রাস্তায় ঝাঁকুনিতে কাহিল রোগী

মো. শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী)
Thumbnail image

খানাখন্দে পরিণত হয়েছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সড়ক। সড়কটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে হাসপাতালে সেবা নিতে এসে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা।

জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। এ ছাড়া কালুখালী ও খোকসা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষও চিকিৎসাসেবা নিতে আসে এই হাসপাতালে। হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হওয়ায় এটি দিয়েই হাসপাতালে যেতে হয় সবাইকে। এ ছাড়া সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন আবুল কাশেম বলেন, ছোট যানবাহনে চড়ে হাসপাতালের এই সড়কে প্রবেশের পর থেকে নামার আগ পর্যন্ত শুধু ঝাঁকি আর ঝাঁকি খেতে হয়। এই রাস্তা এত খারাপ যে, হাসপাতালে রোগী আসে চিকিৎসা নিতে; কিন্তু এই রাস্তায় এলে ঝাঁকিতে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে যায়।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মো. শাজাহান নামের এক রোগী বলেন, রোগীর তো এমনিতেই জান যায় যায় অবস্থা থাকে। তারপর এই রাস্তায় এলে মরার উপক্রম হয়। এই রাস্তাটা অতি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

রোগী নিয়ে আসা শীলা বিশ্বাস বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমার বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে হাসপাতালে আসছিলাম। ডাক্তার এক সপ্তাহ পরে আসতে বলেছেন। আমার শাশুড়ি এই রাস্তার কারণে হাসপাতালে আসতে চাচ্ছিলেন না। অনেক বলে-কয়ে, বুঝিয়ে ডাক্তারের কাছে আনতে হয়েছে। এই রাস্তায় বয়স্ক মানুষের চলাচলের কোনো উপায়ই নেই।’

আব্দুল সরদার নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে থেকে রাস্তা ফাটা শুরু হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে গেলে রোগীরও সমস্যা হয়, আবার আমাদের গাড়িরও সমস্যা হয়। তবুও আসতে হয়।’

পাংশা পৌর মেয়র মো. ওয়াজেদ আলী মাস্টার বলেন, ‘উপজেলা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত এই রাস্তাটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা পুকুরে মাছ চাষ করার কারণে রাস্তার যে ওয়েট ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে সড়কটিতে রোগী ও জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাস্তাটি করার চেষ্টা করছি। ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করতে পারব বলে আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত