিরও উদ্ভব হয়েছে, যাতে কর্মক্ষম দৃষ্টিকে দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়, যদিও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি একেবারে ভালো হয় না।
চিকিৎসা
চিকিৎসার ফলাফল
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিকে বলা হয় চোখ অন্ধকারী রোগ বা ব্লাইন্ডিং ডিজিজ। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ কর্মক্ষম দৃষ্টিকে অনেক দীর্ঘায়িত করতে পারে এবং পরবর্তী জটিলতা থেকে মুক্ত রাখতে পারে। অবহেলা, অসচেতনতা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিকে আরও জটিল করে এমন অবস্থায় নিয়ে যায়, যা আর চিকিৎসাযোগ্য থাকে না। ফলে স্থায়ী অন্ধত্ব বরণ করতে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীর সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার, চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক ফ্যাকাল্টি, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র ইনসুলিন হরমোনের অভাবজনিত একটি রোগ। এই রোগে দেহের যেসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আক্রান্ত হয়, চোখ এর একটি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এপিডেমিওলজিক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ডায়াবেটিসের জন্য রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ রোগী দৃষ্টিস্বল্পতায় ভুগছে। এটা অবশ্য নির্ভর করে রোগী কত দিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, এর ওপর।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর সময় যত বেশি যাবে, চোখ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে। চোখের গুরুত্বপূর্ণ অংশ রেটিনা। সংবেদনশীল এই পর্দা অক্ষিগোলকের ভেতরের দিকে থাকে। আমরা যা দেখি, এর ছবি প্রতিফলিত হয় এই পর্দার ওপর।
এরপর তা বিভিন্ন নিউরোকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুহূর্তে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় এবং আমরা আমাদের চারপাশের ছবি দেখি। অনেকে ভাবেন, ছানি
অথবা অস্বচ্ছ লেন্সের জন্যই শুধু আমাদের দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হয়। এ ধারণা ঠিক নয়। স্বচ্ছ লেন্স আলোকে রেটিনার ওপর প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে মাত্র। রেটিনা মূল সংবেদনশীল স্নায়ুপর্দা, যা প্রতিফলিত ছবিটিকে প্রক্রিয়াজাতের পর দৃশ্যমান করে। তাই কারও রেটিনা যখন আক্রান্ত হয়, তখন স্বচ্ছ লেন্স থাকার পরও অথবা অস্বচ্ছ লেন্স (ছানি) সরিয়ে স্বচ্ছ কৃত্রিম লেন্স (আইওএল) প্রতিস্থাপনের পরও ওই ব্যক্তি দেখতে পায় না।
রেটিনা যেভাবে আক্রান্ত হয়
ডায়াবেটিসে রেটিনায় সূক্ষ্ম রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতে একরকম রক্তশূন্যতা অথবা অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে কেন্দ্রীয় রেটিনায় পানি ও তেলজাতীয় পদার্থ জমে ফুলে যায় অথবা রেটিনায় অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য রেটিনার বিভিন্ন জায়গায় নতুন রক্তনালির সৃষ্টি হয়। এসব রক্তনালি স্বাভাবিক রক্তনালির মতো পরিপক্ব হয় না। এই নতুন অপরিপক্ব রক্তনালি খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে চোখের ভেতর রক্তক্ষরণ হয় এবং দৃষ্টিশক্তি একেবারেই চলে যায়।
ডায়াবেটিসজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধের উপায়
এসব সমস্যা প্রতিরোধ অথবা প্রতিকারের জন্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন। গবেষণার ফলে কিছু কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতিরও উদ্ভব হয়েছে, যাতে কর্মক্ষম দৃষ্টিকে দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়, যদিও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি একেবারে ভালো হয় না।
চিকিৎসা
চিকিৎসার ফলাফল
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিকে বলা হয় চোখ অন্ধকারী রোগ বা ব্লাইন্ডিং ডিজিজ। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ কর্মক্ষম দৃষ্টিকে অনেক দীর্ঘায়িত করতে পারে এবং পরবর্তী জটিলতা থেকে মুক্ত রাখতে পারে। অবহেলা, অসচেতনতা ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিকে আরও জটিল করে এমন অবস্থায় নিয়ে যায়, যা আর চিকিৎসাযোগ্য থাকে না। ফলে স্থায়ী অন্ধত্ব বরণ করতে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীর সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার, চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাবেক ফ্যাকাল্টি, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে