কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারানো ৪০টি পরিবার দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। তাঁদের ঠাঁই হয়েছে সরকারি খাস জমিতে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন এসব পরিবারের নারী ও শিশুসহ প্রায় ২০০ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খাস জমিতে ৪০টি পরিবার গড়ে তুলেছেন জনবসতি। তৎকালীন কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত মাহফুজার রহমান মন্টুর সহযোগিতায় তাঁরা আশ্রয় নেয় বান্দইল নামক ওই স্থানে। বর্তমানে এটি শিকটা সীমান্ত পাড়া নামে পরিচিত। ত্রিপাল দিয়ে তাঁবুর ঘর তৈরি করে ১৯৯৫ সালে আশ্রয় নেওয়া এসব পরিবারের সেখানে বসবাসের প্রায় ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি আজও। এখানকার বসবাসকারী সবাই দিন মজুর। অভাব অনটনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলে তাঁদের সংসার।
সেখানে টিন দিয়ে নির্মাণ করা ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন তাঁরা। এখানে ১২টি পরিবারে ব্যবহারের জন্য টয়লেট এবং ৪০টি পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির জন্য রয়েছে মাত্র ১৬টি টিউবওয়েল।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপাকে পড়তে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। নুনগোলা খাড়ির পশ্চিম পাড় দিয়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তা থাকলেও বর্ষাকাল তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তখন চলাচলে একমাত্র ভরসা কলাগাছের তৈরি ভেলা।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, শিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় খেতের আইল দিয়ে যেতে হয় শিশুদের। বর্ষাকালে তাঁরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।
মকবুল হোসেন মণ্ডল বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এখানে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আসেন না। সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করে আসলেও আজ পর্যন্ত ভূমিহীন হিসেবে কোনো জায়গা বরাদ্দ পাননি কেউই।
শিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু জরিপ অনুযায়ী, করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময়েই চার শিশু শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
শিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার পারভিন বলেন, বর্ষার সময় সীমান্ত পাড়ার শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, শিক্ষা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারানো ৪০টি পরিবার দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। তাঁদের ঠাঁই হয়েছে সরকারি খাস জমিতে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন এসব পরিবারের নারী ও শিশুসহ প্রায় ২০০ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খাস জমিতে ৪০টি পরিবার গড়ে তুলেছেন জনবসতি। তৎকালীন কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত মাহফুজার রহমান মন্টুর সহযোগিতায় তাঁরা আশ্রয় নেয় বান্দইল নামক ওই স্থানে। বর্তমানে এটি শিকটা সীমান্ত পাড়া নামে পরিচিত। ত্রিপাল দিয়ে তাঁবুর ঘর তৈরি করে ১৯৯৫ সালে আশ্রয় নেওয়া এসব পরিবারের সেখানে বসবাসের প্রায় ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি আজও। এখানকার বসবাসকারী সবাই দিন মজুর। অভাব অনটনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলে তাঁদের সংসার।
সেখানে টিন দিয়ে নির্মাণ করা ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন তাঁরা। এখানে ১২টি পরিবারে ব্যবহারের জন্য টয়লেট এবং ৪০টি পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির জন্য রয়েছে মাত্র ১৬টি টিউবওয়েল।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপাকে পড়তে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। নুনগোলা খাড়ির পশ্চিম পাড় দিয়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তা থাকলেও বর্ষাকাল তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তখন চলাচলে একমাত্র ভরসা কলাগাছের তৈরি ভেলা।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, শিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় খেতের আইল দিয়ে যেতে হয় শিশুদের। বর্ষাকালে তাঁরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।
মকবুল হোসেন মণ্ডল বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এখানে কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আসেন না। সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করে আসলেও আজ পর্যন্ত ভূমিহীন হিসেবে কোনো জায়গা বরাদ্দ পাননি কেউই।
শিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু জরিপ অনুযায়ী, করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময়েই চার শিশু শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
শিকটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার পারভিন বলেন, বর্ষার সময় সীমান্ত পাড়ার শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, শিক্ষা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে