মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একমাত্র সরকারি পর্যটনকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুনে। নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে আড়াই বছর। এ পর্যন্ত দৃশ্যমান শুধু সীমানাপ্রাচীর। এখন চলছে ভূমি উন্নয়নকাজ। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় ব্যয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্পটি সংশোধনের পর দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি টাকায়। কাজ শেষ করতে সময় চাওয়া হয়েছে আরও সাড়ে তিন বছর।
এদিকে প্রকল্পটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না দেখে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জনবান্ধব ও মানসম্মত করতে প্রকল্পে সংশোধনী আনা হয়েছে। এতেই ব্যয় ও সময় বাড়ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। এ জেলার পর্যটনের বিকাশে অর্ধশতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। শহরের অদূরে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুসংলগ্ন এলাকায় ৪৪ একর জমির ওপর পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, সেখানে হোটেল কমপ্লেক্স, বিনোদন, ভ্রমণ, বাণিজ্যিক পর্যটন, খেলাধুলাসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদচারণে মুখর হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিকুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানসম্মত কোনো পর্যটনকেন্দ্র নেই। ৬ বছর আগে শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের খবরে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তবে আজ পর্যন্ত প্রকল্পটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এটা হতাশার। আমরা চাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।’
ওই এলাকার আরেক যুবক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটিতে এখন শুধু সীমানাপ্রাচীর ও বালু ভরাট করা হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। এখন শীত মৌসুম চলছে; পর্যটক আসার সময়। কিন্তু ভালো মানের থাকার ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন। আমপ্রধান অঞ্চল হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেশ ও দেশের বাইরের লোকজন আসেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেলে সেখান থেকে এলাকার অর্থনীতি চাঙা হবে; পাশাপাশি হাজারো বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।’
সদর উপজেলার ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্রটি দ্রুত চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। একদিকে যেমন বাড়বে কর্মসংস্থান, তেমনি প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটক এলে সার্বিকভাবে লাভবান হবে এই অঞ্চলের মানুষ।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আরও বেশি জনবান্ধব ও মানসম্মত করতে প্রকল্পটির পরিকল্পনায় সংশোধনী আনা হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে অবকাঠামোর নকশায়। এতে ব্যয় ও সময়—দুটোই বাড়ছে। একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে প্রকল্পটি। অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে এক জনসভায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটনের বিকাশে অনেক সুযোগ রয়েছে, আমরা সেটি কাজে লাগাতে চাই।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একমাত্র সরকারি পর্যটনকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুনে। নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে আড়াই বছর। এ পর্যন্ত দৃশ্যমান শুধু সীমানাপ্রাচীর। এখন চলছে ভূমি উন্নয়নকাজ। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় ব্যয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্পটি সংশোধনের পর দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি টাকায়। কাজ শেষ করতে সময় চাওয়া হয়েছে আরও সাড়ে তিন বছর।
এদিকে প্রকল্পটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না দেখে হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জনবান্ধব ও মানসম্মত করতে প্রকল্পে সংশোধনী আনা হয়েছে। এতেই ব্যয় ও সময় বাড়ছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। এ জেলার পর্যটনের বিকাশে অর্ধশতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। শহরের অদূরে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুসংলগ্ন এলাকায় ৪৪ একর জমির ওপর পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, সেখানে হোটেল কমপ্লেক্স, বিনোদন, ভ্রমণ, বাণিজ্যিক পর্যটন, খেলাধুলাসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদচারণে মুখর হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিকুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানসম্মত কোনো পর্যটনকেন্দ্র নেই। ৬ বছর আগে শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের খবরে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তবে আজ পর্যন্ত প্রকল্পটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এটা হতাশার। আমরা চাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক।’
ওই এলাকার আরেক যুবক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পটিতে এখন শুধু সীমানাপ্রাচীর ও বালু ভরাট করা হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। এখন শীত মৌসুম চলছে; পর্যটক আসার সময়। কিন্তু ভালো মানের থাকার ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন। আমপ্রধান অঞ্চল হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেশ ও দেশের বাইরের লোকজন আসেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেলে সেখান থেকে এলাকার অর্থনীতি চাঙা হবে; পাশাপাশি হাজারো বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।’
সদর উপজেলার ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্রটি দ্রুত চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। একদিকে যেমন বাড়বে কর্মসংস্থান, তেমনি প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটক এলে সার্বিকভাবে লাভবান হবে এই অঞ্চলের মানুষ।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আরও বেশি জনবান্ধব ও মানসম্মত করতে প্রকল্পটির পরিকল্পনায় সংশোধনী আনা হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে অবকাঠামোর নকশায়। এতে ব্যয় ও সময়—দুটোই বাড়ছে। একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে প্রকল্পটি। অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে এক জনসভায় পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটনের বিকাশে অনেক সুযোগ রয়েছে, আমরা সেটি কাজে লাগাতে চাই।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে