মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
এত দিন ঢাকাসহ বড় শহরগুলোকেই ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হতো; কিন্তু এ বছর রোগটির প্রকোপ পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেশি দেখা দিয়েছে। এ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, থেমে থেমে বৃষ্টি ও সর্বত্র নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়ায় মশার বংশবিস্তার ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতাই হবে ডেঙ্গু রোধে মূল কাজ।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস ও সদর হাসপাতালের তথ্যমতে, গত ৭০ দিনে জেলায় ২৪ রোহিঙ্গাসহ ২৯ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। এডিস মশাবাহিত এ রোগ এখন উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আশঙ্কাজনক হারে দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি কক্সবাজার শহরের চারটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, রোহিঙ্গা শিবির ও কক্সবাজার শহর এখন ডেঙ্গুর হটস্পট।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৩ নম্বর ক্যাম্পে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৭৯ জন, ক্যাম্প-৪-এ ১ হাজার ৪০ জন এবং ক্যাম্প-১ ওয়েস্টে ৭৩৬ জন। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, পাহাড়তলী, বৈদ্যঘোনা, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া ও টেকনাফ উপজেলায়।
এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ৮৪৩ জন।
বাকিরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। এ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৮৮৮ জন। এই হাসপাতালে মারা গেছে ১৭ জন। রোহিঙ্গা শিবিরের ফিল্ড হাসপাতালে মারা গেছে ১১ জন এবং নিজ বাড়িতে মারা গেছে এক রোহিঙ্গা।
অবশ্যই রোহিঙ্গা শিবিরে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল ৫০৯ জন। পরের মাসে এ সংখ্যা ৪ হাজার ৬৫ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। এই ছয় মাসে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, গত সোমবার সকাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সদর হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ২৮ জন। বর্তমানে মোট ভর্তি আছে ৬১ জন। এর মধ্যে দুজন রয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। গত সোমবার সন্ধ্যায় মৌরিজান (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবক নুরুল আবছার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। গত ৩১ আগস্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তানভীর আহমদ (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। সে সদর উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা। তানভীর কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গত জুনে ৪ হাজার ৬৫ জন ও জুলাইয়ে ৪ হাজার ৮৫২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। তবে আগস্টে এ হার কমে ২ হাজার ৬০৭ জনে এসেছে। চলতি
মাসের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৮৬ জন।
ডা. আবু তোহা ভূঁইয়া বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে। মূলত ঘন জনবসতি, সচেতনতার অভাব ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, জুলাই থেকে শহরের কয়েকটি মহল্লায় ডেঙ্গু দেখা দেওয়ার পর মশা নিধন ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফিল্ড হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ঠেকাতে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক পণ্য, নালা-নর্দমা, খাল-বিল পরিষ্কারের ব্যবস্থা
করা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলো গণবসতি হওয়ায় সেখানে ডেঙ্গুর পরিস্থিতিও বেড়েছে। তবে চেষ্টা চলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার।
এত দিন ঢাকাসহ বড় শহরগুলোকেই ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হতো; কিন্তু এ বছর রোগটির প্রকোপ পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেশি দেখা দিয়েছে। এ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, থেমে থেমে বৃষ্টি ও সর্বত্র নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়ায় মশার বংশবিস্তার ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতাই হবে ডেঙ্গু রোধে মূল কাজ।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস ও সদর হাসপাতালের তথ্যমতে, গত ৭০ দিনে জেলায় ২৪ রোহিঙ্গাসহ ২৯ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। এডিস মশাবাহিত এ রোগ এখন উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আশঙ্কাজনক হারে দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি কক্সবাজার শহরের চারটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, রোহিঙ্গা শিবির ও কক্সবাজার শহর এখন ডেঙ্গুর হটস্পট।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ৩ নম্বর ক্যাম্পে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৭৯ জন, ক্যাম্প-৪-এ ১ হাজার ৪০ জন এবং ক্যাম্প-১ ওয়েস্টে ৭৩৬ জন। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, পাহাড়তলী, বৈদ্যঘোনা, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া ও টেকনাফ উপজেলায়।
এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ৮৪৩ জন।
বাকিরা রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। এ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৮৮৮ জন। এই হাসপাতালে মারা গেছে ১৭ জন। রোহিঙ্গা শিবিরের ফিল্ড হাসপাতালে মারা গেছে ১১ জন এবং নিজ বাড়িতে মারা গেছে এক রোহিঙ্গা।
অবশ্যই রোহিঙ্গা শিবিরে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত আক্রান্ত ছিল ৫০৯ জন। পরের মাসে এ সংখ্যা ৪ হাজার ৬৫ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। এই ছয় মাসে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, গত সোমবার সকাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সদর হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ২৮ জন। বর্তমানে মোট ভর্তি আছে ৬১ জন। এর মধ্যে দুজন রয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। গত সোমবার সন্ধ্যায় মৌরিজান (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবক নুরুল আবছার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। গত ৩১ আগস্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তানভীর আহমদ (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। সে সদর উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা। তানভীর কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গত জুনে ৪ হাজার ৬৫ জন ও জুলাইয়ে ৪ হাজার ৮৫২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। তবে আগস্টে এ হার কমে ২ হাজার ৬০৭ জনে এসেছে। চলতি
মাসের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৮৬ জন।
ডা. আবু তোহা ভূঁইয়া বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে। মূলত ঘন জনবসতি, সচেতনতার অভাব ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, জুলাই থেকে শহরের কয়েকটি মহল্লায় ডেঙ্গু দেখা দেওয়ার পর মশা নিধন ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফিল্ড হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ঠেকাতে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক পণ্য, নালা-নর্দমা, খাল-বিল পরিষ্কারের ব্যবস্থা
করা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলো গণবসতি হওয়ায় সেখানে ডেঙ্গুর পরিস্থিতিও বেড়েছে। তবে চেষ্টা চলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে