নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, দুর্নীতির কারণে তাঁরা ব্যবসা করতে পারছেন না। আর ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁদের ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আমলাতন্ত্র। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির জরিপে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে তৈরি প্রতিবেদনটি গতকাল সিপিডি সংস্থার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তাতে ব্যবসার ক্ষেত্রে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলোও জানায় সিপিডি। বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ-২০২১ উদ্যোক্তা মতামত জরিপ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বক্তব্য দেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডি জানায়, তাদের ব্যবসায় পরিবেশ জরিপের সময়কাল ছিল গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত। ১০ কোটি টাকার বেশি মূলধন আছে এমন ৭৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৩৯টি বড়, ১৭টি মাঝারি, ১২টি ছোট এবং ৫টি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ফরিদপুর এলাকায় অবস্থিত জরিপে অংশ নেওয়া কৃষি, সেবা ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এতে প্রধানত অবকাঠামো, প্রতিষ্ঠান, নিরাপত্তা, আর্থিক বিনিয়োগ, মানবসম্পদ, কাজের পরিবেশ, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও ঝুঁকি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘জরিপে ব্যবসার পরিবেশ, অবকাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, সুশাসন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার নানান দিক উঠে এসেছে। ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী জানান তাঁদের ব্যবসায় প্রধান বাধা দুর্নীতি। লাইসেন্স সংগ্রহ, কর দেওয়া এবং বিভিন্ন পরিষেবা পেতে তাঁদের আর্থিক লেনদেন করতে হয়। ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ী তাঁদের ব্যবসার পথে অদক্ষ আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেছেন। টাকা পাওয়ার সুযোগ সীমিত থাকার কথা বলেছেন ৫৫ শতাংশ ব্যবসায়ী। এর পরে আছে যথাক্রমে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ঘনঘন নীতিবদলের মতো সমস্যা।’
এ সময় সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘দুর্নীতির কারণে বড় ব্যবসায়ীরা যতটা-না ক্ষতির মুখে পড়েন, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। বড় ব্যবসায়ীদের ৫২ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দুর্নীতিই ব্যবসার প্রধান বাধা। আর ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের শতভাগই জানিয়েছেন, দুর্নীতি তাঁদের জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এর অর্থ হচ্ছে, দেশে নীতিসুবিধা বাস্তবায়নে বৈষম্য রয়েছে। ফলে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি।’
এর আগে ২০২০ সালেও ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে একটি জরিপ করেছিল সিপিডি। তখন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে উঠে এসেছিল অদক্ষ প্রশাসন। ওই সময় ব্যবসায়ীরা দুর্নীতিকে দ্বিতীয় ও সীমিত অর্থের সুযোগকে তৃতীয় প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছিলেন। এবারের জরিপে দুর্নীতি এক নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ২৮ শতাংশ ব্যবসায়ী বলেছেন, করোনার প্রভাবে তাঁদের খরচ কমাতে হচ্ছে। আর খরচ কমাতে গিয়ে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটছে। জরিপে ৪৫ শতাংশ ব্যবসায়ী অবকাঠামো দুর্বলতাকে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সিপিডি বলছে, একসময় অবকাঠামো দুর্বলতা এক নম্বর সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করলেও এখন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে সেটি ৪ নম্বরে এসেছে।
দেশের ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, দুর্নীতির কারণে তাঁরা ব্যবসা করতে পারছেন না। আর ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁদের ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে আমলাতন্ত্র। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির জরিপে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে তৈরি প্রতিবেদনটি গতকাল সিপিডি সংস্থার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। তাতে ব্যবসার ক্ষেত্রে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলোও জানায় সিপিডি। বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ-২০২১ উদ্যোক্তা মতামত জরিপ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বক্তব্য দেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডি জানায়, তাদের ব্যবসায় পরিবেশ জরিপের সময়কাল ছিল গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত। ১০ কোটি টাকার বেশি মূলধন আছে এমন ৭৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৩৯টি বড়, ১৭টি মাঝারি, ১২টি ছোট এবং ৫টি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ফরিদপুর এলাকায় অবস্থিত জরিপে অংশ নেওয়া কৃষি, সেবা ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এতে প্রধানত অবকাঠামো, প্রতিষ্ঠান, নিরাপত্তা, আর্থিক বিনিয়োগ, মানবসম্পদ, কাজের পরিবেশ, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও ঝুঁকি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘জরিপে ব্যবসার পরিবেশ, অবকাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, সুশাসন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার নানান দিক উঠে এসেছে। ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ ব্যবসায়ী জানান তাঁদের ব্যবসায় প্রধান বাধা দুর্নীতি। লাইসেন্স সংগ্রহ, কর দেওয়া এবং বিভিন্ন পরিষেবা পেতে তাঁদের আর্থিক লেনদেন করতে হয়। ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ী তাঁদের ব্যবসার পথে অদক্ষ আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেছেন। টাকা পাওয়ার সুযোগ সীমিত থাকার কথা বলেছেন ৫৫ শতাংশ ব্যবসায়ী। এর পরে আছে যথাক্রমে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ঘনঘন নীতিবদলের মতো সমস্যা।’
এ সময় সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘দুর্নীতির কারণে বড় ব্যবসায়ীরা যতটা-না ক্ষতির মুখে পড়েন, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। বড় ব্যবসায়ীদের ৫২ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দুর্নীতিই ব্যবসার প্রধান বাধা। আর ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের শতভাগই জানিয়েছেন, দুর্নীতি তাঁদের জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এর অর্থ হচ্ছে, দেশে নীতিসুবিধা বাস্তবায়নে বৈষম্য রয়েছে। ফলে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি।’
এর আগে ২০২০ সালেও ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে একটি জরিপ করেছিল সিপিডি। তখন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে উঠে এসেছিল অদক্ষ প্রশাসন। ওই সময় ব্যবসায়ীরা দুর্নীতিকে দ্বিতীয় ও সীমিত অর্থের সুযোগকে তৃতীয় প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছিলেন। এবারের জরিপে দুর্নীতি এক নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ২৮ শতাংশ ব্যবসায়ী বলেছেন, করোনার প্রভাবে তাঁদের খরচ কমাতে হচ্ছে। আর খরচ কমাতে গিয়ে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটছে। জরিপে ৪৫ শতাংশ ব্যবসায়ী অবকাঠামো দুর্বলতাকে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সিপিডি বলছে, একসময় অবকাঠামো দুর্বলতা এক নম্বর সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করলেও এখন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে সেটি ৪ নম্বরে এসেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে