যশোর প্রতিনিধি
করোনা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে থাকলেও যশোরে বন্ধ হয়নি কোচিং বাণিজ্য, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে এগুলো আরও সরগরম হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের ভিড় বাড়ছে কোচিং সেন্টারে। যেখানে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ন্যূনতম বালাই নেই, যা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অথচ কোচিং সেন্টার বন্ধের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে এখনো মাঠে নামেনি প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল-কলেজ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত কাজে আসছে না।
দেশে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব রোধে গত শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী পৃথক বিবৃতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেন। ওই বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনাও দেন। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না যশোরের দেড় শতাধিক কোচিং সেন্টারে।
নির্দেশনার পরদিন শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার গ্লোবাল কোচিং সেন্টার, ইউনাইটেড কোচিং সেন্টার, শাকিল বায়োলজি, স্টাডি জোন, আলমাস একাডেমিক কেয়ার, উজ্জ্বল’স, কনফিডেন্স, মুজিব সড়কের এডুকেয়ার, পিকাসো, পোস্ট অফিস এলাকার ইউসিসি, সাইফুরস, সৃজনশীল, সুপ্রিম, ওরাকল, ওমেকা, উন্মেষ-উদ্ভাস, প্রাইমেট, বিসিএস পরিক্রমা, ফ্রি ডক্টরস, বস স্পোকেন, ডেল্টাসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টার খোলা থাকতে দেখা গেছে। এসব কোচিং সেন্টারে শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের ভিড় লেগে আছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে দফায় দফায় পাঠদান কার্যক্রম। মানা হচ্ছে না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিও।
কোচিং সেন্টারগুলোর তিন ফুটের বেঞ্চে ন্যূনতম দুজন শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করছে। আর বাইরে দাঁড়িয়ে আড্ডায় মত্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। মাস্ক পরিধান না করে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই তাঁরা জটলা বেঁধে অবস্থান করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
ইউনাইটেড কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিম পারভীন বলে, ‘স্কুলের স্যারেরা বলেছেন, ক্লাস হবে না। তাই আর স্কুলে যাইনি। কিন্তু কোচিংয়ের আসতে তো ভাইয়া (কোচিংয়ের শিক্ষক) নিষেধ করেননি। তিনি বলেছেন, কোচিং হবে। তোমরা সময় মতো চলে আসবে। তাই আমরা ক্লাস করতে চলে এসেছি।’
শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক নূরজাহান আরা বলেন, ‘বাচ্চারা ক্লাস করতে না পারলে তো পিছিয়ে পড়বে। দেখেন, সংসারের কাজ ফেলে রেখে এখানে এসেছি, শুধু সন্তানদের পড়াশোনাটা যাতে ভালো হয়। সরকার এটিও যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে বাচ্চারা কি শিখবে?’
উজ্জল কোচিং সেন্টারের পরিচালক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘গত বছর অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারও যদি তেমন হয়, তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
এদিকে সাংবাদিক দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্লোবাল কোচিং সেন্টারের পরিচালক এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বুঝলাম। কিন্তু প্রশাসন তো আমাদের এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যদি তেমন নির্দেশনাই থাকত তাহলে প্রশাসন অভিযান চালাত। আমরা কোচিং চালাব, কারও কিছু করার থাকলে, তাঁরা করুক।’
যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা মৌখিক। আমরা এখনো প্রজ্ঞাপন হাতে পাইনি। তাই কোনো অ্যাকশনে যেতে পারছি না। প্রজ্ঞাপন হাতে পেলেই অভিযান শুরু করা হবে।’
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলোকে সরকারি নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। আমরা দ্রুত কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব। আশা করি, তাঁরাও পরিস্থিতি বুঝে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
করোনা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকিতে থাকলেও যশোরে বন্ধ হয়নি কোচিং বাণিজ্য, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে এগুলো আরও সরগরম হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের ভিড় বাড়ছে কোচিং সেন্টারে। যেখানে সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ন্যূনতম বালাই নেই, যা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অথচ কোচিং সেন্টার বন্ধের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে এখনো মাঠে নামেনি প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল-কলেজ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত কাজে আসছে না।
দেশে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব রোধে গত শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী পৃথক বিবৃতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেন। ওই বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনাও দেন। কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না যশোরের দেড় শতাধিক কোচিং সেন্টারে।
নির্দেশনার পরদিন শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার গ্লোবাল কোচিং সেন্টার, ইউনাইটেড কোচিং সেন্টার, শাকিল বায়োলজি, স্টাডি জোন, আলমাস একাডেমিক কেয়ার, উজ্জ্বল’স, কনফিডেন্স, মুজিব সড়কের এডুকেয়ার, পিকাসো, পোস্ট অফিস এলাকার ইউসিসি, সাইফুরস, সৃজনশীল, সুপ্রিম, ওরাকল, ওমেকা, উন্মেষ-উদ্ভাস, প্রাইমেট, বিসিএস পরিক্রমা, ফ্রি ডক্টরস, বস স্পোকেন, ডেল্টাসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টার খোলা থাকতে দেখা গেছে। এসব কোচিং সেন্টারে শিশু-কিশোর ও অভিভাবকদের ভিড় লেগে আছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে দফায় দফায় পাঠদান কার্যক্রম। মানা হচ্ছে না ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিও।
কোচিং সেন্টারগুলোর তিন ফুটের বেঞ্চে ন্যূনতম দুজন শিক্ষার্থী বসে ক্লাস করছে। আর বাইরে দাঁড়িয়ে আড্ডায় মত্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। মাস্ক পরিধান না করে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই তাঁরা জটলা বেঁধে অবস্থান করছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
ইউনাইটেড কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিম পারভীন বলে, ‘স্কুলের স্যারেরা বলেছেন, ক্লাস হবে না। তাই আর স্কুলে যাইনি। কিন্তু কোচিংয়ের আসতে তো ভাইয়া (কোচিংয়ের শিক্ষক) নিষেধ করেননি। তিনি বলেছেন, কোচিং হবে। তোমরা সময় মতো চলে আসবে। তাই আমরা ক্লাস করতে চলে এসেছি।’
শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা অভিভাবক নূরজাহান আরা বলেন, ‘বাচ্চারা ক্লাস করতে না পারলে তো পিছিয়ে পড়বে। দেখেন, সংসারের কাজ ফেলে রেখে এখানে এসেছি, শুধু সন্তানদের পড়াশোনাটা যাতে ভালো হয়। সরকার এটিও যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে বাচ্চারা কি শিখবে?’
উজ্জল কোচিং সেন্টারের পরিচালক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘গত বছর অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারও যদি তেমন হয়, তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
এদিকে সাংবাদিক দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্লোবাল কোচিং সেন্টারের পরিচালক এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বুঝলাম। কিন্তু প্রশাসন তো আমাদের এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যদি তেমন নির্দেশনাই থাকত তাহলে প্রশাসন অভিযান চালাত। আমরা কোচিং চালাব, কারও কিছু করার থাকলে, তাঁরা করুক।’
যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা মৌখিক। আমরা এখনো প্রজ্ঞাপন হাতে পাইনি। তাই কোনো অ্যাকশনে যেতে পারছি না। প্রজ্ঞাপন হাতে পেলেই অভিযান শুরু করা হবে।’
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলোকে সরকারি নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। আমরা দ্রুত কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব। আশা করি, তাঁরাও পরিস্থিতি বুঝে সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে