Ajker Patrika

গরমে পানি-বিদ্যুতের সংকট ভোগান্তিতে নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
গরমে পানি-বিদ্যুতের সংকট ভোগান্তিতে নগরবাসী

প্রচণ্ড দাবদাহের সঙ্গে চট্টগ্রামে পানি-বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে রোজায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী; বিশেষ করে ইফতার ও সাহ্‌রির সময় সমস্যা হচ্ছে বেশি।

গরমে পানি-বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও প্রয়োজন অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না সেবাদানকারী দুই সংস্থা ওয়াসা ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তথ্য বলছে, চট্টগ্রামে বিদ্যুতের ঘাটতি প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট। আর পানির ঘাটতি দিনে আট কোটি লিটার। এ কারণে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহে কর্তৃপক্ষ এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং ও রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে এই লোডশেডিং হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী-মদুনাঘাটের ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কারেন্ট ট্রান্সফরমারের (সিটি) বিস্ফোরণে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে ১৫ এপ্রিল সোয়া পাঁচটায়। সেই ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ।

এদিকে পিডিবি, চট্টগ্রাম থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় চট্টগ্রামে; সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ মেগাওয়াট। এ কারণে লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। গরম বাড়তে থাকায় লোডশেডিংও বাড়ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের কষ্ট বেড়েছে অনেক।

বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তির বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা যেমন চলছে, সঙ্গে পানির সমস্যাও প্রকট হয়েছে; পাশাপাশি গরমের হলকা তো আছেই।’

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পিডিবি চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় এবং অত্যধিক গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। লোডশেডিং করতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট। কয়েক দিন আগে অবস্থা আরও খারাপ ছিল।

এদিকে লোডশেডিং ও নদীর পানিতে শেওলা থাকার কারণে চট্টগ্রাম ওয়াসায় পানি উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে প্রতিদিন আট কোটি লিটার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় যেখানে পানির উৎপাদন দিনে ৪৬ কোটি লিটার, সেখানে গত বুধবার উৎপাদিত হয়েছে ৩৮ কোটি লিটার। এ কারণে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ, আশকারদীঘি এলাকা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজারসহ আরও কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় রেশনিং করে তা মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পানির ভোগান্তি সম্পর্কে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা দিলরুবা আক্তার লিজা বলেন, ‘এমনিতেই হালিশহর এলাকায় পানির সংকট থাকে, এবার সেটা আরও বাড়ল। রমজানের দিনে এটা বেশ ভোগাচ্ছে।’

জানতে চাইলে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম বলেন, ‘পুকুরের পানিতে যে ধরনের শেওলা জন্মায়, এ বছর নদীর পানিতেও একই ধরনের শেওলা জন্মেছে। সে কারণে আমাদের ফিল্টার মেশিনে ময়লা ধরে যাচ্ছে। সেটা আবার পরিষ্কার করতে হচ্ছে। ফলে পানির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। লবণাক্ততাও পানি উৎপাদনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে পানির পাম্প চালানো যাচ্ছে না পুরোপুরি। এতে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে।

দিনে আট কোটি লিটার পানির ঘাটতির কথা জানিয়ে মাকসুদ আলম বলেন, বৃষ্টি ছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো উপায় নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত