নাইমুর রহমান, নাটোর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের ভোটের মাঠ বেশ গোলমেলে। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এ আসনে বাজিমাত করেছিলেন বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তবে ২০০৮ সালে সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দেন আওয়ামী লীগের আহাদ আলী সরকার। প্রথমে এমপি, পরে প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। ২০১৪ সালে দৃশ্যপটে যুক্ত হয় নতুন নাম, শফিকুল ইসলাম শিমুল। আওয়ামী লীগের হয়ে ২০১৮ সালেও এমপি হন তিনি। আগামী নির্বাচনে এ তিনজনই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। তেমনটি হলে বেশ গোলমেলেই হবে এ আসনের ভোটের রাজনীতি।
জেলার চারটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে কারা মনোনয়ন চাইবেন, তা জানতে এখনই উৎসাহের কমতি নেই ভোটারদের। ভোটাররা চাইলেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চান না বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের পাঁচজন সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় বাকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বিএনপি বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখায় এখনই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে প্রার্থী কে হবেন, তা মোটামুটি নিশ্চিত। জাতীয় পার্টির ভোটকেন্দ্রিক কোনো তৎপরতা নেই। আর জামায়াতে ইসলামী জেলার দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এ আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন অন্তত পাঁচজন হেভিওয়েট নেতা। তাঁরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভা মেয়র উমা চৌধুরী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক শেখ।
বিএনপি থেকে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তাঁর স্ত্রী জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী মৃধা।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল। গত ফেব্রুয়ারিতে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়ার পর থেকে বেশির ভাগ সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে কানাডায় অবস্থান করেছেন। তবে দেশে ফিরে পুরোটা সময় তিনি নিজ বলয়ের অনুসারীদের সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি ও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে অনেকটাই নির্ভার শিমুল জানান, তিনি দুই মেয়াদে এমপি থাকার সময় নির্বাচনী এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করেছেন।সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও ছিলেন তিনি।
শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে।চার উপজেলা সম্মেলন, জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ দলীয় কর্মকাণ্ডেই বেশি সময় পার করেন তিনি। এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় কোণঠাসা হওয়া দলের দুর্দিনের কর্মীদের আবারও সক্রিয় করছেন। ইতিমধ্যে তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের হাইকমান্ড সন্তুষ্ট। বিএনপির শাসনামলে যাঁদের হাত ধরে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল নাটোরে, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী উমা চৌধুরীর রয়েছে আলাদা ভোটব্যাংক। তিনি জানান, পৌর এলাকার বাইরেও দুই উপজেলায় ভোটারদের সংগঠিত করছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডে সময় দিচ্ছেন। দুই মেয়াদে পৌরসভা পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারকে সম্প্রতি দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন বলে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাননি বলে জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা। আহাদ আলী সরকার বলেন, ‘দলের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধের কারণে এবার নেত্রী আমাকেই বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস করি।’
নিজস্ব বলয় ও বিপুলসংখ্যক কর্মী রয়েছে অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক শেখের। মামলা থাকায় নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এবারও কোনো কারণে অনুপযুক্ত হলে এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা দুলু বলেন, ‘কে প্রার্থী হচ্ছে তা এখন আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করেই আমরা নির্বাচনে যাব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের ভোটের মাঠ বেশ গোলমেলে। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এ আসনে বাজিমাত করেছিলেন বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তবে ২০০৮ সালে সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দেন আওয়ামী লীগের আহাদ আলী সরকার। প্রথমে এমপি, পরে প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। ২০১৪ সালে দৃশ্যপটে যুক্ত হয় নতুন নাম, শফিকুল ইসলাম শিমুল। আওয়ামী লীগের হয়ে ২০১৮ সালেও এমপি হন তিনি। আগামী নির্বাচনে এ তিনজনই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে। তেমনটি হলে বেশ গোলমেলেই হবে এ আসনের ভোটের রাজনীতি।
জেলার চারটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে কারা মনোনয়ন চাইবেন, তা জানতে এখনই উৎসাহের কমতি নেই ভোটারদের। ভোটাররা চাইলেও এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চান না বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের পাঁচজন সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় বাকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বিএনপি বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখায় এখনই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে প্রার্থী কে হবেন, তা মোটামুটি নিশ্চিত। জাতীয় পার্টির ভোটকেন্দ্রিক কোনো তৎপরতা নেই। আর জামায়াতে ইসলামী জেলার দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এ আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন অন্তত পাঁচজন হেভিওয়েট নেতা। তাঁরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভা মেয়র উমা চৌধুরী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক শেখ।
বিএনপি থেকে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তাঁর স্ত্রী জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী মৃধা।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল। গত ফেব্রুয়ারিতে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়ার পর থেকে বেশির ভাগ সময় তিনি পরিবারের সঙ্গে কানাডায় অবস্থান করেছেন। তবে দেশে ফিরে পুরোটা সময় তিনি নিজ বলয়ের অনুসারীদের সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি ও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে অনেকটাই নির্ভার শিমুল জানান, তিনি দুই মেয়াদে এমপি থাকার সময় নির্বাচনী এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করেছেন।সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও ছিলেন তিনি।
শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে।চার উপজেলা সম্মেলন, জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ দলীয় কর্মকাণ্ডেই বেশি সময় পার করেন তিনি। এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় কোণঠাসা হওয়া দলের দুর্দিনের কর্মীদের আবারও সক্রিয় করছেন। ইতিমধ্যে তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের হাইকমান্ড সন্তুষ্ট। বিএনপির শাসনামলে যাঁদের হাত ধরে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল নাটোরে, তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী উমা চৌধুরীর রয়েছে আলাদা ভোটব্যাংক। তিনি জানান, পৌর এলাকার বাইরেও দুই উপজেলায় ভোটারদের সংগঠিত করছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডে সময় দিচ্ছেন। দুই মেয়াদে পৌরসভা পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারকে সম্প্রতি দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবেন বলে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাননি বলে জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা। আহাদ আলী সরকার বলেন, ‘দলের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধের কারণে এবার নেত্রী আমাকেই বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস করি।’
নিজস্ব বলয় ও বিপুলসংখ্যক কর্মী রয়েছে অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক শেখের। মামলা থাকায় নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি বিএনপির রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এবারও কোনো কারণে অনুপযুক্ত হলে এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা দুলু বলেন, ‘কে প্রার্থী হচ্ছে তা এখন আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করেই আমরা নির্বাচনে যাব।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে