উড়ালসড়কের গায়ে বাংলাদেশের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানীর মহাখালী উড়ালসড়ক বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচনায়। এই আলোচনার অন্যতম কারণ, উড়ালসড়কের গায়ে পড়েছে তুলির আঁচড়। সিমেন্টের প্লাস্টারের আবরণ হয়ে উঠছে রঙিন, ঢেকে যাচ্ছে চিত্রকর্মে।

তেজগাঁওয়ের বিজয় সরণির দিক থেকে উঠে আসা মহাখালী উড়ালসড়ক নেমেছে বনানীতে বিমানবন্দরে সড়কে। ১৯টি পিলারের ওপর নির্মিত এ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ১২ কিলোমিটার। এর মধ্যে মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে আমতলী সিগন্যাল পর্যন্ত উড়ালসড়কের ১৪টি পিলারের ওপর থাকা সিলিং সাজছে রঙে। জানা যায়, এসব চিত্রকর্মের কাজ করছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। তাদের ‘Wrong (ভুল) বদলে রঙিন করি’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এটি করা হচ্ছে।

এর আগে গত বছর ঢাকার মৌচাক-মগবাজার উড়ালসড়কেও এ ধরনের চিত্রকর্মের কাজ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মূলত পোস্টার লাগানো ঠেকাতেই উড়ালসড়কে এই গ্রাফিতি আঁকার উদ্যোগ।

গতকাল বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে উড়ালসড়কের অর্ধেকের বেশি অংশে চিত্রকর্মের কাজ শেষ। বাকি কাজ চলছে। বাংলা ভাষা, মুক্তিযুদ্ধ, গ্রাম্য মেলার টেপা পুতুল, পাখি, বাউল, নানা আলপনা, রিকশা, বাসের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে মহাখালী উড়ালসড়কের সিলিংজুড়ে। এ ছাড়া উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে চলাচল করা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ‘গাছ বাঁচাও জীবন বাঁচাও’, ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’, ‘বাঁচলে দেশ আমরা বাঁচবো বেশ’ এমন নানা স্লোগান লেখা হয়েছে। মহাখালী উড়ালসড়কটিতে রঙের আঁচড় দিচ্ছেন রাসেল রানা ও শাকিল মৃধা নামের দুই শিল্পী। তাঁদের নির্দেশক আরিফ সিদ্দিকী নিটোল ও তাহসিনা ফেরদৌস রিনিয়া।

তাহসিনা ফেরদৌস রিনিয়া বলেন, গত আগস্টে তাঁদের এজেন্সি ট্রান্সফরমিং রিয়েলিটি ইনটু আর্ট (ট্রা) এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়। আর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হতে আরও দুই মাস লাগবে। তবে মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। তিনি বলেন, উড়ালসড়কের মোট ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৬৯ বর্গফুট অংশ চিত্রকর্মে সাজানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত