কামাল হোসেন, কয়রা (খুলনা)
খুলনার কয়রায় আবারও ভাঙল বেড়িবাঁধ। কপোতাক্ষ নদে ভেঙে যাওয়া এ বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে নেমে পড়েছেন স্থানীয় জনগণ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কাজে অংশ নেন দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার মানুষ। তবে দুপুরে জোয়ার আসার আগে বাঁধ মেরামত সম্ভব না হওয়ায় ডুবে গেছে চিংড়ি ঘেরগুলো। পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই ভোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৪/১ পোল্ডারের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোড়া এলাকার বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্বেচ্ছাশ্রমে পরের দিন দুই হাজার মানুষ রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও ওই স্থানে পাউবো কোনো কাজ করেনি। ফলে গত রোববার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পুনরায় রিংবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।
এলাকাবাসী আরও জানান, নদীভাঙনে ঘরবাড়ি, জমিজমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের অনেক পরিবার। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বাড়িঘর হারিয়ে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। ভেসে গেছে প্রায় তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা।
দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথায় থাকব জানি না। রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাঁধ না হলে ছেলেমেয়ে নিয়ে কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার বলেন, ‘পানিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রাম। ভেসে গেছে তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার মানুষ। আজও বাঁধ বাঁধা সম্ভব হলে না। আল্লাহ ভালো জানে দক্ষিণ বেদকাশীর মানুষের কপালে কী আছে।’
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘একই স্থানে বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়া দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ভোগান্তি। গত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার টাকারও বেশি। কিন্তু কাজের বদলে হয়েছে শুধু লুটপাট।’
ইমতিয়াজ উদ্দিন আরও জানান, কয়রায় নদীভাঙনের কারণে প্রতিবছর হাজারো মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তাঘাট ও পরের জমিতে আশ্রয় নিচ্ছে। শুধু দক্ষিণ বেদকাশী নয়, এ উপজেলার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ নদীভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে। একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এত দিন কয়রার মানুষ আন্দোলন করে আসছিল। এখন বরাদ্দ হয়েছে, এবার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়নের সময়।
সাতক্ষীরা পাউবোর (বিভাগ-২) উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. মশিউল আবেদিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ মেরামতের মাধ্যমে পানি আটকানোর জন্য মানুষ কাজ করছে।
খুলনার কয়রায় আবারও ভাঙল বেড়িবাঁধ। কপোতাক্ষ নদে ভেঙে যাওয়া এ বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজে নেমে পড়েছেন স্থানীয় জনগণ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ কাজে অংশ নেন দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার মানুষ। তবে দুপুরে জোয়ার আসার আগে বাঁধ মেরামত সম্ভব না হওয়ায় ডুবে গেছে চিংড়ি ঘেরগুলো। পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই ভোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৪/১ পোল্ডারের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোড়া এলাকার বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্বেচ্ছাশ্রমে পরের দিন দুই হাজার মানুষ রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও ওই স্থানে পাউবো কোনো কাজ করেনি। ফলে গত রোববার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পুনরায় রিংবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।
এলাকাবাসী আরও জানান, নদীভাঙনে ঘরবাড়ি, জমিজমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের অনেক পরিবার। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বাড়িঘর হারিয়ে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। ভেসে গেছে প্রায় তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা।
দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথায় থাকব জানি না। রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাঁধ না হলে ছেলেমেয়ে নিয়ে কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার বলেন, ‘পানিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রাম। ভেসে গেছে তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার মানুষ। আজও বাঁধ বাঁধা সম্ভব হলে না। আল্লাহ ভালো জানে দক্ষিণ বেদকাশীর মানুষের কপালে কী আছে।’
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘একই স্থানে বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়া দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ভোগান্তি। গত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রায় বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার টাকারও বেশি। কিন্তু কাজের বদলে হয়েছে শুধু লুটপাট।’
ইমতিয়াজ উদ্দিন আরও জানান, কয়রায় নদীভাঙনের কারণে প্রতিবছর হাজারো মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তাঘাট ও পরের জমিতে আশ্রয় নিচ্ছে। শুধু দক্ষিণ বেদকাশী নয়, এ উপজেলার আড়াই লক্ষাধিক মানুষ নদীভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে। একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এত দিন কয়রার মানুষ আন্দোলন করে আসছিল। এখন বরাদ্দ হয়েছে, এবার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়নের সময়।
সাতক্ষীরা পাউবোর (বিভাগ-২) উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. মশিউল আবেদিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ মেরামতের মাধ্যমে পানি আটকানোর জন্য মানুষ কাজ করছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে