অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) জন্য জমি অধিগ্রহণে ন্যায্যমূল্য না ধরা এবং বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন মালিকেরা।
মৌজাভেদে শতকপ্রতি ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যবধান রাখায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মালিকদের মাঝে। ছয় বছর আগের দর হিসাবে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিন গুণ দাম কম ধরা হয়েছে। ইপিজেড নির্মাণে বিরোধিতা না করলেও জমির ন্যায্যমূল্যসহ মৎস্য ঘের, ফলl ও বনজ গাছের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তাঁরা।
এসব বিষয় তুলে ধরে গতকাল রোববার দুপুরে জমির মালিকেরা উপজেলার নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যশোরের ভবদহে প্রস্তাবিত ইপিজেডের অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জমি অভয়নগর উপজেলার ধলিয়ার নামক বিলে। এ বিলে আটটি মৌজা রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গা, রাজাপুর, আরাজি বাহিরঘাট, চেঙ্গুটিয়া, মহাখাল, মাগুরা, আমডাঙ্গা ও ১১ নম্বর প্রেমবাগ মৌজা। ইপিজেড নির্মাণে মৌজাগুলো থেকে ৫০২ একর ৬১ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তবে মৌজা ভেদে জমির মূল্য নিয়ে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। ১১ নম্বর প্রেমবাগ মৌজায় জমির মূল্য শতকপ্রতি ২২ হাজার ৮৯১ টাকা।
অথচ ওই একই বিলে বালিয়াডাঙ্গা মৌজায় শতক হিসেবে জমির মূল্য ৮ হাজার ৭১৬ টাকা, রাজাপুর মৌজায় ৮ হাজার ৬৮৩ টাকা, আরাজি বাহিরঘাট মৌজায় ১৩ হাজার ৩৪৬ টাকা, চেঙ্গুটিয়া মৌজায় ১২ হাজার ৩১৬ টাকা এবং মহাকাল মৌজায় ১২ হাজার ৯০১ টাকা ধরা হয়েছে। একই বিলে জমি হলেও মৌজা আলাদা হওয়ায় দামে ব্যবধান হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত মূল্য সরকার নির্ধারিত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের হিসেবে করা হয়েছে। গত ছয় বছরে এসব জমির বাজারমূল্য তিন-চার গুণ বেড়েছে। যে কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাঁচটি মৌজার জমির মালিকেরা।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ৫০২ একর ৬১ শতক জমির মধ্যে আনুমানিক ২৭৫ একর জমিতে শতাধিক মৎস্য ঘের রয়েছে। অনেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য চাষ করছেন। ঘের পাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ। জমির ন্যায্যমূল্যের সঙ্গে মৎস্য ঘের, ভেড়ি ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইতিপূর্বে উল্লেখিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের উন্নয়নে আমরা ইপিজেডের বিপক্ষে না। তবে আমরা যাঁরা আজীবন বৈধ জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছি, তাঁদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউনুস আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক শফি কামাল, কোমল সাহা, পিন্টু গাজী, আবুল হোসেন, শেখর কুমার বর্মণ, রেজওয়ান বিশ্বাস, ইব্রাহিম বিশ্বাস, আলাউদ্দিন মোড়ল, আছর আলী বিশ্বাস, মিঠুন সরদার, শান্তনু কুমার ঘোষ প্রমুখ।
যশোরের ভবদহখ্যাত অভয়নগরে ইপিজেড নির্মিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। স্থানীয় মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। এই ইপিজেড ভবদহপারের মানুষের আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর যশোর ইপিজেডের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল কবির স্বাক্ষরিত চিঠি জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে। এরপর কর্তৃপক্ষ জমির মালিকদের দাম নির্ধারণ করে অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া শুরু করে।
যশোরের অভয়নগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) জন্য জমি অধিগ্রহণে ন্যায্যমূল্য না ধরা এবং বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন মালিকেরা।
মৌজাভেদে শতকপ্রতি ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যবধান রাখায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মালিকদের মাঝে। ছয় বছর আগের দর হিসাবে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিন গুণ দাম কম ধরা হয়েছে। ইপিজেড নির্মাণে বিরোধিতা না করলেও জমির ন্যায্যমূল্যসহ মৎস্য ঘের, ফলl ও বনজ গাছের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তাঁরা।
এসব বিষয় তুলে ধরে গতকাল রোববার দুপুরে জমির মালিকেরা উপজেলার নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যশোরের ভবদহে প্রস্তাবিত ইপিজেডের অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জমি অভয়নগর উপজেলার ধলিয়ার নামক বিলে। এ বিলে আটটি মৌজা রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গা, রাজাপুর, আরাজি বাহিরঘাট, চেঙ্গুটিয়া, মহাখাল, মাগুরা, আমডাঙ্গা ও ১১ নম্বর প্রেমবাগ মৌজা। ইপিজেড নির্মাণে মৌজাগুলো থেকে ৫০২ একর ৬১ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তবে মৌজা ভেদে জমির মূল্য নিয়ে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। ১১ নম্বর প্রেমবাগ মৌজায় জমির মূল্য শতকপ্রতি ২২ হাজার ৮৯১ টাকা।
অথচ ওই একই বিলে বালিয়াডাঙ্গা মৌজায় শতক হিসেবে জমির মূল্য ৮ হাজার ৭১৬ টাকা, রাজাপুর মৌজায় ৮ হাজার ৬৮৩ টাকা, আরাজি বাহিরঘাট মৌজায় ১৩ হাজার ৩৪৬ টাকা, চেঙ্গুটিয়া মৌজায় ১২ হাজার ৩১৬ টাকা এবং মহাকাল মৌজায় ১২ হাজার ৯০১ টাকা ধরা হয়েছে। একই বিলে জমি হলেও মৌজা আলাদা হওয়ায় দামে ব্যবধান হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত মূল্য সরকার নির্ধারিত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের হিসেবে করা হয়েছে। গত ছয় বছরে এসব জমির বাজারমূল্য তিন-চার গুণ বেড়েছে। যে কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাঁচটি মৌজার জমির মালিকেরা।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ৫০২ একর ৬১ শতক জমির মধ্যে আনুমানিক ২৭৫ একর জমিতে শতাধিক মৎস্য ঘের রয়েছে। অনেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য চাষ করছেন। ঘের পাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ। জমির ন্যায্যমূল্যের সঙ্গে মৎস্য ঘের, ভেড়ি ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইতিপূর্বে উল্লেখিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশের উন্নয়নে আমরা ইপিজেডের বিপক্ষে না। তবে আমরা যাঁরা আজীবন বৈধ জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছি, তাঁদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউনুস আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক শফি কামাল, কোমল সাহা, পিন্টু গাজী, আবুল হোসেন, শেখর কুমার বর্মণ, রেজওয়ান বিশ্বাস, ইব্রাহিম বিশ্বাস, আলাউদ্দিন মোড়ল, আছর আলী বিশ্বাস, মিঠুন সরদার, শান্তনু কুমার ঘোষ প্রমুখ।
যশোরের ভবদহখ্যাত অভয়নগরে ইপিজেড নির্মিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। স্থানীয় মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। এই ইপিজেড ভবদহপারের মানুষের আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর যশোর ইপিজেডের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল কবির স্বাক্ষরিত চিঠি জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছেছে। এরপর কর্তৃপক্ষ জমির মালিকদের দাম নির্ধারণ করে অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া শুরু করে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৮ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে