আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে/সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে/অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে/সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে’—কবিতায় পড়া সেই বনলতা সেনে জীবনানন্দ দাশ হাজার বছরের ছবি এঁকেছেন কয়েক লাইনে। ক্লান্তি ছাপিয়ে ছুটে চলেছেন সময়কে আঁকড়ে ধরে। অন্য সময়ের সাথীদের কাছে অদেখা সময়কে পৌঁছে দিতে।
সৃজনশীল কাজে সময়কে বয়ে নিয়ে চলা নতুন নয়। রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’ বইয়ে সেই বর্বর যুগ থেকে আধুনিক যুগের কথা লিখেছেন পাতায় পাতায়। অভিনেতা আর নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের সিনেমাগুলো আজও আমাদের হাস্যরস দেওয়ার পাশাপাশি সূক্ষ্ম চিন্তার খোরাক জোগায়। সংঘাত আর শ্রেণিদ্বন্দ্বের এরূপ চিত্রায়ণ আর কজনই বা করতে পারে?
‘আমি সময়কে ছবিতে এঁকেছি—এমন বলার সাহস আমার নেই। এমন হলে ব্যাপারটা খুবই দাম্ভিকতায় পূর্ণ হবে। কিন্তু এটা বলা যেতে পারে—আমি যা এঁকেছি এর মধ্যে সময় বিদ্যমান। আমি নিজেকে সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। সময়ের একান্ত অনুগত হয়ে থেকেছি। তবে ব্যবহারে ছিলাম সদা সতর্ক।’
এভাবেই বলছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার চিত্রশিল্পী মায়োংহি কং। ক্যানভাসে তুলির আঁচড়ে যিনি তাঁর চারপাশের জগৎকে ফুটিয়ে তোলেন। আর কল্পনা পায় আলপনার রং। এক প্রতিবেদনে সেই ক্যানভাসের গল্প বলেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
গত শতকের আশির দশকে ‘লে টেম্পস ডেস ক্যামেলিয়াস (দ্য টাইম অব ক্যামেলিয়াস)’ শিরোনামের একটি ছবি আঁকায় হাত দেন তিনি। তখন থাকতেন ফ্রান্সের প্যারিসে। প্রতিদিন ঘুরে এসে মনের ভাবনা আর ভ্রমণের চিত্রকে ক্যানভাসের রঙে পরিণত করতেন তুলির আঁচড়ে। ‘মনে জমে থাকা প্রশ্নের দিকে ঘুরে তাকিয়েছি আমি। আর এত দিন ঘোরাঘুরি করার স্মৃতিকে ধারণ করতে চেয়েছি’, এভাবেই বলছিলেন মায়োংহি কং।
কিন্তু কাজ আর শেষ হয় না। ছবি এঁকে নিজেই খুশি হতে পারছিলেন না এ শিল্পী। কয়েক বছর এঁকে বন্ধ করে দেন তুলির খেলা। কংয়ের বিক্ষিপ্ত মনকে আবারও কেন্দ্রীভূত করতে চলে যায় এক দশকেরও বেশি সময়। একবিংশ শতকের শুরুতেও জুতসই সময় আর স্থান মেলে না।
অবশেষে ২০০৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে কীভাবে যেন তাঁর মনে জন্ম নেয় অনুপ্রেরণা। আবার শুরু করেন রঙের খেলা। সময়টা বর্ণনা করতে গিয়ে মায়োংহি কং বলেন, ‘জেজুর বসন্ত আমাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়, তখন আমার আঁকার ঘরে ক্যামেলিয়ার বাহার। আবারও আমি আমার চারপাশের সবকিছুকে ক্যানভাসে টেনে আনতে থাকি।’
এরপর আরও ১০ বছর কেটে যায় ছবি শেষ করতে। আজকের যুগে এত লম্বা সময় ধরে ছবি আকার ধৈর্য খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে।
২০১৮ সালে শেষ হওয়া লে টেম্পস ডেস ক্যামেলিয়াসে তাকালে প্রথমে মনে হতে পারে সাদা, কালো, সবুজ, হলুদ রঙের বাহারি সাজ। হংকংয়ের ভিলেপিনে চলছে কংয়ের ছবির প্রদর্শনী। সেখানে গিয়ে সামনাসামনি দেখার পর ছবিপ্রেমীরা অদ্ভুত এক ধাঁধায় পড়ে যাবেন। সময়ের ধাঁধা। ছবির রঙে একেকটা বছর আর একেকটা গল্প। যেন তিন দশক একই ফ্রেমে নিয়ে এসেছেন ৭০ বছরের বেশি বয়সী এ কারিগর। তবে এখনো ঘুমানোর সময় তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, ছবিটা কি শেষ করতে পেরেছি?
‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে/সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে/অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে/সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে’—কবিতায় পড়া সেই বনলতা সেনে জীবনানন্দ দাশ হাজার বছরের ছবি এঁকেছেন কয়েক লাইনে। ক্লান্তি ছাপিয়ে ছুটে চলেছেন সময়কে আঁকড়ে ধরে। অন্য সময়ের সাথীদের কাছে অদেখা সময়কে পৌঁছে দিতে।
সৃজনশীল কাজে সময়কে বয়ে নিয়ে চলা নতুন নয়। রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’ বইয়ে সেই বর্বর যুগ থেকে আধুনিক যুগের কথা লিখেছেন পাতায় পাতায়। অভিনেতা আর নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের সিনেমাগুলো আজও আমাদের হাস্যরস দেওয়ার পাশাপাশি সূক্ষ্ম চিন্তার খোরাক জোগায়। সংঘাত আর শ্রেণিদ্বন্দ্বের এরূপ চিত্রায়ণ আর কজনই বা করতে পারে?
‘আমি সময়কে ছবিতে এঁকেছি—এমন বলার সাহস আমার নেই। এমন হলে ব্যাপারটা খুবই দাম্ভিকতায় পূর্ণ হবে। কিন্তু এটা বলা যেতে পারে—আমি যা এঁকেছি এর মধ্যে সময় বিদ্যমান। আমি নিজেকে সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। সময়ের একান্ত অনুগত হয়ে থেকেছি। তবে ব্যবহারে ছিলাম সদা সতর্ক।’
এভাবেই বলছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার চিত্রশিল্পী মায়োংহি কং। ক্যানভাসে তুলির আঁচড়ে যিনি তাঁর চারপাশের জগৎকে ফুটিয়ে তোলেন। আর কল্পনা পায় আলপনার রং। এক প্রতিবেদনে সেই ক্যানভাসের গল্প বলেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
গত শতকের আশির দশকে ‘লে টেম্পস ডেস ক্যামেলিয়াস (দ্য টাইম অব ক্যামেলিয়াস)’ শিরোনামের একটি ছবি আঁকায় হাত দেন তিনি। তখন থাকতেন ফ্রান্সের প্যারিসে। প্রতিদিন ঘুরে এসে মনের ভাবনা আর ভ্রমণের চিত্রকে ক্যানভাসের রঙে পরিণত করতেন তুলির আঁচড়ে। ‘মনে জমে থাকা প্রশ্নের দিকে ঘুরে তাকিয়েছি আমি। আর এত দিন ঘোরাঘুরি করার স্মৃতিকে ধারণ করতে চেয়েছি’, এভাবেই বলছিলেন মায়োংহি কং।
কিন্তু কাজ আর শেষ হয় না। ছবি এঁকে নিজেই খুশি হতে পারছিলেন না এ শিল্পী। কয়েক বছর এঁকে বন্ধ করে দেন তুলির খেলা। কংয়ের বিক্ষিপ্ত মনকে আবারও কেন্দ্রীভূত করতে চলে যায় এক দশকেরও বেশি সময়। একবিংশ শতকের শুরুতেও জুতসই সময় আর স্থান মেলে না।
অবশেষে ২০০৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে কীভাবে যেন তাঁর মনে জন্ম নেয় অনুপ্রেরণা। আবার শুরু করেন রঙের খেলা। সময়টা বর্ণনা করতে গিয়ে মায়োংহি কং বলেন, ‘জেজুর বসন্ত আমাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়, তখন আমার আঁকার ঘরে ক্যামেলিয়ার বাহার। আবারও আমি আমার চারপাশের সবকিছুকে ক্যানভাসে টেনে আনতে থাকি।’
এরপর আরও ১০ বছর কেটে যায় ছবি শেষ করতে। আজকের যুগে এত লম্বা সময় ধরে ছবি আকার ধৈর্য খুব একটা দেখা যায় না বললেই চলে।
২০১৮ সালে শেষ হওয়া লে টেম্পস ডেস ক্যামেলিয়াসে তাকালে প্রথমে মনে হতে পারে সাদা, কালো, সবুজ, হলুদ রঙের বাহারি সাজ। হংকংয়ের ভিলেপিনে চলছে কংয়ের ছবির প্রদর্শনী। সেখানে গিয়ে সামনাসামনি দেখার পর ছবিপ্রেমীরা অদ্ভুত এক ধাঁধায় পড়ে যাবেন। সময়ের ধাঁধা। ছবির রঙে একেকটা বছর আর একেকটা গল্প। যেন তিন দশক একই ফ্রেমে নিয়ে এসেছেন ৭০ বছরের বেশি বয়সী এ কারিগর। তবে এখনো ঘুমানোর সময় তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, ছবিটা কি শেষ করতে পেরেছি?
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে