দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবারের দোকানে কমেছে বেচাকেনা

মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২২, ০৭: ০৩
আপডেট : ০৯ জুন ২০২২, ১১: ১৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ খাওয়া কমিয়েছে। খাবারের টং দোকানগুলোতে এখন খেটে খাওয়া মানুষের সেই ভিড় আর নেই। এসব দোকানে বিক্রীত খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা কমে গেছে। ফলে অনেক সময় কলা-রুটি বাসি বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে দোকানদারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জানা গেছে, কয়েক দিন আগেও যে বন রুটি বা কেকের দাম ১০ টাকা ছিল, তার দাম এখন হয়েছে ১৫ টাকা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চায়ের দোকানগুলোতে বিক্রি হওয়া বেকারির রুটি, বিস্কুট, কেকজাতীয় খাদ্যের দাম বেড়েছে। রিকশাওয়ালা, নির্মাণ শ্রমিকসহ স্বল্প আয়ের মানুষেরাই এগুলো বেশি খায়। কয়েক দিন আগেও যেই বন, রুটি, কেকের দাম ১০ টাকা ছিল, তার দাম এখন হয়েছে ১৫ টাকা। ৫-৭ টাকারটা হয়েছে ১০ টাকা। হঠাৎ এসবের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি আগের চেয়ে কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা কামাল উদ্দিনসহ কয়েকজন।

উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার চায়ের দোকানি মনির গাজী। তাঁর দোকানে চায়ের পাশাপাশি কেক, পাউরুটি, বন, বিস্কুটও পাওয়া যায়। এসব বেকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মনির গাজী বলেন, কিছুদিন আগে থেকে বেকারির মালিকেরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর যেগুলোর দাম বাড়েনি, সেগুলোর আকার ছোট করা হয়েছে। আমার দোকানের কাস্টমার আগে সারা দিনে ৪-৫ বার চা-বন খাইলেও এখন দিনে সর্বোচ্চ দুইবার আসে। কারণ জিনিসপত্রের দাম বেশি।’

মতলব উপজেলা সদরের রিকশাচালক জালাল খান বলেন, ‘রিকশাচালকেরা কষ্ট করে বেশি। এ জন্য বারবার খিদে লাগে। আগে তো দিনে ৪-৫ বার রুটি-কলা খাইতাম। এখন দিনে ১-২ বারের বেশি নাশতা করি না। টাকা বেশি লাগে এ জন্য খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি।

জালাল খান আরও বলেন, আগে একটি পাউরুটি, কেক বা বনরুটি খেতে খরচ হতো ১০ টাকা। আর চা ৫-৬ টাকা। কিন্তু এখন ১০ টাকারটার দাম হয়েছে ১৫ টাকা। চা হয়েছে কোথাও ৬ টাকা, আবার কোথাও ৭ টাকা। একবার নাশতা করতেই ১৫ টাকার জায়গায় লাগে ৩০ টাকা।

উপজেলার বেকারী মালিক মো. সলেমান ব্যাপারী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। রমজান মাসের আগেও ময়দার বস্তা ছিল ১ হাজার ৫০০ টাকা। সেটা বেড়ে ২ হাজার ২০০, সেখান থেকে ২ হাজার ৮০০, পরে ৩ হাজার ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। চিনির বস্তা ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা, ডালডার কার্টন ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৩ তিন ৬০০ টাকা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোড়ক পলিথিনের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে আমরা যদি পণ্যের দাম না বাড়াই তাহলে আমাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাদের দাম বাড়াতে হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত