নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মোহনীয় লীলাভূমি বাংলাদেশ। দেশের বহুমাত্রিক সৌন্দর্যে প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট হন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। এমনকি ভ্রমণের নেশায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বারবার ছুটতে থাকেন অনেকে। পর্যটকদের জন্য তাই উন্নত যোগাযোগ, নিরাপত্তা, আবাসন, প্রযুক্তিসহ সব প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, নৌপথে বিলাসবহুল লঞ্চ, স্থলপথে বিলাসবহুল বাস, হাওরে এক্সপ্রেস সড়ক, ফ্লাইওভার, যানজটমুক্ত বাইপাস সড়ক প্রভৃতি পর্যটকদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
এদিকে অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পের কারণে পর্যটন খাতের মানোন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ খাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে, কয়েক বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০ লাখ। এ ছাড়া দেশের জিডিপিতে বর্তমানে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৫ শতাংশ, যা কয়েক বছর আগে ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাত একটি ব্যতিক্রমী খাত হিসেবে পরিচিত। কারণ, বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভূমি, পাহাড়ি ঝরনা, দ্বীপ, সুন্দরবন, মনকাড়া পুরাকীর্তি বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই একসঙ্গে পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। পর্যটকদের বিভিন্ন সুবিধার দিক বিবেচনা করে এ খাতের সেবার মান বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর লক্ষ্য অনুযায়ী কাজের ব্যাপক অগ্রগতিও হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য উন্নত নিরাপত্তা, আবাসনসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি মানুষ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন জানিয়ে জাবেদ আহমেদ আরও বলেন, এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার বিদেশি পর্যটক। আগে তাঁদের জন্য না ছিল ভালো থাকার জায়গা, না ছিল ভালো যোগাযোগব্যবস্থা। অনেক পর্যটক সাঁকোতে করেও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে গিয়েছেন। এতে তাঁদের প্রচুর সময় অপচয় হতো। এখন সেসব সমস্যা কেটে গেছে। পর্যটকদের থাকার জন্য কমপক্ষে ২০টি পাঁচ তারকা হোটেলসহ কয়েক শ আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে।
জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৪-৫ শতাংশ। আর স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক বছরের জন্য পর্যটন খাতের ব্র্যান্ড নাম বিউটিফুল বাংলাদেশ-এর পরিবর্তে ‘মুজিব বাংলাদেশ’ করা হয়েছে।
প্রায় সারা বছরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণে মুখরিত থাকে। পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, পাহাড়ঘেরা পৃথিবীর বৃহৎতম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, হিমছড়ির শীতল পানির ঝরনা, চিম্বুক পাহাড়, বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লার শালবন বিহার, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, মালনীছড়া চা-বাগান, হাকালুকি হাওর, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, নিঝুম দ্বীপসহ বিভিন্ন পর্যটনস্থলে দেখা যায় পর্যটকের ভিড়।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পর্যটন খাতে গড়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে, ২০২৪ সালে মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে এ খাতের অবদান দাঁড়াবে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন খাতে, যেমন পরিবহন, হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, এয়ারলাইনস ও অন্যান্য যোগাযোগব্যবস্থা থেকে রাজস্ব আয় কয়েক গুণ বাড়তে পারে। তবে এশিয়ার বেশ কিছু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পর্যটন খাত থেকে আয়ের পরিমাণ তুলনামূলক কম।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে ইকো-ট্যুরিজম পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হার আগামী দিনে আর বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের ইকো-ট্যুরিজমের নতুন মডেল হিসেবে শিগগির আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য পূরণে দেশের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানে ইকো–ট্যুরিজমের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মোহনীয় লীলাভূমি বাংলাদেশ। দেশের বহুমাত্রিক সৌন্দর্যে প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট হন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। এমনকি ভ্রমণের নেশায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বারবার ছুটতে থাকেন অনেকে। পর্যটকদের জন্য তাই উন্নত যোগাযোগ, নিরাপত্তা, আবাসন, প্রযুক্তিসহ সব প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, নৌপথে বিলাসবহুল লঞ্চ, স্থলপথে বিলাসবহুল বাস, হাওরে এক্সপ্রেস সড়ক, ফ্লাইওভার, যানজটমুক্ত বাইপাস সড়ক প্রভৃতি পর্যটকদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
এদিকে অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পের কারণে পর্যটন খাতের মানোন্নয়নে বহুমুখী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ খাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে, কয়েক বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০ লাখ। এ ছাড়া দেশের জিডিপিতে বর্তমানে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৫ শতাংশ, যা কয়েক বছর আগে ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাত একটি ব্যতিক্রমী খাত হিসেবে পরিচিত। কারণ, বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভূমি, পাহাড়ি ঝরনা, দ্বীপ, সুন্দরবন, মনকাড়া পুরাকীর্তি বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই একসঙ্গে পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে। পর্যটকদের বিভিন্ন সুবিধার দিক বিবেচনা করে এ খাতের সেবার মান বিশ্বমানে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর লক্ষ্য অনুযায়ী কাজের ব্যাপক অগ্রগতিও হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য উন্নত নিরাপত্তা, আবাসনসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবছর প্রায় ২ কোটি মানুষ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন করেন জানিয়ে জাবেদ আহমেদ আরও বলেন, এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার বিদেশি পর্যটক। আগে তাঁদের জন্য না ছিল ভালো থাকার জায়গা, না ছিল ভালো যোগাযোগব্যবস্থা। অনেক পর্যটক সাঁকোতে করেও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে গিয়েছেন। এতে তাঁদের প্রচুর সময় অপচয় হতো। এখন সেসব সমস্যা কেটে গেছে। পর্যটকদের থাকার জন্য কমপক্ষে ২০টি পাঁচ তারকা হোটেলসহ কয়েক শ আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে।
জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ৪-৫ শতাংশ। আর স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এক বছরের জন্য পর্যটন খাতের ব্র্যান্ড নাম বিউটিফুল বাংলাদেশ-এর পরিবর্তে ‘মুজিব বাংলাদেশ’ করা হয়েছে।
প্রায় সারা বছরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণে মুখরিত থাকে। পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, পাহাড়ঘেরা পৃথিবীর বৃহৎতম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, হিমছড়ির শীতল পানির ঝরনা, চিম্বুক পাহাড়, বগুড়ার মহাস্থানগড়, কুমিল্লার শালবন বিহার, ঢাকার লালবাগ কেল্লা, মালনীছড়া চা-বাগান, হাকালুকি হাওর, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, নিঝুম দ্বীপসহ বিভিন্ন পর্যটনস্থলে দেখা যায় পর্যটকের ভিড়।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পর্যটন খাতে গড়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে, ২০২৪ সালে মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে এ খাতের অবদান দাঁড়াবে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন খাতে, যেমন পরিবহন, হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, এয়ারলাইনস ও অন্যান্য যোগাযোগব্যবস্থা থেকে রাজস্ব আয় কয়েক গুণ বাড়তে পারে। তবে এশিয়ার বেশ কিছু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পর্যটন খাত থেকে আয়ের পরিমাণ তুলনামূলক কম।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে ইকো-ট্যুরিজম পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হার আগামী দিনে আর বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের ইকো-ট্যুরিজমের নতুন মডেল হিসেবে শিগগির আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য পূরণে দেশের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানে ইকো–ট্যুরিজমের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৬ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১০ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
১০ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১০ দিন আগে