ইজাজুল হক
ড. চৈ ইয়াং কিল-হামেদ কোরিয়ান ইসলামি পণ্ডিত, অধ্যাপক ও গবেষক। কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কোরআন, বুখারি শরিফসহ ইসলামের বেশ কিছু মৌলিক বই অনুবাদ করে প্রশংসিত হয়েছেন। ২০২৩ সালে পেয়েছেন মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’। তাঁর কথা লিখেছেন ইজাজুল হক।
চৈ ইয়াং কিল-হামেদের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায়, আনুমানিক ১৯৫০ সালে।
সিউলের হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ থেকে ১৯৭৫ সালে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের মৌলিক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। ১৯৮৬ সালে সুদানের উমদুর্মান ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোরিয়ায় ইসলামের দাওয়া বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপনা, গবেষণা ও লেখালেখিই ড. চৈ ইয়াংয়ের পেশা। সিউলের মিয়ংজি বিশ্ববিদ্যালয় ও হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজে আরবি ভাষা ও ইসলামিক স্টাডিজ পড়ান।
আরবি ভাষাভাষী না হয়েও আরবি ভাষা ও ইসলামের সেবায় তিনি অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। পাণ্ডিত্য, উদার গবেষণা, মধ্যপন্থী চিন্তাধারা দিয়ে তিনি কোরিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ইসলামি পণ্ডিতের দৃষ্টি কাড়তে পেরেছেন।
মৌলিক ও অনুবাদ মিলিয়ে তাঁর রচনাসংখ্যা ৯০, তাতে ৩০টিই রয়েছে ইসলামির বিভিন্ন মৌলিক বইয়ের কোরিয়ান অনুবাদ। কোরিয়ান ভাষায় কোরআনের অনুবাদ নিঃসন্দেহে তাঁর সেরা কাজ। দীর্ঘ সাত বছরের কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি কাজটি সম্পন্ন করেন। এই অনুবাদ সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ পবিত্র কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স থেকে ছাপা হয়েছে।
এ ছাড়া তাঁর অনুবাদের মধ্যে রয়েছে—বুখারি শরিফ, রিয়াদুস সালিহিন, কোরআনের শব্দ অভিধান, আর-রাহিকুল মাখতুম ইত্যাদি। এর বাইরে আরবি ভাষা শেখার কয়েকটি বই লিখেছেন, যা কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্য। এর বাইরে রয়েছে ইসলামবিষয়ক তাঁর মৌলিক রচনাবলি।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন ড. চৈ। ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগের অন্যতম সদস্য তিনি। কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং দ্য কোরিয়ান ইসলামিক হিবা ফান্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ইসলামি দাওয়াত ও মসজিদভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ড. চৈ বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানো সিরাত বই আর-রাহিকুল মাখতুমের কোরীয় অনুবাদের জন্য তিনি ২০০৮ সালে অনুবাদে বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৩ সালে পেয়েছেন কোরিয়া সরকারের রাষ্ট্রপতি পদক। ২০১৪ সালে শিক্ষা ও অধ্যাপনায় অবদানের জন্য পেয়েছেন কোরিয়া সরকারের বিশেষ পুরস্কার। ২০২৩ সালে এসেছে তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন ইসলামের সেবায় অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
ড. চৈকে বলা হচ্ছে কোরীয় মুসলিমদের জন্য আশীর্বাদ। কোরিয়ান ভাষায় তাঁর গবেষণা, লেখালেখি ও দাওয়াত এই অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে নতুন প্রেরণার সৃষ্টি করেছে। কোরিয়ায় মুসলিমদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের মতে, দেশটিতে আনুমানিক ২ লাখ মুসলমান রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।
তাঁদের মধ্যে তুর্কি, পাকিস্তানি, উজবেক ও কোরিয়ান নওমুসলিমরা রয়েছেন।
ড. চৈ ইয়াং কিল-হামেদ কোরিয়ান ইসলামি পণ্ডিত, অধ্যাপক ও গবেষক। কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কোরআন, বুখারি শরিফসহ ইসলামের বেশ কিছু মৌলিক বই অনুবাদ করে প্রশংসিত হয়েছেন। ২০২৩ সালে পেয়েছেন মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত ‘বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার’। তাঁর কথা লিখেছেন ইজাজুল হক।
চৈ ইয়াং কিল-হামেদের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায়, আনুমানিক ১৯৫০ সালে।
সিউলের হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ থেকে ১৯৭৫ সালে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং পরের বছর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের মৌলিক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। ১৯৮৬ সালে সুদানের উমদুর্মান ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোরিয়ায় ইসলামের দাওয়া বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপনা, গবেষণা ও লেখালেখিই ড. চৈ ইয়াংয়ের পেশা। সিউলের মিয়ংজি বিশ্ববিদ্যালয় ও হানকুক ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজে আরবি ভাষা ও ইসলামিক স্টাডিজ পড়ান।
আরবি ভাষাভাষী না হয়েও আরবি ভাষা ও ইসলামের সেবায় তিনি অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। পাণ্ডিত্য, উদার গবেষণা, মধ্যপন্থী চিন্তাধারা দিয়ে তিনি কোরিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ইসলামি পণ্ডিতের দৃষ্টি কাড়তে পেরেছেন।
মৌলিক ও অনুবাদ মিলিয়ে তাঁর রচনাসংখ্যা ৯০, তাতে ৩০টিই রয়েছে ইসলামির বিভিন্ন মৌলিক বইয়ের কোরিয়ান অনুবাদ। কোরিয়ান ভাষায় কোরআনের অনুবাদ নিঃসন্দেহে তাঁর সেরা কাজ। দীর্ঘ সাত বছরের কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি কাজটি সম্পন্ন করেন। এই অনুবাদ সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ পবিত্র কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স থেকে ছাপা হয়েছে।
এ ছাড়া তাঁর অনুবাদের মধ্যে রয়েছে—বুখারি শরিফ, রিয়াদুস সালিহিন, কোরআনের শব্দ অভিধান, আর-রাহিকুল মাখতুম ইত্যাদি। এর বাইরে আরবি ভাষা শেখার কয়েকটি বই লিখেছেন, যা কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্য। এর বাইরে রয়েছে ইসলামবিষয়ক তাঁর মৌলিক রচনাবলি।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন ড. চৈ। ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগের অন্যতম সদস্য তিনি। কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং দ্য কোরিয়ান ইসলামিক হিবা ফান্ডের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ইসলামি দাওয়াত ও মসজিদভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ড. চৈ বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানো সিরাত বই আর-রাহিকুল মাখতুমের কোরীয় অনুবাদের জন্য তিনি ২০০৮ সালে অনুবাদে বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৩ সালে পেয়েছেন কোরিয়া সরকারের রাষ্ট্রপতি পদক। ২০১৪ সালে শিক্ষা ও অধ্যাপনায় অবদানের জন্য পেয়েছেন কোরিয়া সরকারের বিশেষ পুরস্কার। ২০২৩ সালে এসেছে তাঁর সবচেয়ে বড় অর্জন ইসলামের সেবায় অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
ড. চৈকে বলা হচ্ছে কোরীয় মুসলিমদের জন্য আশীর্বাদ। কোরিয়ান ভাষায় তাঁর গবেষণা, লেখালেখি ও দাওয়াত এই অঞ্চলের মুসলমানদের মধ্যে নতুন প্রেরণার সৃষ্টি করেছে। কোরিয়ায় মুসলিমদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের মতে, দেশটিতে আনুমানিক ২ লাখ মুসলমান রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।
তাঁদের মধ্যে তুর্কি, পাকিস্তানি, উজবেক ও কোরিয়ান নওমুসলিমরা রয়েছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪