বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রায়হান রাফী, প্রযোজনা করেছে আলফা আই স্টুডিওজ লিমিটেড। সঙ্গে আছে চরকি ও ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ। তুফান বাংলাদেশের সিনেমা হলেও শুটিং হয়েছে ভারতে। দেশের অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ভারতীয় শিল্পীরাও। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা হচ্ছিল আগে থেকেই। এবার তুফানের অর্থায়ন ও নির্মাণপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রযোজকেরা।
সিনেপ্লেক্সে দেশের সিনেমা, হলের মানোন্নয়ন, ঈদের সিনেমাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার বিএফডিসিতে কথা বলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের নেতারা। সেখানেই তুফান সিনেমার নির্মাণপ্রক্রিয়া ও অর্থায়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রযোজকেরা। প্রযোজক আরশাদ আদনান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি তুফানের বাজেট ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা সেখানে কীভাবে নেওয়া হয়েছে? তারা কি এনবিআরের ছাড়পত্র নিয়েছেন? একজন প্রযোজক হিসেবেও আমি তাহলে জানতে পারব কীভাবে টাকা নেওয়া সম্ভব।’
আরশাদ আদনান আরও বলেন, ‘৬০ লাখ বা ৮০ লাখ টাকা এনবিআরকে দেখিয়ে ওখানে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার সিনেমা বানাল। বিদেশে কাজ করার একটি নিয়মনীতি তো আছে। দেখানো হয়েছে শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরীর পেমেন্ট বাংলাদেশে পরিশোধ হয়েছে। তিন শিফট কাজ করে কি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে পুরো সিনেমাটা বানানো আদৌ সম্ভব? এই প্রশ্নগুলো করার সময় এসেছে। হিমাংশু ধানুকা বাংলাদেশে যেভাবে ঢুকেছিল, একই মোড়কে এসভিএফ ঢুকছে। তারা বাংলাদেশে কাজ করবে কিন্তু কাজ এখানে হবে না। পুরো কাজ কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হবে। আমাদের দেশের কলাকুশলীরা বেকার বসে থাকবেন।’
১৯ সংগঠনের আহ্বায়ক প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমাদের দেশের সিনেমার কথা বলে শুটিংসহ যাবতীয় কাজ হচ্ছে সেখানে (ভারতে)। শুধু আমাদের দু-একজন শিল্পী কাজ করছে। একটি ফুল প্যাকেজ সেখানে বানিয়ে আমাদের দেশে মুক্তি দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি বিলীন হয়ে যাবে। এই বিষয়ে আমাদের দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তুফান সিনেমার প্রযোজক আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘প্রথমেই সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তুফান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নয়। তুফান বাংলাদেশের সিনেমা। যার প্রযোজক আলফা আই স্টুডিওজ লিমিটেড। এর ডিজিটাল পার্টনার চরকি আর ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার এসভিএফ। বাংলাদেশে যত নিয়মকানুন তা মেনেই নির্মিত হয়েছে তুফান। তথ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, সেন্সর বোর্ডের সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে বলেই আমরা সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছি।’
প্রযোজকদের এই অভিযোগের প্রসঙ্গে শাকিল বলেন, ‘এর আগেও এই সিনেমা নিয়ে নানাভাবে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা সেগুলো আমলে নিইনি। এখন যে প্রশ্নগুলো উঠছে এটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারও মনে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তথ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর থেকে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে। আমার মনে হয়, তাঁদের কাছে ইনফরমেশনের ঘাটতি আছে। আমাদের কাছে তারা জানতে চাইতে পারত। কিন্তু এভাবে সিনেমা আটকানোর চেষ্টা কিংবা না জেনে এমন বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।’
শাকিল আরও বলেন, ‘সবাই মিলেমিশে ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে হবে। এই কালচারটা খুব জরুরি। এখানে পেছনে লাগার কিছু নাই। ক্ষমতার অপব্যবহার যদি কেউ করতে চায়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না।’
নব্বইয়ের দশকের ঢাকার এক গ্যাংস্টারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তুফানের চিত্রনাট্য। শাকিব খানের সঙ্গে আছেন ঢাকার নাবিলা ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী। বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
যে প্রশ্নগুলো উঠছে এটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারও মনে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তথ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর থেকে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে। আমার মনে হয়, তাঁদের কাছে ইনফরমেশনের ঘাটতি আছে। আমাদের কাছে তারা জানতে চাইতে পারত। কিন্তু এভাবে সিনেমা আটকানোর চেষ্টা কিংবা না জেনে এমন বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।
—শাহরিয়ার শাকিল, প্রযোজক
৬০ লাখ না ৮০ লাখ টাকা এনবিআরকে দেখিয়ে ওখানে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার সিনেমা বানাল। বিদেশে কাজ করার একটি নিয়মনীতি তো আছে। ... তিন শিফট কাজ করে কি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে পুরো সিনেমাটা বানানো আদৌ সম্ভব? এই প্রশ্নগুলো করার সময় এসেছে। হিমাংশু ধানুকা বাংলাদেশে যেভাবে ঢুকেছিল, একই মোড়কে এসভিএফ ঢুকছে।
—আরশাদ আদনান, প্রযোজক
বিনোদন সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রায়হান রাফী, প্রযোজনা করেছে আলফা আই স্টুডিওজ লিমিটেড। সঙ্গে আছে চরকি ও ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ। তুফান বাংলাদেশের সিনেমা হলেও শুটিং হয়েছে ভারতে। দেশের অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ভারতীয় শিল্পীরাও। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা হচ্ছিল আগে থেকেই। এবার তুফানের অর্থায়ন ও নির্মাণপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রযোজকেরা।
সিনেপ্লেক্সে দেশের সিনেমা, হলের মানোন্নয়ন, ঈদের সিনেমাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার বিএফডিসিতে কথা বলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের নেতারা। সেখানেই তুফান সিনেমার নির্মাণপ্রক্রিয়া ও অর্থায়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রযোজকেরা। প্রযোজক আরশাদ আদনান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি তুফানের বাজেট ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা সেখানে কীভাবে নেওয়া হয়েছে? তারা কি এনবিআরের ছাড়পত্র নিয়েছেন? একজন প্রযোজক হিসেবেও আমি তাহলে জানতে পারব কীভাবে টাকা নেওয়া সম্ভব।’
আরশাদ আদনান আরও বলেন, ‘৬০ লাখ বা ৮০ লাখ টাকা এনবিআরকে দেখিয়ে ওখানে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার সিনেমা বানাল। বিদেশে কাজ করার একটি নিয়মনীতি তো আছে। দেখানো হয়েছে শাকিব খান ও চঞ্চল চৌধুরীর পেমেন্ট বাংলাদেশে পরিশোধ হয়েছে। তিন শিফট কাজ করে কি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে পুরো সিনেমাটা বানানো আদৌ সম্ভব? এই প্রশ্নগুলো করার সময় এসেছে। হিমাংশু ধানুকা বাংলাদেশে যেভাবে ঢুকেছিল, একই মোড়কে এসভিএফ ঢুকছে। তারা বাংলাদেশে কাজ করবে কিন্তু কাজ এখানে হবে না। পুরো কাজ কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হবে। আমাদের দেশের কলাকুশলীরা বেকার বসে থাকবেন।’
১৯ সংগঠনের আহ্বায়ক প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমাদের দেশের সিনেমার কথা বলে শুটিংসহ যাবতীয় কাজ হচ্ছে সেখানে (ভারতে)। শুধু আমাদের দু-একজন শিল্পী কাজ করছে। একটি ফুল প্যাকেজ সেখানে বানিয়ে আমাদের দেশে মুক্তি দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি বিলীন হয়ে যাবে। এই বিষয়ে আমাদের দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তুফান সিনেমার প্রযোজক আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘প্রথমেই সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তুফান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নয়। তুফান বাংলাদেশের সিনেমা। যার প্রযোজক আলফা আই স্টুডিওজ লিমিটেড। এর ডিজিটাল পার্টনার চরকি আর ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনার এসভিএফ। বাংলাদেশে যত নিয়মকানুন তা মেনেই নির্মিত হয়েছে তুফান। তথ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, সেন্সর বোর্ডের সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে বলেই আমরা সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছি।’
প্রযোজকদের এই অভিযোগের প্রসঙ্গে শাকিল বলেন, ‘এর আগেও এই সিনেমা নিয়ে নানাভাবে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা সেগুলো আমলে নিইনি। এখন যে প্রশ্নগুলো উঠছে এটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারও মনে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তথ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর থেকে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে। আমার মনে হয়, তাঁদের কাছে ইনফরমেশনের ঘাটতি আছে। আমাদের কাছে তারা জানতে চাইতে পারত। কিন্তু এভাবে সিনেমা আটকানোর চেষ্টা কিংবা না জেনে এমন বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।’
শাকিল আরও বলেন, ‘সবাই মিলেমিশে ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে হবে। এই কালচারটা খুব জরুরি। এখানে পেছনে লাগার কিছু নাই। ক্ষমতার অপব্যবহার যদি কেউ করতে চায়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না।’
নব্বইয়ের দশকের ঢাকার এক গ্যাংস্টারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে তুফানের চিত্রনাট্য। শাকিব খানের সঙ্গে আছেন ঢাকার নাবিলা ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী। বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
যে প্রশ্নগুলো উঠছে এটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারও মনে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তথ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআর থেকে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে। আমার মনে হয়, তাঁদের কাছে ইনফরমেশনের ঘাটতি আছে। আমাদের কাছে তারা জানতে চাইতে পারত। কিন্তু এভাবে সিনেমা আটকানোর চেষ্টা কিংবা না জেনে এমন বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।
—শাহরিয়ার শাকিল, প্রযোজক
৬০ লাখ না ৮০ লাখ টাকা এনবিআরকে দেখিয়ে ওখানে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার সিনেমা বানাল। বিদেশে কাজ করার একটি নিয়মনীতি তো আছে। ... তিন শিফট কাজ করে কি ৬০ লাখ টাকা দিয়ে পুরো সিনেমাটা বানানো আদৌ সম্ভব? এই প্রশ্নগুলো করার সময় এসেছে। হিমাংশু ধানুকা বাংলাদেশে যেভাবে ঢুকেছিল, একই মোড়কে এসভিএফ ঢুকছে।
—আরশাদ আদনান, প্রযোজক
বিনোদন সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪