জলাবদ্ধতা নিরসনে কচুরিপানা পরিষ্কার করলেন মেয়র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৫: ২৮
Thumbnail image

মৌলভীবাজার শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কচুরিপানা পরিষ্কার করে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলেন পৌর মেয়র ফজলুর রহমান। এতে শহরের বাসাবাড়ি থেকে দ্রুত পানি নেমে যায়। গত শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় এই অভিযান চালান মেয়র।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর সৈয়দ সেলিম হক, আসাদ হোসেন মক্কু, নাহিদ হোসেন, সালেহ আহমেদ পাপ্পু, ফয়ছল আহমেদ। সন্ধ‍্যার পর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

দুদিনের অবিরাম বর্ষণে মৌলভীবাজার শহরের নিচু এলাকায় আকস্মিক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শহরের পানিনিষ্কাশনের একমাত্র পথ কোদালীছড়ার নিচের অংশে কচুরিপানার স্তূপের কারণে পানিনিষ্কাশনে ব্যাঘাত হচ্ছিল। পৌর মেয়র নিজে উদ্যোগী হয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় অপসারণকাজে নেমে পড়েন।

কোদালীছড়ার নিচু অংশে আজমেরু এলাকায় কচুরিপানা ও ছোট ছোট বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত যখন বাসাবাড়ি থেকে পানি নামছিল না, ঠিক তখন কোনো উপায় না দেখে মেয়র তাঁর পরিষদের সদস্যের নিয়ে নিজেই কচুরিপানা পরিষ্কারে নেমে যান।

শহরের পূর্ব গির্জাপাড়ার বাসিন্দা আছিয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাসায় পানি উঠেছিল, এতে কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তবে মেয়রের কারণে এক দিনের মধ্যে পানি নেমে যায়।

সংস্কৃতিকর্মী মীর ইউসুফ আলী বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জের মতোই অবস্থা হতো মৌলভীবাজারের। আমাদের পৌর মেয়রের দূরদর্শিতার সুফলই আমাদের রক্ষা করছে। তিনি ধন্যবাদ জানান মেয়রকে।’

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জনগণের স্বার্থে রাতদিন পরিশ্রম করি। দীর্ঘ পরিশ্রম করে শহরের উন্নতি ঘটিয়েছি, জলাবদ্ধতা দূর করেছি। কিন্তু শহরের পানিনিষ্কাশনের একমাত্র পথ কোদালীছড়া গিয়ে পড়েছে হাইল হাওরে। হাইল হাওরের পানি বাড়ায় পানি ঠিকমতো নিষ্কাশন হচ্ছিল না, ফলে বাসাবাড়িতে পানি উঠেছিল, এখন নেমে গেছে। আর কিছুটা ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল কচুরিপানার স্তূপ, সেগুলো অপসারণ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত