সংসদ নির্বাচনে লড়তে চেয়ে ‘বিপদে’ মেয়র

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮: ৪৪
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ৩৬

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগে অনাস্থা দিয়েছেন ১১ জন কাউন্সিলর। এরই মধ্যে সে অভিযোগ আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দিতে বলেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে পৌর মেয়র কাদের সেখ দাবি করেছেন, তিনি অপরাজনীতির শিকার। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর থেকেই তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে দলের একটি পক্ষ।

ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সেখ টানা তিনবার পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার আগে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন আট বছর।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, মেয়র পদে প্রথম দুই মেয়াদে অনেকটা নির্ঝঞ্ঝাট দায়িত্ব পালন করেছেন আব্দুল কাদের সেখ। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী, সরকারি গুদামের মালপত্র লুট, অর্থ আত্মসাৎসহ দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ করে মেয়র পদ থেকে তাঁকে অপসারণ চেয়ে ১১ কাউন্সিলর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র কাদের সেখ বলেন, ‘কাউন্সিলরদের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার অপরাজনীতির শিকার।’

তবে উপজেলা যুবলীগের সাবেক ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া বলেন, ‘মেয়রের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এ কারণে আমরা মন্ত্রণালয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেছি। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’

সূত্র বলেছে, কাউন্সিলরদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের সেখের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তও হয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৌর-১ শাখার উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জামালপুরের জেলা প্রশাসককে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত