রজত কান্তি রায়, ঢাকা
‘যদি বন্ধু যাবার চান
ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে…’
কাজল ভ্রমরা বন্ধু যখন নিধুয়া পাথারে গরুর গাড়ি নিয়ে ছুটে চলেছে দিনের পর দিন, তখন প্রিয়তমা আকুতি জানিয়ে বলছে, যেতে চাইলে যাও। শুধু ঘাড়ের গামছাটা রেখে যাও। সেটাই আমার কাছে থাক তোমার স্মৃতি হয়ে।
গামছা এ দেশের, এ মাটির ঐতিহ্য—শত শত বছরের। গামছার ইতিহাস কত পুরোনো? সেটা বলা কঠিন। তবে আজ থেকে প্রায় সোয়া পাঁচ শ বছর আগে লিখিত ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে গামছার উল্লেখ পাওয়া যায় বেহুলার বিয়ের অনুষ্ঠানে। কবি নারায়ণ দেব লিখেছিলেন, ‘গামছা লইয়া ঔসদ লাগে মুছিবার।…’ ফলে গামছা যে আমাদের সুদীর্ঘ কালের যাপন অনুষঙ্গ, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
গা মোছা এই বস্ত্রখণ্ডের মূল কাজ শরীর মোছা বা পরিষ্কার করা, সে পানি থেকেই হোক বা ঘাম থেকেই হোক। আবার এটি পুরুষের পরনের কাপড় হিসেবে কিংবা নারীর ঊর্ধ্বাঙ্গ আবৃত করার কাজেও ব্যবহার হয়ে থাকে। অল্প শীতে গায়ে জড়িয়েও নেওয়া যায় চাদর হিসেবে উষ্ণতার জন্য। নারীদের লম্বা চুলের পানি শুষে নেওয়ার জন্য এর বিকল্প একমাত্র টাওয়েল। ভীষণ গ্রীষ্মে এটি পেতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া যায় বড় কোনো গাছের ছায়ায়।
বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী তাঁতিরা তাঁত যন্ত্রে গামছা তৈরি করে আসছেন শত শত বছর ধরে। সম্প্রতি তাঁতে যুক্ত হয়েছে পাওয়ার লুম। ৩০-৪০ কাউন্ট সুতির সুতায় তাঁতে উৎপাদন বেড়েছে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, বগুড়ার কিছু এলাকায়, খুলনার ফুলতলা, বরিশাল ও ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় তাঁতে তৈরি হয় সুতির গামছা। সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও খুলনার ফুলতলা গামছার হাট হিসেবে বিখ্যাত।
চেক হলো গামছার মূল নকশা। লাল, সবুজ, হলুদ ও সাদা এ রংগুলোই গামছার আদি রং। এগুলো দিয়ে বানানো হতো গামছার বিখ্যাত চৌখোপা চেক নকশা। এখন গামছার রঙে পরিবর্তন এসেছে বেশ খানিকটা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গামছার রং নিয়ে বেশ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছে এবং করছে। ফলে তাঁতিদের মধ্যেও বিভিন্ন রঙের গামছা তৈরির প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
গামছার আদি ও অকৃত্রিম ব্যবহারের জায়গা যেমন এখনো আছে, তেমনি তৈরি হয়েছে তার নতুন উপযোগিতা। এখন গামছা দিয়ে তৈরি হচ্ছে শাড়ি, ফতুয়া, ওড়না, কামিজ, ব্লাউজ কিংবা কটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডে সেগুলো বিক্রিও হয় বেশ চড়া দামে। এ ছাড়া কোনো কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান বাংলা নববর্ষের উপহার হিসেবেও ব্যবহার করছে গামছা।
বাংলাদেশ ছাড়াও আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওডিশায় গামছা ব্যবহার হয়।
কোথায় পাবেন-দরদাম
পুরো বাংলাদেশের কাপড়ের দোকানগুলোতে গামছা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ঢাকা শহরে বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তার ফুটপাতে চোখে পড়বে গামছার দোকান। আকৃতিভেদে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকায় গামছা পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাবে বর্ণিল রং ও নকশার গামছা। সেগুলো কেনা যাবে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।
‘যদি বন্ধু যাবার চান
ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে…’
কাজল ভ্রমরা বন্ধু যখন নিধুয়া পাথারে গরুর গাড়ি নিয়ে ছুটে চলেছে দিনের পর দিন, তখন প্রিয়তমা আকুতি জানিয়ে বলছে, যেতে চাইলে যাও। শুধু ঘাড়ের গামছাটা রেখে যাও। সেটাই আমার কাছে থাক তোমার স্মৃতি হয়ে।
গামছা এ দেশের, এ মাটির ঐতিহ্য—শত শত বছরের। গামছার ইতিহাস কত পুরোনো? সেটা বলা কঠিন। তবে আজ থেকে প্রায় সোয়া পাঁচ শ বছর আগে লিখিত ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে গামছার উল্লেখ পাওয়া যায় বেহুলার বিয়ের অনুষ্ঠানে। কবি নারায়ণ দেব লিখেছিলেন, ‘গামছা লইয়া ঔসদ লাগে মুছিবার।…’ ফলে গামছা যে আমাদের সুদীর্ঘ কালের যাপন অনুষঙ্গ, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
গা মোছা এই বস্ত্রখণ্ডের মূল কাজ শরীর মোছা বা পরিষ্কার করা, সে পানি থেকেই হোক বা ঘাম থেকেই হোক। আবার এটি পুরুষের পরনের কাপড় হিসেবে কিংবা নারীর ঊর্ধ্বাঙ্গ আবৃত করার কাজেও ব্যবহার হয়ে থাকে। অল্প শীতে গায়ে জড়িয়েও নেওয়া যায় চাদর হিসেবে উষ্ণতার জন্য। নারীদের লম্বা চুলের পানি শুষে নেওয়ার জন্য এর বিকল্প একমাত্র টাওয়েল। ভীষণ গ্রীষ্মে এটি পেতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া যায় বড় কোনো গাছের ছায়ায়।
বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী তাঁতিরা তাঁত যন্ত্রে গামছা তৈরি করে আসছেন শত শত বছর ধরে। সম্প্রতি তাঁতে যুক্ত হয়েছে পাওয়ার লুম। ৩০-৪০ কাউন্ট সুতির সুতায় তাঁতে উৎপাদন বেড়েছে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, বগুড়ার কিছু এলাকায়, খুলনার ফুলতলা, বরিশাল ও ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় তাঁতে তৈরি হয় সুতির গামছা। সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়া, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও খুলনার ফুলতলা গামছার হাট হিসেবে বিখ্যাত।
চেক হলো গামছার মূল নকশা। লাল, সবুজ, হলুদ ও সাদা এ রংগুলোই গামছার আদি রং। এগুলো দিয়ে বানানো হতো গামছার বিখ্যাত চৌখোপা চেক নকশা। এখন গামছার রঙে পরিবর্তন এসেছে বেশ খানিকটা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গামছার রং নিয়ে বেশ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছে এবং করছে। ফলে তাঁতিদের মধ্যেও বিভিন্ন রঙের গামছা তৈরির প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
গামছার আদি ও অকৃত্রিম ব্যবহারের জায়গা যেমন এখনো আছে, তেমনি তৈরি হয়েছে তার নতুন উপযোগিতা। এখন গামছা দিয়ে তৈরি হচ্ছে শাড়ি, ফতুয়া, ওড়না, কামিজ, ব্লাউজ কিংবা কটি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডে সেগুলো বিক্রিও হয় বেশ চড়া দামে। এ ছাড়া কোনো কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান বাংলা নববর্ষের উপহার হিসেবেও ব্যবহার করছে গামছা।
বাংলাদেশ ছাড়াও আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওডিশায় গামছা ব্যবহার হয়।
কোথায় পাবেন-দরদাম
পুরো বাংলাদেশের কাপড়ের দোকানগুলোতে গামছা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ঢাকা শহরে বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তার ফুটপাতে চোখে পড়বে গামছার দোকান। আকৃতিভেদে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকায় গামছা পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাবে বর্ণিল রং ও নকশার গামছা। সেগুলো কেনা যাবে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে