এম এম আকাশ
১৮ মে রাশেদ খান মেননের ৮০তম জন্মদিন। উচ্চ অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বামপন্থী রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে সেই পথেই হাঁটছেন বা হাঁটতে চেষ্টা করছেন। সেই পথে না হাঁটলে তিনি হয়তো তাঁর বড় ভাই আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ্ খানের মতো একজন জাঁদরেল সিএসপি অফিসার হতে পারতেন। নিশ্চয় সে রকম সামাজিক চাপও তাঁর ওপর ছিল (এক জীবন [প্রথম পর্ব]: স্বাধীনতার সূর্যোদয়, পৃষ্ঠা ৪১)। কিন্তু তদানীন্তন প্রথামাফিক না চলে, লেখাপড়ায় মনোযোগ না দিয়ে, রাজনীতিতে ছেলেবেলার বন্ধুদের নিয়ে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। হয়ে যান ষাটের দশকের বিপ্লবী ঝটিকা বাহিনীর সদস্য, বিখ্যাত বাম ছাত্রনেতা রাশেদ খান মেনন। ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বা জনক ছিলেন তিনি। ছাত্র ইউনিয়নের আরেকটি গ্রুপের নাম ছিল তখন মতিয়া গ্রুপ।
যৌবনে ছাত্রত্ব শেষে রাশেদ খান মেনন কিছুদিন বামপন্থী ট্র্যাডিশন বজায় রেখে কৃষক সমিতিতে কাজ করেছেন। পরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হন। জনগণ তাঁকে ভালোবেসে জননেতা উপাধি দিয়েছে। শত্রুর গুলিতে আহত হওয়ার পর জনগণের প্রচুর ভালোবাসায় তিনি অভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি মন্ত্রীও হয়েছেন। এত সব অর্জন মোটেও সহজ ছিল না তাঁর জন্য। নিজের বামপন্থী পরিচয় ও সুনাম অটুট রেখে এতগুলো বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিচয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্ষমতার অধিকারী হওয়া, খুব কম বামপন্থী নেতার ভাগ্যেই জুটেছে। সেই দিক থেকে মেনন ভাই নিশ্চয়ই সমাজে একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যদিও তিনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে তাঁর আশৈশব লালিত আদর্শ সমাজতন্ত্রের স্বপ্নটি আজও সফল হয়নি। এমনকি বিদ্যমান সমাজতন্ত্রের মডেলগুলোও ভেঙেচুরে বর্তমানে বিচিত্র ও বিতর্কিত পরিণতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
কিন্তু এসবের জন্য কেউ যদি ব্যক্তি মেননকে দায়ী করেন, তাহলে তা সর্বাংশে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কথা সত্য, একা ব্যক্তি কখনোই ইতিহাস সৃষ্টি করেন না, কিন্তু ইতিহাসে কোনো কোনো অনন্য ব্যক্তির অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে এবং ব্যতিক্রমী প্রতিভাবান ব্যক্তি তা সার্থকভাবে ব্যবহারও করেন। তবে সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিরও সব ঐতিহাসিক ভূমিকা প্রশ্নাতীত হয় না। শেষ বিচারে ব্যক্তি মানুষ ফেরেশতাও নয়, শয়তানও নয়। তাদের রয়েছে নানা ভালো-মন্দ ঐতিহাসিক ভূমিকা। সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তির মৌলিক ভালো ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকলেও সেই ভূমিকায় কখনো কখনো নানা অসংগতি, ভুল, ভ্রান্তি, সুবিধাবাদ বা এমনকি আংশিক প্রতিক্রিয়াশীল বৈশিষ্ট্যও থাকতে পারে। এ ছাড়া মার্ক্সপন্থীদের মতে, ইতিহাসের সামগ্রিক গতিপথ নির্ধারণে ব্যক্তির ভূমিকা কখনোই নির্ধারক হয় না। একক ব্যক্তি ইতিহাসের চূড়ান্ত ভালো-মন্দ ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন না, শ্রেণিগত ও বিষয়গত অন্তর্জাত প্রবণতাগুলোকে বড়জোর সেই নেতিবাচক বা ইতিবাচক দিকে কিছুটা ত্বরান্বিত করতে পারেন মাত্র এবং সব সময় তা তিনি যে সচেতনভাবে ইচ্ছা করে করেন, তা-ও সত্য নয়। তাঁর ইচ্ছার বাইরেও অনেক কিছু ঘটে যায়। মেনন ভাইও ইতিহাসের এই নিয়মের ব্যতিক্রম নন। তাই তাঁর ৮০ বছরের জীবনকেও দেখতে হবে তলস্তয় কথিত নদীর মতো—কোথাও কোথাও যা ‘স্বচ্ছ ও গভীর’ এবং কোথাও কোথাও তা ‘অস্বচ্ছ ও অগভীর’।
আমার সামনে এই মুহূর্তে খুলে রেখেছি ৪৬৯ পৃষ্ঠার মেনন ভাই লিখিত একটি অসম্পূর্ণ জীবনীমূলক গ্রন্থ ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয়’। তাঁর এই প্রথম পর্বের যাপিত জীবন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ১১ জানুয়ারি, অর্থাৎ স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পর্যন্ত বিস্তৃত; অর্থাৎ প্রায় ২০ বছরের ইতিহাস। এই দীর্ঘ ২০ বছর ছিল বাঙালি জাতির অত্যন্ত গৌরবময় এক পর্ব। এই কালপর্বে বাঙালি জাতি রাজনৈতিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গেছে এবং তা অর্জন করেছে। এর শেষ প্রান্তে এসে বাঙালি জাতি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করেছে।
উল্লিখিত বইয়ের উৎসর্গে স্ত্রী ও মেয়ের কথা তুলে ধরতে ভোলেননি মানবিক মেনন ভাই। এই বইয়ের এক জায়গায় অকপটে লিখেছেন স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেম এবং বিয়ের কথা। যদিও বিউটি ভাবি ছিলেন তদানীন্তন মতিয়া গ্রুপ ছাত্র ইউনিয়নের সমর্থক, কিন্তু ভালোবেসেছিলেন মেনন গ্রুপ ছাত্র ইউনিয়নের মেননকেই। মেনন ভাই এই বইয়ে নিজেই লিখেছেন: ‘আমি তাকে পরে জিজ্ঞাসা করেছি, তুমি এত কেউ থাকতে আমাকেই বেছে নিলে কেন? তার উত্তর ছিল, তোমার জীবনের ইতিহাস শুনে, আর ‘’ইনোসেন্ট ফেইস’’ দেখে আমার মন বলেছিল, আমি ঠিকই করছি। পরে অবশ্য সংসার জীবনে আমার অমনোযোগ, রাজনীতি নিয়েই কেবল থাকা, তাকে বা ছেলেমেয়েকে সময় না দেওয়া, এসব যখন তার বিরক্তির উদ্রেক করত, তখন সে বলেছে, আমার ওই ‘’ভালো মানুষি’’ চেহারা ছিল ভান। কিন্তু যখন মাথা ঠান্ডা হতো তখন আবার সে-ই বলত, আমার মতো ভালো মানুষ নাকি হয় না। আর এই কনট্রাডিকশন নিয়েই আমরা ইতিমধ্যে পঞ্চাশ বছরের বিবাহিত জীবন পার করেছি।’ (পৃষ্ঠা ১৯৩)
মেনন ভাইকে বলব, ‘কনট্রাডিকশন’ নিয়েই থাকুন। সেটাও জীবনের লক্ষণ। মেনন ভাইয়ের ৮০তম বর্ষে দীর্ঘায়ু কামনা করে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে এই লেখা এখানেই শেষ করছি।
লেখক: অর্থনীতিবিদ
১৮ মে রাশেদ খান মেননের ৮০তম জন্মদিন। উচ্চ অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বামপন্থী রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে সেই পথেই হাঁটছেন বা হাঁটতে চেষ্টা করছেন। সেই পথে না হাঁটলে তিনি হয়তো তাঁর বড় ভাই আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ্ খানের মতো একজন জাঁদরেল সিএসপি অফিসার হতে পারতেন। নিশ্চয় সে রকম সামাজিক চাপও তাঁর ওপর ছিল (এক জীবন [প্রথম পর্ব]: স্বাধীনতার সূর্যোদয়, পৃষ্ঠা ৪১)। কিন্তু তদানীন্তন প্রথামাফিক না চলে, লেখাপড়ায় মনোযোগ না দিয়ে, রাজনীতিতে ছেলেবেলার বন্ধুদের নিয়ে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। হয়ে যান ষাটের দশকের বিপ্লবী ঝটিকা বাহিনীর সদস্য, বিখ্যাত বাম ছাত্রনেতা রাশেদ খান মেনন। ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বা জনক ছিলেন তিনি। ছাত্র ইউনিয়নের আরেকটি গ্রুপের নাম ছিল তখন মতিয়া গ্রুপ।
যৌবনে ছাত্রত্ব শেষে রাশেদ খান মেনন কিছুদিন বামপন্থী ট্র্যাডিশন বজায় রেখে কৃষক সমিতিতে কাজ করেছেন। পরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হন। জনগণ তাঁকে ভালোবেসে জননেতা উপাধি দিয়েছে। শত্রুর গুলিতে আহত হওয়ার পর জনগণের প্রচুর ভালোবাসায় তিনি অভিষিক্ত হয়েছিলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি মন্ত্রীও হয়েছেন। এত সব অর্জন মোটেও সহজ ছিল না তাঁর জন্য। নিজের বামপন্থী পরিচয় ও সুনাম অটুট রেখে এতগুলো বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিচয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্ষমতার অধিকারী হওয়া, খুব কম বামপন্থী নেতার ভাগ্যেই জুটেছে। সেই দিক থেকে মেনন ভাই নিশ্চয়ই সমাজে একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যদিও তিনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে তাঁর আশৈশব লালিত আদর্শ সমাজতন্ত্রের স্বপ্নটি আজও সফল হয়নি। এমনকি বিদ্যমান সমাজতন্ত্রের মডেলগুলোও ভেঙেচুরে বর্তমানে বিচিত্র ও বিতর্কিত পরিণতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
কিন্তু এসবের জন্য কেউ যদি ব্যক্তি মেননকে দায়ী করেন, তাহলে তা সর্বাংশে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কথা সত্য, একা ব্যক্তি কখনোই ইতিহাস সৃষ্টি করেন না, কিন্তু ইতিহাসে কোনো কোনো অনন্য ব্যক্তির অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে এবং ব্যতিক্রমী প্রতিভাবান ব্যক্তি তা সার্থকভাবে ব্যবহারও করেন। তবে সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিরও সব ঐতিহাসিক ভূমিকা প্রশ্নাতীত হয় না। শেষ বিচারে ব্যক্তি মানুষ ফেরেশতাও নয়, শয়তানও নয়। তাদের রয়েছে নানা ভালো-মন্দ ঐতিহাসিক ভূমিকা। সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তির মৌলিক ভালো ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকলেও সেই ভূমিকায় কখনো কখনো নানা অসংগতি, ভুল, ভ্রান্তি, সুবিধাবাদ বা এমনকি আংশিক প্রতিক্রিয়াশীল বৈশিষ্ট্যও থাকতে পারে। এ ছাড়া মার্ক্সপন্থীদের মতে, ইতিহাসের সামগ্রিক গতিপথ নির্ধারণে ব্যক্তির ভূমিকা কখনোই নির্ধারক হয় না। একক ব্যক্তি ইতিহাসের চূড়ান্ত ভালো-মন্দ ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন না, শ্রেণিগত ও বিষয়গত অন্তর্জাত প্রবণতাগুলোকে বড়জোর সেই নেতিবাচক বা ইতিবাচক দিকে কিছুটা ত্বরান্বিত করতে পারেন মাত্র এবং সব সময় তা তিনি যে সচেতনভাবে ইচ্ছা করে করেন, তা-ও সত্য নয়। তাঁর ইচ্ছার বাইরেও অনেক কিছু ঘটে যায়। মেনন ভাইও ইতিহাসের এই নিয়মের ব্যতিক্রম নন। তাই তাঁর ৮০ বছরের জীবনকেও দেখতে হবে তলস্তয় কথিত নদীর মতো—কোথাও কোথাও যা ‘স্বচ্ছ ও গভীর’ এবং কোথাও কোথাও তা ‘অস্বচ্ছ ও অগভীর’।
আমার সামনে এই মুহূর্তে খুলে রেখেছি ৪৬৯ পৃষ্ঠার মেনন ভাই লিখিত একটি অসম্পূর্ণ জীবনীমূলক গ্রন্থ ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয়’। তাঁর এই প্রথম পর্বের যাপিত জীবন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ১১ জানুয়ারি, অর্থাৎ স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পর্যন্ত বিস্তৃত; অর্থাৎ প্রায় ২০ বছরের ইতিহাস। এই দীর্ঘ ২০ বছর ছিল বাঙালি জাতির অত্যন্ত গৌরবময় এক পর্ব। এই কালপর্বে বাঙালি জাতি রাজনৈতিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গেছে এবং তা অর্জন করেছে। এর শেষ প্রান্তে এসে বাঙালি জাতি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করেছে।
উল্লিখিত বইয়ের উৎসর্গে স্ত্রী ও মেয়ের কথা তুলে ধরতে ভোলেননি মানবিক মেনন ভাই। এই বইয়ের এক জায়গায় অকপটে লিখেছেন স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেম এবং বিয়ের কথা। যদিও বিউটি ভাবি ছিলেন তদানীন্তন মতিয়া গ্রুপ ছাত্র ইউনিয়নের সমর্থক, কিন্তু ভালোবেসেছিলেন মেনন গ্রুপ ছাত্র ইউনিয়নের মেননকেই। মেনন ভাই এই বইয়ে নিজেই লিখেছেন: ‘আমি তাকে পরে জিজ্ঞাসা করেছি, তুমি এত কেউ থাকতে আমাকেই বেছে নিলে কেন? তার উত্তর ছিল, তোমার জীবনের ইতিহাস শুনে, আর ‘’ইনোসেন্ট ফেইস’’ দেখে আমার মন বলেছিল, আমি ঠিকই করছি। পরে অবশ্য সংসার জীবনে আমার অমনোযোগ, রাজনীতি নিয়েই কেবল থাকা, তাকে বা ছেলেমেয়েকে সময় না দেওয়া, এসব যখন তার বিরক্তির উদ্রেক করত, তখন সে বলেছে, আমার ওই ‘’ভালো মানুষি’’ চেহারা ছিল ভান। কিন্তু যখন মাথা ঠান্ডা হতো তখন আবার সে-ই বলত, আমার মতো ভালো মানুষ নাকি হয় না। আর এই কনট্রাডিকশন নিয়েই আমরা ইতিমধ্যে পঞ্চাশ বছরের বিবাহিত জীবন পার করেছি।’ (পৃষ্ঠা ১৯৩)
মেনন ভাইকে বলব, ‘কনট্রাডিকশন’ নিয়েই থাকুন। সেটাও জীবনের লক্ষণ। মেনন ভাইয়ের ৮০তম বর্ষে দীর্ঘায়ু কামনা করে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে এই লেখা এখানেই শেষ করছি।
লেখক: অর্থনীতিবিদ
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪