নেত্রকোনা প্রতিনিধি
দেশের অন্যান্য এলাকার মতো নেত্রকোনায়ও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। কিন্ত এ পরিস্থিতিতেও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে। রাস্তায় চলাচলকারীরাও সবাই মাস্ক পড়ছেন না। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ঘরের বাইরে সবাইকে মাস্ক পড়তে বলা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হোম আইসোলেশানে আছেন ১৫৬ জন। দুই জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও হোম আইসোলেশানে আছেন।
নেত্রকোনার শহরের নাগড়া, দত্তমার্কেট, মোক্তারপাড়া, ছোটবাজার, বড়বাজার ও তেরী বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করো হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাট-বাজার, গণপরিবহন, হোটেল সবকিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে একধরনের গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন তারাও মুখে মাস্ক না লাগিয়ে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ মাস্ক বুকপকেটে রেখে দিয়েছেন। যে যার মতো স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেই ঘুরাফেরা করছে। কেউ দোকানে দাঁড়িয়ে পান করছেন, আবার কেউ সিগারেট টানছেন, কেউবা ফলের দোকান থেকে ফল কিনছেন। কিন্তু কারো মুখে মাস্ক নেই। অন্যদিকে শহরের ছোট বড় গাড়ির চালকরা মাস্ক হাতে রেখেই যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন।
দত্তমার্কেট এলাকার ফল কিনতে আসা হাবিব নামের এক ব্যক্তি মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখে ফল কিনছেন। তিনি বলেন, অনেক সময় মনের অজান্তে মাস্ক খুলে পড়ে। পরে অবশ্য তিনি অনেকটা বিব্রত বোধ করে মুখে মাস্ক ঝুলিয়ে নেন।
অটোরিকশার চালক কামাল মিয়া মাস্ক খুলে যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন। তিনি বলেন, মুখে মাস্ক পড়ে যাত্রীদের ডাকাডাকি করা যায় না। মুখ খুললে বা নড়ালেই মাস্ক সরে যায়। তাই তিনি একেবারে মাস্ক খুলে হাতে রেখে দিয়েছেন।
শহরের ছোবাজার এলাকায় সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে একই অবস্থা। অধিকাংশ ক্রেতা আর বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক কেন পড়ছেন না জানতে চাইলে অনেকেই বুক পকেট অথবা প্যান্টের পকেট থেকে মাস্ক বের করে দেখান।
সবজি বিক্রেতা আলমগীর জানান, মাস্ক পড়লে ক্রেতারা কথা বুঝে না। তাই পকেটে মাস্ক রেখে দিয়েছি।
শহরের বড়বাজার এলাকায় গিয়ে মাছের বাজারে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক মানুষ গাদাগাদি করে মাছের দরদাম করছেন। কিন্তু কারও মুখে মাস্ক নেই। কেউ মাস্ক বুকপকেটে রেখেছেন। কেউবা প্যান্টের পকেটে। আবার কেউ মাস্ক ছাড়াই বাজারে এসেছেন।
মাছ বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম জানান, মাস্ক একটা পকেটে রেখে দিয়েছি। আমরাতো এমনিতে ভাইরাসের মধ্যে থাকি। আমাদের নতুন করে কোনো ভাইরাস ধরবে না।একই অবস্থা দেখা গেছে ফুটপাতের দোকানিদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলার উপসহকারী পরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, করোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর আমরা বাজার মনিটরিংয়ে পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছি। অনেক সময় মাস্ক না পরার কারণে গত দুই বছরে অনেককে জরিমানাও করেছি। কিন্তু জরিমানাতো সাময়িক সমাধান। এজন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। এর বিকল্প নেই।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ডেউ দেখা দেওয়ার পর থেকে জেলায় প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে সচেতন হতে হবে। না হলে এই সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়।
দেশের অন্যান্য এলাকার মতো নেত্রকোনায়ও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। কিন্ত এ পরিস্থিতিতেও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা দেখা গেছে। রাস্তায় চলাচলকারীরাও সবাই মাস্ক পড়ছেন না। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ঘরের বাইরে সবাইকে মাস্ক পড়তে বলা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হোম আইসোলেশানে আছেন ১৫৬ জন। দুই জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও হোম আইসোলেশানে আছেন।
নেত্রকোনার শহরের নাগড়া, দত্তমার্কেট, মোক্তারপাড়া, ছোটবাজার, বড়বাজার ও তেরী বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করো হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাট-বাজার, গণপরিবহন, হোটেল সবকিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে একধরনের গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন তারাও মুখে মাস্ক না লাগিয়ে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। কেউ কেউ মাস্ক বুকপকেটে রেখে দিয়েছেন। যে যার মতো স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেই ঘুরাফেরা করছে। কেউ দোকানে দাঁড়িয়ে পান করছেন, আবার কেউ সিগারেট টানছেন, কেউবা ফলের দোকান থেকে ফল কিনছেন। কিন্তু কারো মুখে মাস্ক নেই। অন্যদিকে শহরের ছোট বড় গাড়ির চালকরা মাস্ক হাতে রেখেই যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন।
দত্তমার্কেট এলাকার ফল কিনতে আসা হাবিব নামের এক ব্যক্তি মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখে ফল কিনছেন। তিনি বলেন, অনেক সময় মনের অজান্তে মাস্ক খুলে পড়ে। পরে অবশ্য তিনি অনেকটা বিব্রত বোধ করে মুখে মাস্ক ঝুলিয়ে নেন।
অটোরিকশার চালক কামাল মিয়া মাস্ক খুলে যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন। তিনি বলেন, মুখে মাস্ক পড়ে যাত্রীদের ডাকাডাকি করা যায় না। মুখ খুললে বা নড়ালেই মাস্ক সরে যায়। তাই তিনি একেবারে মাস্ক খুলে হাতে রেখে দিয়েছেন।
শহরের ছোবাজার এলাকায় সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে একই অবস্থা। অধিকাংশ ক্রেতা আর বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। মাস্ক কেন পড়ছেন না জানতে চাইলে অনেকেই বুক পকেট অথবা প্যান্টের পকেট থেকে মাস্ক বের করে দেখান।
সবজি বিক্রেতা আলমগীর জানান, মাস্ক পড়লে ক্রেতারা কথা বুঝে না। তাই পকেটে মাস্ক রেখে দিয়েছি।
শহরের বড়বাজার এলাকায় গিয়ে মাছের বাজারে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক মানুষ গাদাগাদি করে মাছের দরদাম করছেন। কিন্তু কারও মুখে মাস্ক নেই। কেউ মাস্ক বুকপকেটে রেখেছেন। কেউবা প্যান্টের পকেটে। আবার কেউ মাস্ক ছাড়াই বাজারে এসেছেন।
মাছ বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম জানান, মাস্ক একটা পকেটে রেখে দিয়েছি। আমরাতো এমনিতে ভাইরাসের মধ্যে থাকি। আমাদের নতুন করে কোনো ভাইরাস ধরবে না।একই অবস্থা দেখা গেছে ফুটপাতের দোকানিদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলার উপসহকারী পরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, করোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর আমরা বাজার মনিটরিংয়ে পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছি। অনেক সময় মাস্ক না পরার কারণে গত দুই বছরে অনেককে জরিমানাও করেছি। কিন্তু জরিমানাতো সাময়িক সমাধান। এজন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। এর বিকল্প নেই।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ডেউ দেখা দেওয়ার পর থেকে জেলায় প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে সচেতন হতে হবে। না হলে এই সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব নয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪