শিক্ষকদের বদলির প্রতিবাদে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২২, ০৬: ৪৩
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১০: ০২

রাজশাহীর সরকারি পিএন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক প্যারালাইজডে আক্রান্ত নার্গীস আখতার বানুকে বদলি করা হয়েছে ঢাকার একটি স্কুলে। তাঁর ভাগ্য একটু ভালোই বলতে হয়। বদলি হয়ে রাজধানীতে যাচ্ছেন। কিন্তু শিরোইল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোস্তফা কামালের ভাগ্য অতটা ভালো নয়। তাঁকে পাঠানো হয়েছে বান্দরবানের লামা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে। এভাবে রাজশাহী শহরের ছয়টি সরকারি স্কুলের অন্তত ২৭ জন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বান্দরবান, ভোলা, নোয়াখালী, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। বেশির ভাগই বান্দরবানে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষকেরা জানান, বদলি করা ব্যক্তিদের প্রত্যেকেরই বয়স ৫৫ বছরের বেশি। কারও কারও চাকরি আছে আর মাত্র এক থেকে দুই বছর। এই বয়সে রাজশাহী অঞ্চলের কোনো স্কুলে বদলি করা হলেও তাঁরা মেনে নিতেন। কিন্তু পাঠানো হয়েছে একেবারেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এমন বদলি মেনে নিতে না পেরে রাজশাহীর সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের একজন শিক্ষক স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চেয়েছিলেন। অনেক বুঝিয়ে তাঁকে থামানো হয়েছে।

এর প্রতিবাদে গত শনিবার মহানগরের সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। গতকাল রোববারও নগরীর সাহেববাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমার শিক্ষকের চোখে পানি কেন?’, ‘শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি মানি না, মানব না’, ‘আমাদের শিক্ষক আমাদেরই থাকবে’। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের বদলি আদেশ স্থগিতের দাবি জানায়।

এর আগে ৮ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এক আদেশে সারা দেশের ২৬১ জন শিক্ষককে বদলি করেন। এ আদেশে রাজশাহী মহানগরের ছয় স্কুলের ১৭ জন শিক্ষক আছেন। বদলি নিয়ে মাউশির রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস বলেন, ‘এই বদলি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়েছে। অনেক স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের সংকট ছিল। আবার অনেক স্কুলে বিষয়ভিত্তিক অতিরিক্ত শিক্ষক ছিলেন। এ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত