জামাল মিয়া, বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথে নদী খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশিমতো খনন কাজ করছে। এমনকি শুধু নদীতীরের ঘাস ছাঁটাই করেই খনন দেখানো হয়েছে।
দখল আর দূষণে একসময়ের খরস্রোতা নদী বাসিয়া, মাকুন্দা আর খাজাঞ্চি এখন খালে পরিণত হয়েছে। আর চরচন্ডী নদী ছোট্ট নালায় পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এসব নদী থেকে পানি সেচে বোরো চাষাবাদ করতেন হাজার হাজার কৃষক। কিন্তু নদীগুলো শুকিয়ে খালে পরিণত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। ফলে বোরো চাষাবাদের সময় সেচসংকটে ভুগতে হয় কৃষকদের
এই সমস্যা সমাধানে সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাসিয়া নদী খনন করে। এরপর উত্তর বিশ্বনাথের মাকুন্দা নদীর ২৮ কিলোমিটার খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। ১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ওই ২৮ কিলোমিটার খননের কার্যাদেশ পায় ঢাকার এসএ এসআই ইসরাত অ্যান্ড জেভি এন্টারপ্রাইজ। নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে ২০২১ সালে ১৫ কিলোমিটার খনন কাজ শেষও করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি টাকারও বেশি।
২০২২ সালের জুন মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জিরো পয়েন্ট থেকে সোনালী বাংলা বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ১০ থেকে ২০ মিটার নদীর তলদেশ খননের নির্দেশনা থাকলেও বৈরাগী বাজার ও বাংলাবাজারের বেশির ভাগ এলাকায় কেবল তীরের ঘাস ছাঁটাই করেই নদী খনন শেষ করা হচ্ছে। বৈরাগী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর বুকে কৃষকের লাগানো ধানের চারা এখনো রয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন আহমদ, আব্দুর রহিম, লিলু মিয়া, এমাদ উদ্দিন, আলাই মিয়া, সুরুজ আলী, নুরুল হকসহ কয়েক ব্যক্তি বলেন, নদীর তলদেশ খনন না করে শুধু পাড়ের ঘাস ছাঁটাই করে খনন কাজ শেষ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, খনন কাজে অনিয়মের কথা তিনি জেনেছেন। সঠিকভাবে নদী খনন করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার শাহীন আহমদ কথা বলতে রাজি হননি। তবে, তিনি অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করেছেন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সেলিম জাহাঙ্গীর অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সঠিকভাবে খননের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও তাঁদের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০ / ১৫ দিন পরে খননকাজ পরিদর্শন করবেন জানিয়ে সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, পরিদর্শনকালে খনন কাজে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আইন মতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বিষয়টি তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, অনিয়মের বিষয় নয়, সেলিম জাহাঙ্গীর শুধুমাত্র মাটি বিক্রির বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টির খোঁজ খবর নেবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট ২ আসনের সাংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, পুনঃখনন কাজে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিশ্বনাথে নদী খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশিমতো খনন কাজ করছে। এমনকি শুধু নদীতীরের ঘাস ছাঁটাই করেই খনন দেখানো হয়েছে।
দখল আর দূষণে একসময়ের খরস্রোতা নদী বাসিয়া, মাকুন্দা আর খাজাঞ্চি এখন খালে পরিণত হয়েছে। আর চরচন্ডী নদী ছোট্ট নালায় পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এসব নদী থেকে পানি সেচে বোরো চাষাবাদ করতেন হাজার হাজার কৃষক। কিন্তু নদীগুলো শুকিয়ে খালে পরিণত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। ফলে বোরো চাষাবাদের সময় সেচসংকটে ভুগতে হয় কৃষকদের
এই সমস্যা সমাধানে সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাসিয়া নদী খনন করে। এরপর উত্তর বিশ্বনাথের মাকুন্দা নদীর ২৮ কিলোমিটার খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। ১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ওই ২৮ কিলোমিটার খননের কার্যাদেশ পায় ঢাকার এসএ এসআই ইসরাত অ্যান্ড জেভি এন্টারপ্রাইজ। নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে ২০২১ সালে ১৫ কিলোমিটার খনন কাজ শেষও করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি টাকারও বেশি।
২০২২ সালের জুন মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জিরো পয়েন্ট থেকে সোনালী বাংলা বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ১০ থেকে ২০ মিটার নদীর তলদেশ খননের নির্দেশনা থাকলেও বৈরাগী বাজার ও বাংলাবাজারের বেশির ভাগ এলাকায় কেবল তীরের ঘাস ছাঁটাই করেই নদী খনন শেষ করা হচ্ছে। বৈরাগী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর বুকে কৃষকের লাগানো ধানের চারা এখনো রয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন আহমদ, আব্দুর রহিম, লিলু মিয়া, এমাদ উদ্দিন, আলাই মিয়া, সুরুজ আলী, নুরুল হকসহ কয়েক ব্যক্তি বলেন, নদীর তলদেশ খনন না করে শুধু পাড়ের ঘাস ছাঁটাই করে খনন কাজ শেষ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, খনন কাজে অনিয়মের কথা তিনি জেনেছেন। সঠিকভাবে নদী খনন করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার শাহীন আহমদ কথা বলতে রাজি হননি। তবে, তিনি অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করেছেন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী সেলিম জাহাঙ্গীর অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সঠিকভাবে খননের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও তাঁদের প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০ / ১৫ দিন পরে খননকাজ পরিদর্শন করবেন জানিয়ে সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, পরিদর্শনকালে খনন কাজে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আইন মতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বিষয়টি তিনি বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, অনিয়মের বিষয় নয়, সেলিম জাহাঙ্গীর শুধুমাত্র মাটি বিক্রির বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টির খোঁজ খবর নেবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট ২ আসনের সাংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, পুনঃখনন কাজে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে