এম মেহেদী হাসিন, রংপুর ও শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
ছেলের চিকিৎসা আর নতুন বিয়ে দেওয়া মেয়েকে আসবাবপত্র দেওয়ার জন্য বসতভিটার আংশিক বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা ঘরে রেখেছিলেন তারাগঞ্জের দিনমজুর নজির উদ্দিন। কিন্তু ঘরে আগুন লেগে এই টাকাসহ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয় তাঁকে।
রংপুর বিভাগে গত বছর নজিরের বাড়ির মতো মোট ৪ হাজার ২৫৩টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এতে ছয়জন নিহত এবং ২২ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি সোয়া ২৫ কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২০৬টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক, গ্যাস ও মাটির চুলা থেকে ৯১৭টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপরেই রয়েছে বিড়ি-সিগারেট থেকে ৮২৪টি এবং ছোট শিশুদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে ৩২০টি অগ্নিকাণ্ড।
এ ছাড়া উত্তপ্ত ছাই ও জ্বালানি, খোলা বাতির যথেচ্ছ ব্যবহার, উচ্ছৃঙ্খল জনতা ও শত্রুতা, যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাসের লাইনে ত্রুটি, গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ, যানবাহনের দুর্ঘটনা, বজ্রপাত, মেশিনের মিস ফায়ার, রাসায়নিক বিক্রিয়া, বাজি পোড়ানো, উচ্চ তাপসহ অন্যান্য কারণে বাকি অগ্নিকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে।
গত বছর ১ হাজার ৩৪১টি বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। সেই সঙ্গে গোশালা ও খড়ের গাদায় ৯৩০টি, রান্নাঘরে ৬২৪টি, দোকানে ৩১৩টি, হাটবাজারে ৯৯টি, বস্তিতে ৮৭টি, হোটেল-রেঁস্তোরায় ৬৪টি, কলকারখানায় একটি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৫টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১টি, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, শহর এলাকার ৭০ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়েছে। এতে বিভিন্ন কলকারখানা, আবাসিক ভবন, পাটের গুদাম, বস্ত্র ও সুতার কারখানা ও গুদাম, সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্নমানের নকল বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, সকেটসহ অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সাধারণত এমন অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও ইলেকট্রিশিয়ানের কর্মকাণ্ড মূলত দায়ী।
ছালেহ উদ্দিন বলেন, একশ্রেণির মানুষ সস্তায় নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে গিয়ে এসব ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এ ছাড়া রয়েছে বিদ্যুৎ পরিবহনের সক্ষমতা ও নিয়ম না জেনেই অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার, অসচেতনতা এবং চোরাই সংযোগের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার। যার ফলে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে এসব ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এতে বিশেষ করে আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বলে তিনি জানান।
এ জন্য জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আরও বলেন, নিজেদের মূল্যবান আবাসনের জন্য বৈদ্যুতিক তার এবং যন্ত্রপাতির সঠিক মান যাচাই করে ব্যবহার করা উচিত। এ সব ব্যাপারে অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ছেলের চিকিৎসা আর নতুন বিয়ে দেওয়া মেয়েকে আসবাবপত্র দেওয়ার জন্য বসতভিটার আংশিক বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা ঘরে রেখেছিলেন তারাগঞ্জের দিনমজুর নজির উদ্দিন। কিন্তু ঘরে আগুন লেগে এই টাকাসহ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয় তাঁকে।
রংপুর বিভাগে গত বছর নজিরের বাড়ির মতো মোট ৪ হাজার ২৫৩টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এতে ছয়জন নিহত এবং ২২ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি সোয়া ২৫ কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২০৬টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক, গ্যাস ও মাটির চুলা থেকে ৯১৭টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপরেই রয়েছে বিড়ি-সিগারেট থেকে ৮২৪টি এবং ছোট শিশুদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে ৩২০টি অগ্নিকাণ্ড।
এ ছাড়া উত্তপ্ত ছাই ও জ্বালানি, খোলা বাতির যথেচ্ছ ব্যবহার, উচ্ছৃঙ্খল জনতা ও শত্রুতা, যান্ত্রিক ত্রুটি, গ্যাসের লাইনে ত্রুটি, গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ, যানবাহনের দুর্ঘটনা, বজ্রপাত, মেশিনের মিস ফায়ার, রাসায়নিক বিক্রিয়া, বাজি পোড়ানো, উচ্চ তাপসহ অন্যান্য কারণে বাকি অগ্নিকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে।
গত বছর ১ হাজার ৩৪১টি বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। সেই সঙ্গে গোশালা ও খড়ের গাদায় ৯৩০টি, রান্নাঘরে ৬২৪টি, দোকানে ৩১৩টি, হাটবাজারে ৯৯টি, বস্তিতে ৮৭টি, হোটেল-রেঁস্তোরায় ৬৪টি, কলকারখানায় একটি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১৫টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১টি, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, শহর এলাকার ৭০ শতাংশ অগ্নিকাণ্ডই বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সূত্রপাত হয়েছে। এতে বিভিন্ন কলকারখানা, আবাসিক ভবন, পাটের গুদাম, বস্ত্র ও সুতার কারখানা ও গুদাম, সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্নমানের নকল বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, সকেটসহ অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সাধারণত এমন অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও ইলেকট্রিশিয়ানের কর্মকাণ্ড মূলত দায়ী।
ছালেহ উদ্দিন বলেন, একশ্রেণির মানুষ সস্তায় নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে গিয়ে এসব ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। এ ছাড়া রয়েছে বিদ্যুৎ পরিবহনের সক্ষমতা ও নিয়ম না জেনেই অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার, অসচেতনতা এবং চোরাই সংযোগের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার। যার ফলে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে এসব ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এতে বিশেষ করে আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বলে তিনি জানান।
এ জন্য জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আরও বলেন, নিজেদের মূল্যবান আবাসনের জন্য বৈদ্যুতিক তার এবং যন্ত্রপাতির সঠিক মান যাচাই করে ব্যবহার করা উচিত। এ সব ব্যাপারে অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে