টিকিট ফেরত দিল কে

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬: ৫৭
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ২১

সোহেল রানার ছোট মামা পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসবেন। তাই অনলাইনেই ট্রেনের চারটি টিকিট কেটেছিলেন ভাগনে সোহেল। তিনি এই টিকিট প্রিন্ট করাতে দুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তবু টিকিটগুলো ফেরত দেননি। কিন্তু গন্তব্যে রওনার দিন গতকাল মঙ্গলবার জানা গেছে, টিকিটগুলো রিফান্ড হয়ে গেছে।

এটা রেলের কেউ না করলে অন্য কেউ করতে পারবে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সোহেল।

সোহেলের মামা নাদিম জানিয়েছেন, ট্রেনে তিনি আরও কয়েকজনের টিকিট নিয়ে এ ধরনের সমস্যা দেখেছেন। তাঁরা কেউ টিকিট ফেরত দেননি। কিন্তু ফেরত হয়ে গেছে।

সোহেল রানার বাড়ি রাজশাহীতে। তিনি বলেন, তাঁর মামার পরিবারের জন্য তিনি গতকালের ঢাকা-রাজশাহী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘গ’ বগির ৩৯, ৪১, ৪৩ ও ৫১ নম্বর আসনের টিকিট কেটেছিলেন। ২ হাজার ৯০০ টাকায় ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি এসি কোচের এসব টিকিট কাটেন। ৫ ফেব্রুয়ারি সোহেল তাঁর এক কর্মচারীকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট প্রিন্ট করতে পাঠান। কিন্তু তখন টিকিট প্রিন্ট হচ্ছিল না। তাই পরদিন ডাকা হয়। পরদিন আবার গেলেও টিকিট প্রিন্ট হয়নি। এরপর গতকাল দুপুরে তাঁর মামা মো. নাদিম বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসার জন্য কমলাপুর স্টেশন যান।

নাদিম কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের টিকিটগুলো রিফান্ড করে নেওয়া হয়েছে। তখন পরিচিত এক রেল কর্মকর্তা নাদিমের পরিবারকে ওই ট্রেনে রাজশাহী আসার সুযোগ করে দেন। নাদিম ট্রেনে উঠে দেখেন, ৩৯, ৪১, ৪৩ ও ৫১ নম্বর আসনে অন্য যাত্রীরা বসে আছেন। তাঁরা কাউন্টার থেকে স্বাভাবিকভাবেই টিকিট কেটেছেন।

সোহেল রানা বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি হয়। কিন্তু এ ধরনের সমস্যা আগে কখনো দেখিনি।’

ট্রেন থেকেই নাদিম জানান, শুধু তাঁদের টিকিটের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা নয়, আরও কয়েকজনের সঙ্গেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে তিনি এ রকম আরও চারজনকে দেখেছেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার (সিসিএম) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ভূঞা বলেন, এ রকম ঘটনা তিনিও কখনো শোনেননি। তিনি এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে আসন নম্বরগুলো নেন। জানান, টিকিট ছাড়া রিফান্ড করা যায় না। চলন্ত ট্রেনেই তিনি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারও বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা তিনি আগে শোনেননি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রকৌশল বিভাগের লোক। এ ধরনের ঘটনা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা-ও যাত্রীর টিকিট কীভাবে রিফান্ড হলো, সেটা আমি দেখার চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত