বিধবার ঘর দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ১৯
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮: ১৬

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিড়ালাক্ষী গ্রামের সালমা খাতুন নামের এক বিধবা নারীকে বরাদ্দ দেওয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ কামাল হোসেন কৌশলে ওই ঘর নিজের পাতানো বোনের কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিকারসহ নিজ নামে বরাদ্দের ঘরটি ফিরে পেতে ওই নারী বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাঁর দাবি ইউপি সদস্যর ইন্ধনে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালীরা দখলদারদের সহায়তা করায় তিনি আশ্রয়হীন ভাবে দিনাতিপাত করছেন।

উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম বিড়ালাক্ষী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সালমা খাতুনের অভিযোগ, অল্প বয়সের দুই সন্তান রেখে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভূমিহীন হিসেবে তাঁকে বিড়ালাক্ষী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুই সন্তান নিয়ে বরাদ্দের ঘরে কয়েক মাস বসবাসের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ কামাল হোসেন কৌশলে তা ছিনিয়ে নেন।

সালমা খাতুন জানান, তাঁর অসুস্থ বড় মেয়ের চিকিৎসার জন্য এক সপ্তাহ বাড়িতে না থাকার সুযোগে ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ঘরটি দখল করে ক্লাব তৈরি করেন। এক সপ্তাহ পর ফিরে নিজের ঘরে উঠতে চাইলে আশ্রয় প্রকল্পের সভাপতি ফারুক হোসেন তাঁকে কয়েক দিন ব্যবহারের পর ঘরটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান।

নির্দিষ্ট সময় পার হলেও ঘর ফিরিয়ে না দিয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য টালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে জানা যায় ইউপি সদস্য সৈয়দ কামাল হোসেন অর্থের বিনিময় ওই ঘরে তাঁর এক পাতানো বোনকে তুলে দিয়েছেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, সালমা খাতুন তাঁর সন্তানদের নিয়ে ঘর হওয়ার শুরুতে বসবাস করতেন। পরে সৈয়দ কামাল হোসেন তাঁর কোনো আত্মীয়কে সালমার ঘরে তুলে দেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, ‘ইউপি সদস্য সৈয়দ কামালের পরামর্শে তাঁর পাতানো বোনকে ঘরে তুলে দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর আগে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। তখন অনেক দিন ঘর খালি ছিল। পরে কিছুদিন ক্লাব হিসেবে ব্যবহারের পর এক গরিব মানুষকে তা দেওয়া হয়েছে।’

আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, ‘সালমা বিধবা মানুষ ও ভূমিহীন দেখে সরকারিভাবে ঘর দেওয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য স্থানীয় ইউপি সদস্য তাঁর সেই ঘর দখল করে তাঁর এক আত্মীয়কে দিয়েছে। বিধবা সালমার অনুকূলের ঘরটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত