সম্পাদকীয়
শান্তিনিকেতনে সত্যেন সেনের সেজদির বাড়ি ছিল। সেখানে সত্যেন সেন যেতেন। সে সময় চোখের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছিল তাঁর। দুই বেলা দুজনকে ডিকটেশন দিয়ে লেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
সেই সত্যেন সেন একবার হরিনাভিতে কমল ঘোষ নামে এক কমরেডের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, রক্তের সম্পর্ক বড় নয়, বড় হলো আত্মার সম্পর্ক। এ কারণেই তিনি ঘুরে ঘুরে আত্মার আত্মীয় খুঁজে বের করতেন এবং তাঁদের বাড়িতে থাকতেন।
চোখে কম দেখতেন বলে আঁকাবাঁকা হস্তাক্ষরে সন্জীদা খাতুনকে পোস্টকার্ডের চিঠি পাঠাতেন। সন্জীদাও দিতেন তার উত্তর। একবার সত্যেন সেন বললেন, ‘তুমি একবার এসো। একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখাব তোমাকে।’
সন্জীদা খাতুন ছুটলেন হরিনাভি। বাড়িটার দোতলায় স্বামী-স্ত্রীর জন্য একটা ঘর। অন্য ঘরে ডরমিটরির মতো সারি সারি চৌকি পাতা। তারই একটায় থাকতেন সত্যেন সেন।
ভোররাতে হঠাৎ সত্যেন সেনের চটির খচখচ শব্দ শোনা গেল। সেই সঙ্গে বাড়ির মালিকের স্ত্রীর গজগজ, ‘রোজ অন্ধকার থাকতেই এই যন্ত্রণা!’
সত্যেন সেন এসে বললেন, ‘মিনু, ওঠো।’
সন্জীদা খাতুনের ডাকনাম মিনু। মিনুও সত্যেন সেনের সঙ্গে হেঁটে এলেন বারান্দায়। চেয়ার টেনে বসলেন দুজন। খানিক পরে সামনের একটা বড় গাছ থেকে একসঙ্গে ডেকে উঠল একঝাঁক পাখি।
সত্যেন সেন বললেন, ‘শুনলা? এইবার তুমি একটা গান গাও।’
সেই বাড়িতেই দুপুরে খাবার দেওয়ার সময় খাওয়া শেষে সন্জীদার পাতে দই বেড়ে দিলেন গৃহিণী। সন্জীদা বললেন, ‘সত্যেনদাকে?’ গৃহিণী ফিসফিস করে বললেন, ‘দেখতে পায় না তো!’
সন্জীদা নিজের পাতের দই ঢেলে দিলেন সত্যেন সেনের পাতে। সন্জীদা খাতুন রেগে গিয়ে বললেন, ‘কালই তুমি আমার সঙ্গে চলে যাবে, বুঝেছ?’
পরদিন সত্যেন সেন সন্জীদা খাতুনের সঙ্গে চলে এলেন। উঠলেন গোলপার্কে শিবনারায়ণ সেনের বাড়িতে।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, সহজ কঠিন দ্বন্দ্বে ছন্দে, পৃষ্ঠা: ১৫৬-১৫৮
শান্তিনিকেতনে সত্যেন সেনের সেজদির বাড়ি ছিল। সেখানে সত্যেন সেন যেতেন। সে সময় চোখের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছিল তাঁর। দুই বেলা দুজনকে ডিকটেশন দিয়ে লেখা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
সেই সত্যেন সেন একবার হরিনাভিতে কমল ঘোষ নামে এক কমরেডের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, রক্তের সম্পর্ক বড় নয়, বড় হলো আত্মার সম্পর্ক। এ কারণেই তিনি ঘুরে ঘুরে আত্মার আত্মীয় খুঁজে বের করতেন এবং তাঁদের বাড়িতে থাকতেন।
চোখে কম দেখতেন বলে আঁকাবাঁকা হস্তাক্ষরে সন্জীদা খাতুনকে পোস্টকার্ডের চিঠি পাঠাতেন। সন্জীদাও দিতেন তার উত্তর। একবার সত্যেন সেন বললেন, ‘তুমি একবার এসো। একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখাব তোমাকে।’
সন্জীদা খাতুন ছুটলেন হরিনাভি। বাড়িটার দোতলায় স্বামী-স্ত্রীর জন্য একটা ঘর। অন্য ঘরে ডরমিটরির মতো সারি সারি চৌকি পাতা। তারই একটায় থাকতেন সত্যেন সেন।
ভোররাতে হঠাৎ সত্যেন সেনের চটির খচখচ শব্দ শোনা গেল। সেই সঙ্গে বাড়ির মালিকের স্ত্রীর গজগজ, ‘রোজ অন্ধকার থাকতেই এই যন্ত্রণা!’
সত্যেন সেন এসে বললেন, ‘মিনু, ওঠো।’
সন্জীদা খাতুনের ডাকনাম মিনু। মিনুও সত্যেন সেনের সঙ্গে হেঁটে এলেন বারান্দায়। চেয়ার টেনে বসলেন দুজন। খানিক পরে সামনের একটা বড় গাছ থেকে একসঙ্গে ডেকে উঠল একঝাঁক পাখি।
সত্যেন সেন বললেন, ‘শুনলা? এইবার তুমি একটা গান গাও।’
সেই বাড়িতেই দুপুরে খাবার দেওয়ার সময় খাওয়া শেষে সন্জীদার পাতে দই বেড়ে দিলেন গৃহিণী। সন্জীদা বললেন, ‘সত্যেনদাকে?’ গৃহিণী ফিসফিস করে বললেন, ‘দেখতে পায় না তো!’
সন্জীদা নিজের পাতের দই ঢেলে দিলেন সত্যেন সেনের পাতে। সন্জীদা খাতুন রেগে গিয়ে বললেন, ‘কালই তুমি আমার সঙ্গে চলে যাবে, বুঝেছ?’
পরদিন সত্যেন সেন সন্জীদা খাতুনের সঙ্গে চলে এলেন। উঠলেন গোলপার্কে শিবনারায়ণ সেনের বাড়িতে।
সূত্র: সন্জীদা খাতুন, সহজ কঠিন দ্বন্দ্বে ছন্দে, পৃষ্ঠা: ১৫৬-১৫৮
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে