বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, বাল্যবিবাহ রোধে প্রয়োজন বেশি বেশি প্রচার। কোনো কিশোরী যেন বাল্যবিবাহের শিকার না হয় এবং অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ না করে সে বিষয়েও লক্ষ রাখা প্রয়োজন। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, মা ও শিশুদের সু-স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আন্তরিক হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। তাহলে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সফল হবে।

সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এই আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা করে। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করি, বাল্য বিয়ে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোববার থেকে শুরু হয়েছে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ।

গতকাল সকালে বান্দরবান পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ম্রো আবাসিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুয়ালক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। এ সময় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সেবা ও প্রচার সপ্তাহ এর উদ্বোধন করা হয়। পরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের হয়।

অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. অংচালু এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়ি মং মারমা, অতিরিক্ত সিভিল সার্জন ডা. মংটিং ঞো, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা ও ডিপিএম পীযুষ কান্তি দত্ত, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. কায়েসুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সালাউদ্দিন কাদেরনহ অনেকে।

বান্দরবান পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা, অংচালু জানান, পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এবারে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা, কিশোর-কিশোরী এবং সাধারণ রোগীদের সেবাসহ ৩০ হাজার ৬২৬ জন রোগীকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সপ্তাহব্যাপী নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে।