গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সহস্রাধিক জেলে। এদিকে নদীতে মাছ না পাওয়ায় হতাশ আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীরাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মা নদীতে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা ও রাজবাড়ী জেলার প্রায় দেড় হাজার জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘদিন মাছ না পেয়ে তাঁরা সবাই এখন হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন।
গত শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট এবং লঞ্চঘাট এলাকায় শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে রাখা হয়েছে। এ সময় ট্রলারের ওপরে কেউ খাবারের জন্য রান্না করছেন আবার কেউ পরস্পরের সঙ্গে গল্প করে অলস সময় পার করছেন।
মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে গোপাল হালদার বলেন, ‘আমাদের সংসার চলে এই নদীতে মাছ শিকার করে। মা-ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক দিন ভালোই মাছ পেয়েছিলাম। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে মাছই পাচ্ছি না বললেই চলে। এমন হলে আমাদের সংসার চালানো নিয়ে হিমশিম খেতে হবে।’
পাবনার জেলে গুরুদাশ হালদার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও প্রতি খেওয়ে চার-পাঁচটা পাঙাশ, রুই, কাতলাসহ কিছু ইলিশ ধরা পরত। কিন্তু দুই সপ্তাহ হলো কোনো মাছই পাচ্ছি না। মাছ না পেয়ে খুবই হতাশার মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার জেলে আসলাম হালদার বলেন, ‘আমার পরিবারে চারজন সদস্য। এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেখননযন্ত্রের চালক ও মেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি বিগত ৪৮ বছর ধরে নদীতে মাছ ধরি।
আমার এই ছোট্ট সংসার এই জীবিকাতেই চলে। কিছুদিন হলো নদীতে একেবারেই মাছের দেখা নাই। আমাদের মাছ শিকারে সরকার অনেক রাজস্ব আয় করে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাই না। সহায়তা আমরা চাইও না, শুধু নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেলেই চলে।’
দৌলতদিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, ‘আমরা জেলেদের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা যদি মাছ না পান তাহলে আমরা কীভাবে মাছ কিনব, আর কীভাবে এই মাছ অন্যত্র বিক্রি করে ব্যবসা করব। তাঁরা যেমন মাছ না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হন, ঠিক তেমনি আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হই।’
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে নদীতে সারা বছরই বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। তবে কিছুদিন হলো নদীতে মাছ মিলছে না। নদীর পানি কমতে শুরু করায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আশা করা যায় নদীতে মাছ পাওয়া যাবে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সহস্রাধিক জেলে। এদিকে নদীতে মাছ না পাওয়ায় হতাশ আড়তদার ও মাছ ব্যবসায়ীরাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মা নদীতে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা ও রাজবাড়ী জেলার প্রায় দেড় হাজার জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘদিন মাছ না পেয়ে তাঁরা সবাই এখন হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন।
গত শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট এবং লঞ্চঘাট এলাকায় শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে রাখা হয়েছে। এ সময় ট্রলারের ওপরে কেউ খাবারের জন্য রান্না করছেন আবার কেউ পরস্পরের সঙ্গে গল্প করে অলস সময় পার করছেন।
মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে গোপাল হালদার বলেন, ‘আমাদের সংসার চলে এই নদীতে মাছ শিকার করে। মা-ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক দিন ভালোই মাছ পেয়েছিলাম। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে মাছই পাচ্ছি না বললেই চলে। এমন হলে আমাদের সংসার চালানো নিয়ে হিমশিম খেতে হবে।’
পাবনার জেলে গুরুদাশ হালদার বলেন, ‘কিছুদিন আগেও প্রতি খেওয়ে চার-পাঁচটা পাঙাশ, রুই, কাতলাসহ কিছু ইলিশ ধরা পরত। কিন্তু দুই সপ্তাহ হলো কোনো মাছই পাচ্ছি না। মাছ না পেয়ে খুবই হতাশার মধ্যে দিন কাটছে আমাদের।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার জেলে আসলাম হালদার বলেন, ‘আমার পরিবারে চারজন সদস্য। এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেখননযন্ত্রের চালক ও মেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি বিগত ৪৮ বছর ধরে নদীতে মাছ ধরি।
আমার এই ছোট্ট সংসার এই জীবিকাতেই চলে। কিছুদিন হলো নদীতে একেবারেই মাছের দেখা নাই। আমাদের মাছ শিকারে সরকার অনেক রাজস্ব আয় করে। কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাই না। সহায়তা আমরা চাইও না, শুধু নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেলেই চলে।’
দৌলতদিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, ‘আমরা জেলেদের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা যদি মাছ না পান তাহলে আমরা কীভাবে মাছ কিনব, আর কীভাবে এই মাছ অন্যত্র বিক্রি করে ব্যবসা করব। তাঁরা যেমন মাছ না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হন, ঠিক তেমনি আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হই।’
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো. শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে নদীতে সারা বছরই বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। তবে কিছুদিন হলো নদীতে মাছ মিলছে না। নদীর পানি কমতে শুরু করায় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে আশা করা যায় নদীতে মাছ পাওয়া যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে