তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
বন্দরনগরীর ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে এখনো পানি পৌঁছাতে পারেনি চট্টগ্রাম ওয়াসা। গ্রাহকসেবা সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে না পারলেও প্রতিবছর নিয়ম করে পানির দাম ঠিকই বাড়িয়েছে সংস্থাটি। পানির দামের পাশাপাশি এবার নিজের বেতনটাও ভালো মতোই বাড়িয়ে নিতে চান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহ।
বর্তমানে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির মূল বেতন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তা দেড় শ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার জন্য গত বছরের মে মাসে ওয়াসা বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। গত বছরের ৪ মে অনুষ্ঠিত ওয়াসা বোর্ডের ৬১তম সভায় এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যজিত কর্মকারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আজ সোমবার ওয়াসা বোর্ডের ৬৫তম সাধারণ সভার আলোচ্যসূচিতে এমডির বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি রাখা হয়েছে।
বেতন বাড়াতে ওয়াসা বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আগেই বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেটির কিছু হয়নি। সোমবার আবারও বোর্ডসভায় সেটি প্রস্তাব আকারে তোলার কথা। ঢাকা ও খুলনা ওয়াসার এমডির বেতন বিবেচনায় নিয়ে আমার বেতন যতটুকু বাড়ায় আর কি। না দিলে নাই। নো প্রবলেম।’
এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এমডির বেতন বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা সেভাবে আগ্রহ দেখাননি। সে জন্য গত আট মাসে সেই কমিটির একটি সভাও হয়নি। এর মধ্যেই আবার নতুন করে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিটি সামনে এনেছেন এমডি। আগের দাবি অনুযায়ীই তিনি বেতন-ভাতা চান। এখন বোর্ড সুপারিশ করলে প্রতি মাসে এ কে এম ফজলুল্লাহর বেতন হবে ৬ লাখ টাকার ওপরে।
একটা সময় ওয়াসাতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ। ১৯৯৮ সালে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যান তিনি। এর ১১ বছর পর এ কে এম ফজলুল্লাহ ২০০৯ সালের ৬ জুলাই চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য ওয়াসাতে নিয়োগ পান। আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হলে সেই পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ। এরপর সাতবার পুনর্নিয়োগ পেয়ে ১১ বছর ধরে ওয়াসার এমডি পদে আছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ অক্টোবর আরও তিন বছরের জন্য এমডি পদে নিয়োগ পান এ কে এম ফজলুল্লাহ।
ওয়াসার সূত্র জানায়, শুরু থেকে এ কে এম ফজলুল্লাহকে মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য আবেদন করলে তাঁর মূল বেতন বাড়িয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর পাশাপাশি বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়ন, বিশেষ ভাতাসহ মিলিয়ে মোট পান ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কার্যকর হয়।
ওয়াসার এমডি শুধু নিজের বেতন নন, ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোতেও এগিয়ে। গত এক যুগে তাঁর সময়ে ১০ বার পানির দাম বেড়েছে। ২০১৩ সালে আবাসিকে ১ হাজার লিটার পানির দাম ছিল ৬ দশমিক ৫৮ টাকা। এই বছরের জানুয়ারিতে ৫ শতাংশ হারে দাম বাড়ার পর আবাসিকে এখন ১ হাজার লিটার পানির দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ২ পয়সা। অর্থাৎ ৯ বছরে পানির দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়াসা। সেই ঋণ শোধের জন্যই পানির দাম বাড়ানোর অজুহাত দেখায় ওয়াসা।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তিগত লাভ নিয়েই এ কে এম ফজলুল্লাহ বেশি ব্যস্ত আছেন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসার একজন বোর্ড সদস্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে প্রতিষ্ঠান ঋণের ভারে জর্জরিত, যে প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসেই ভর্তুকি দিয়ে পানি সরবরাহ করছে, যে প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিমুক্ত নয়—সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা কীভাবে এই দুঃসময়ে বেতন দ্বিগুণ করতে চান।
এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে আগে গঠিত কমিটির সদস্য শওকত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো সুপারিশ নেই। আগামীকাল (আজ) বোর্ডসভায় হয়তো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
বন্দরনগরীর ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে এখনো পানি পৌঁছাতে পারেনি চট্টগ্রাম ওয়াসা। গ্রাহকসেবা সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে না পারলেও প্রতিবছর নিয়ম করে পানির দাম ঠিকই বাড়িয়েছে সংস্থাটি। পানির দামের পাশাপাশি এবার নিজের বেতনটাও ভালো মতোই বাড়িয়ে নিতে চান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম ফজলুল্লাহ।
বর্তমানে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির মূল বেতন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তা দেড় শ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার জন্য গত বছরের মে মাসে ওয়াসা বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। গত বছরের ৪ মে অনুষ্ঠিত ওয়াসা বোর্ডের ৬১তম সভায় এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যজিত কর্মকারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আজ সোমবার ওয়াসা বোর্ডের ৬৫তম সাধারণ সভার আলোচ্যসূচিতে এমডির বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি রাখা হয়েছে।
বেতন বাড়াতে ওয়াসা বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ কে এম ফজলুল্লাহ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক আগেই বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেটির কিছু হয়নি। সোমবার আবারও বোর্ডসভায় সেটি প্রস্তাব আকারে তোলার কথা। ঢাকা ও খুলনা ওয়াসার এমডির বেতন বিবেচনায় নিয়ে আমার বেতন যতটুকু বাড়ায় আর কি। না দিলে নাই। নো প্রবলেম।’
এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এমডির বেতন বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা সেভাবে আগ্রহ দেখাননি। সে জন্য গত আট মাসে সেই কমিটির একটি সভাও হয়নি। এর মধ্যেই আবার নতুন করে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিটি সামনে এনেছেন এমডি। আগের দাবি অনুযায়ীই তিনি বেতন-ভাতা চান। এখন বোর্ড সুপারিশ করলে প্রতি মাসে এ কে এম ফজলুল্লাহর বেতন হবে ৬ লাখ টাকার ওপরে।
একটা সময় ওয়াসাতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ। ১৯৯৮ সালে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যান তিনি। এর ১১ বছর পর এ কে এম ফজলুল্লাহ ২০০৯ সালের ৬ জুলাই চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য ওয়াসাতে নিয়োগ পান। আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হলে সেই পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ। এরপর সাতবার পুনর্নিয়োগ পেয়ে ১১ বছর ধরে ওয়াসার এমডি পদে আছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১ অক্টোবর আরও তিন বছরের জন্য এমডি পদে নিয়োগ পান এ কে এম ফজলুল্লাহ।
ওয়াসার সূত্র জানায়, শুরু থেকে এ কে এম ফজলুল্লাহকে মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য আবেদন করলে তাঁর মূল বেতন বাড়িয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর পাশাপাশি বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়ন, বিশেষ ভাতাসহ মিলিয়ে মোট পান ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কার্যকর হয়।
ওয়াসার এমডি শুধু নিজের বেতন নন, ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোতেও এগিয়ে। গত এক যুগে তাঁর সময়ে ১০ বার পানির দাম বেড়েছে। ২০১৩ সালে আবাসিকে ১ হাজার লিটার পানির দাম ছিল ৬ দশমিক ৫৮ টাকা। এই বছরের জানুয়ারিতে ৫ শতাংশ হারে দাম বাড়ার পর আবাসিকে এখন ১ হাজার লিটার পানির দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ২ পয়সা। অর্থাৎ ৯ বছরে পানির দাম বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়াসা। সেই ঋণ শোধের জন্যই পানির দাম বাড়ানোর অজুহাত দেখায় ওয়াসা।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তিগত লাভ নিয়েই এ কে এম ফজলুল্লাহ বেশি ব্যস্ত আছেন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াসার একজন বোর্ড সদস্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে প্রতিষ্ঠান ঋণের ভারে জর্জরিত, যে প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসেই ভর্তুকি দিয়ে পানি সরবরাহ করছে, যে প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিমুক্ত নয়—সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা কীভাবে এই দুঃসময়ে বেতন দ্বিগুণ করতে চান।
এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে আগে গঠিত কমিটির সদস্য শওকত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো সুপারিশ নেই। আগামীকাল (আজ) বোর্ডসভায় হয়তো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে