মৌসুমের শুরুতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ৩২
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৫

যশোরে গত বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই। গত রোববার দিবাগত রাতে সর্বনিম্ন ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জেলায় বর্তমানে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ চলছে, যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।

এ দিকে প্রচণ্ড শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও দিনমজুরেরা।

বিমানবাহিনীর যশোরের মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার থেকে যশোরেও ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। এদিন রাতে জেলায় সর্বনিম্ন ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন রাত থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করে, যা রোববার গত মৌসুমের চেয়েও ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যায়।

সূত্রটি জানিয়েছে এ অবস্থা আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। এ সময়ে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তা ছাড়া বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে দিনের বেলায় তাপমাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক থাকতে পারে, যা ২০ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এ সময়ে কুয়াশাচ্ছন্নও থাকতে পারে দিনের বেলা।

এ দিকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। যশোর রেলওয়ে স্টেশনে থাকা বৃদ্ধা রহিমা খাতুন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি এই স্টেশনে থাকি। ভিক্ষা করে খাই। কিন্তু গরম কাপড় না থাকায় শীত আসায় কষ্টে পড়তে হয়েছে।’

রিকশাচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘শীতের কারণে সকালে আর রাতে রিকশা চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।’

চা দোকানি আরমান হোসেন, দিনমজুর ইলিয়াস হোসেন, কৃষাণ নাজমুল ইসলামসহ অনেকেই একই কষ্টের কথা জানিয়েছেন।

তাঁরা জানান, দিন এনে দিনে খাওয়া সংসারে আয় করতে না পারলে খাবার জোগানোই কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত শীতের কাপড় না থাকায় কষ্ট অনেকটাই বেড়েছে। তা ছাড়া শীত পড়ায় অনেক মানুষই বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে আয় কমেছে।

যশোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডায় শীতজনিত নানাবিধ রোগব্যাধি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় গত দুই–তিন দিনে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টের রোগী অনেক বেড়েছে। তাদের অনেককেই ভর্তি থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত