তামিম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার শাখানদী হিসনা তার উৎপত্তিস্থল এলাকায় বাঁধের কারণে প্রবাহ হারিয়েছে এক যুগের বেশি সময় আগে। এখন দখল আর দূষণে প্রাণ যায় যায় অবস্থা নদীটির।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, নদীটির প্রবাহ ফেরাতে ইতিমধ্যে তারা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর আওতায় দখলদারদের উচ্ছেদ ও নদী খননের কাজ শুরু হবে দ্রুত। এতে আবার নদীটির নাব্যতা ফিরবে বলে আশা কুষ্টিয়া পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর। তবে নদীটির দখলদারদের কোনো তথ্য দিতে পারেনি পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসন।
কুষ্টিয়া পাউবো সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুণ্ডি এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে নদীটি প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বয়ে যাওয়ার পর চাপাইগাছি বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানের কাছে দখলদারদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিসনা নদী দখলদারদের তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তাঁরা একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিষকুণ্ডি থেকে তারাগুনিয়া ফারাকপুর পর্যন্ত ৮ কিমি হিসনা খনন করে পাউবো। তবে তার বেশির ভাগই দখলদারদের হাতে চলে যায়। খনন করা অংশের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে চাষ করা হচ্ছে মাছ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে পানি না থাকায় জেগে ওঠা ছোট ছোট চরে শিশু-কিশোরেরা খেলা করছে। আবার কেউ গবাদিপশু পালন করছেন। কোথাও ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কেউ দখল করে দোকানঘর ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
আবার কেউ নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।
দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, তিনি দখলের বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন জানিয়ে বলেন, মোবাইল ফোনে না, এ বিষয়ে সরাসরি কথা বললে ভালো হয়।
এ বিষয়ে নদীপাড়ের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, হিসনা নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করে এর গতিপথ ফেরানো হোক। তা ছাড়া নদীর দুই পাড়ে পরিকল্পিতভাবে বনায়ন করার পাশাপাশি এর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার হলে উৎপাদন বাড়বে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
ষাটোর্ধ্ব বাহারউদ্দিন বলেন, ‘একসময় এ নদীতে নৌকা চলত। মানুষ ওই নদীর পানি খাওয়া ও গোসলের কাজে ব্যবহার করতেন। ইচ্ছেমতো মানুষ মাছ শিকার করতেন। এখন তো আর নদী সরকারি নেই, মানুষের দখলে চলে গেছে।’
উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সাইদুল আনাম জানান, লিজের (ইজারা) নামে খণ্ড খণ্ড বাঁধ দিয়ে নদীকে পুকুরে পরিণত করে মাছ চাষ করছে একদল প্রভাবশালী। এতে নদীর প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া নদীর পাড় দখল করে অনেকেই স্থাপনা তৈরি করেছেন। কোথাও কোথাও কলকারখানার বর্জ্য ও ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে।
সানোয়ার হোসেন নামের একজন জানান, নদীর অবৈধ দখল আর দূষণরোধে প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। তা না হলে একসময় এই নদী তার পুরো অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিসনার প্রবাহ ফেরাতে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত নদীর দখলদারদের উচ্ছেদ করে খননের কাজ শুরু করা হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার শাখানদী হিসনা তার উৎপত্তিস্থল এলাকায় বাঁধের কারণে প্রবাহ হারিয়েছে এক যুগের বেশি সময় আগে। এখন দখল আর দূষণে প্রাণ যায় যায় অবস্থা নদীটির।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, নদীটির প্রবাহ ফেরাতে ইতিমধ্যে তারা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর আওতায় দখলদারদের উচ্ছেদ ও নদী খননের কাজ শুরু হবে দ্রুত। এতে আবার নদীটির নাব্যতা ফিরবে বলে আশা কুষ্টিয়া পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর। তবে নদীটির দখলদারদের কোনো তথ্য দিতে পারেনি পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসন।
কুষ্টিয়া পাউবো সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুণ্ডি এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে নদীটি প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বয়ে যাওয়ার পর চাপাইগাছি বিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানের কাছে দখলদারদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হিসনা নদী দখলদারদের তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তাঁরা একটি তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিষকুণ্ডি থেকে তারাগুনিয়া ফারাকপুর পর্যন্ত ৮ কিমি হিসনা খনন করে পাউবো। তবে তার বেশির ভাগই দখলদারদের হাতে চলে যায়। খনন করা অংশের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে চাষ করা হচ্ছে মাছ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে পানি না থাকায় জেগে ওঠা ছোট ছোট চরে শিশু-কিশোরেরা খেলা করছে। আবার কেউ গবাদিপশু পালন করছেন। কোথাও ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কেউ দখল করে দোকানঘর ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
আবার কেউ নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন।
দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, তিনি দখলের বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন জানিয়ে বলেন, মোবাইল ফোনে না, এ বিষয়ে সরাসরি কথা বললে ভালো হয়।
এ বিষয়ে নদীপাড়ের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, হিসনা নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করে এর গতিপথ ফেরানো হোক। তা ছাড়া নদীর দুই পাড়ে পরিকল্পিতভাবে বনায়ন করার পাশাপাশি এর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার হলে উৎপাদন বাড়বে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
ষাটোর্ধ্ব বাহারউদ্দিন বলেন, ‘একসময় এ নদীতে নৌকা চলত। মানুষ ওই নদীর পানি খাওয়া ও গোসলের কাজে ব্যবহার করতেন। ইচ্ছেমতো মানুষ মাছ শিকার করতেন। এখন তো আর নদী সরকারি নেই, মানুষের দখলে চলে গেছে।’
উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সাইদুল আনাম জানান, লিজের (ইজারা) নামে খণ্ড খণ্ড বাঁধ দিয়ে নদীকে পুকুরে পরিণত করে মাছ চাষ করছে একদল প্রভাবশালী। এতে নদীর প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া নদীর পাড় দখল করে অনেকেই স্থাপনা তৈরি করেছেন। কোথাও কোথাও কলকারখানার বর্জ্য ও ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে।
সানোয়ার হোসেন নামের একজন জানান, নদীর অবৈধ দখল আর দূষণরোধে প্রশাসনের ভূমিকা জরুরি। তা না হলে একসময় এই নদী তার পুরো অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হিসনার প্রবাহ ফেরাতে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত নদীর দখলদারদের উচ্ছেদ করে খননের কাজ শুরু করা হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে