অভয়নগর প্রতিনিধি
অভয়নগরে প্রতিবছর মাছের চাহিদা রয়েছে ৬ হাজার ৭২ মেট্রিক টন। আর গত বছর উপজেলাটিতে মাছ উৎপাদিত হয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ চাহিদার চার গুণ বেশি মাছ উৎপাদিত হয়েছে এখানে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ২৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় উপজেলাটি থেকে; যা দেশে মাছের চাহিদা মেটাতে এবং দেশীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে।
জানা গেছে, উপজেলায় ১৫ হাজার ২৭৫ জন মৎস্যচাষি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১ হাজার ৫৪৮ জন। মৎস্যজীবী রয়েছেন ২ হাজার ৭০ জন। ১৫ হাজার ৭৩ হেক্টর জমিতে এবার মাছ মাছ চাষ হয়েছে। এবার মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলার বেশির ভাগ মৎস্যচাষির অভিযোগ, মৎস্য খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি, মৎস্য ঘেরগুলোকে বাণিজ্যিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ, ভবদহ অঞ্চলের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, চাষিদের কারিগরি জ্ঞানের অভাব, গলদার পোনার স্বল্পতা ও দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনার উৎপাদনের হ্যাচারি না থাকায় এ উপজেলায় অনেকে মৎস্য চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ সব সমস্যার সমাধান হলে উপজেলায় মৎস্য চাষ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেন মৎস্যচাষিরা।
মৎস্যচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহ অধ্যুষিত অভয়নগরের বড় একটি অঞ্চল বছর জুড়েই জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। কখনো কখনো এ জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফলে মৎস্যচাষিদের কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে লোকসানও হয়। এ কারণে অনেকে মৎস্য উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বছরে কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হলেও অভয়নগরে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি নেই। এ জন্য পোনা কিনতে একদিকে চাষিদের মোটা অঙ্কের টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে কখনো কখনো প্রতারিতও হতে হচ্ছে তাঁদের। তবে সব সমস্যার সমাধান করে মৎস্য উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে এ উপজেলায় মাছ উৎপাদন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাদা মাছের পাশাপাশি গলদা চিংড়ি উৎপাদনে অভয়নগর উপজেলা ঈর্ষণীয় অবদান রেখে চলেছে। এ উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৭৬৯ হেক্টর আয়তনের ২০ হাজার ৬৫৫টি চিংড়ি ঘের রয়েছে। এর মধ্যে গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে ৭ হাজার ৫২৯ হেক্টর আয়তনের ২০ হাজার ৫০০ টি। যেখানে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি উৎপাদিত হয়।
এ ছাড়া উপজেলায় মোট ২৪০ হেক্টর আয়তনের ১৫৫টি বাগদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। যেখানে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়ে থাকে এবং অন্যান্য চিংড়ি উৎপাদন হয় প্রায় ৩০ মেট্রিক টন। কেবল মাছের ঘেরেই নয়, এ উপজেলায় মোট ৩৪৫২ দশমিক ৫০ হেক্টর আয়তনের ৪ হাজার ৮১০টি পুকুরে বছরে ১৬৬৪২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। মোট ৯৮ হেক্টর আয়তনের দুটি বাঁওড়ে ১৮০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভৈরব, টেকা ও শ্রীনদী হতে বছরে ৬৭ মেট্রিক টন, ৮৭৫ হেক্টর প্লাবন ভূমি থেকে বছরে ২৫৮ মেট্রিক টন এবং বর্ষা প্লাবিত ২ হাজার ১৫০ হেক্টর ধানখেত থেকে আরও ৩ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। শুধু মাছ উৎপাদন নয়, উপজেলায় মাছের পোনা উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছেন ৬৪ জন চাষি, যারা মোট ৩০৭ দশমিক ৮৪ হেক্টর আয়তনের ৬১১টি নার্সারি পুকুরে বছরে ১২২৬ দশমিক ৭ লাখ মাছের পোনা উৎপাদন করে থাকেন। এ ছাড়া সাতটি হ্যাচারিতে বছরের ৪ হাজার ৬ কেজি রেণু উৎপাদন হয়। যদিও এ পোনা ও রেণু উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই সীমিত।
অভয়নগর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক হুসাইন সাগর বলেন, ‘অভয়নগরে প্রতি বছর মাছের উৎপাদন বাড়ছে। মৎস্য কার্যালয়ের সহায়তায় মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। যদিও বর্তমানে মৎস্য কার্যালয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারীর পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এত বড় অঞ্চলের মৎস্যচাষিদের পাশে দাঁড়াতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবুও আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফারুক হুসাইন সাগর আরও বলেন, ‘আশা করি এ বছর মাছের উৎপাদন গত বছরের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে মাছ উৎপাদন আরও বাড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে খামার যান্ত্রিকীকরণের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
অভয়নগরে প্রতিবছর মাছের চাহিদা রয়েছে ৬ হাজার ৭২ মেট্রিক টন। আর গত বছর উপজেলাটিতে মাছ উৎপাদিত হয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ চাহিদার চার গুণ বেশি মাছ উৎপাদিত হয়েছে এখানে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ২৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় উপজেলাটি থেকে; যা দেশে মাছের চাহিদা মেটাতে এবং দেশীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে।
জানা গেছে, উপজেলায় ১৫ হাজার ২৭৫ জন মৎস্যচাষি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১ হাজার ৫৪৮ জন। মৎস্যজীবী রয়েছেন ২ হাজার ৭০ জন। ১৫ হাজার ৭৩ হেক্টর জমিতে এবার মাছ মাছ চাষ হয়েছে। এবার মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলার বেশির ভাগ মৎস্যচাষির অভিযোগ, মৎস্য খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি, মৎস্য ঘেরগুলোকে বাণিজ্যিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ, ভবদহ অঞ্চলের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা, চাষিদের কারিগরি জ্ঞানের অভাব, গলদার পোনার স্বল্পতা ও দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনার উৎপাদনের হ্যাচারি না থাকায় এ উপজেলায় অনেকে মৎস্য চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ সব সমস্যার সমাধান হলে উপজেলায় মৎস্য চাষ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেন মৎস্যচাষিরা।
মৎস্যচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহ অধ্যুষিত অভয়নগরের বড় একটি অঞ্চল বছর জুড়েই জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। কখনো কখনো এ জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফলে মৎস্যচাষিদের কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে লোকসানও হয়। এ কারণে অনেকে মৎস্য উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বছরে কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হলেও অভয়নগরে চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি নেই। এ জন্য পোনা কিনতে একদিকে চাষিদের মোটা অঙ্কের টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে কখনো কখনো প্রতারিতও হতে হচ্ছে তাঁদের। তবে সব সমস্যার সমাধান করে মৎস্য উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে এ উপজেলায় মাছ উৎপাদন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভয়নগর উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাদা মাছের পাশাপাশি গলদা চিংড়ি উৎপাদনে অভয়নগর উপজেলা ঈর্ষণীয় অবদান রেখে চলেছে। এ উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৭৬৯ হেক্টর আয়তনের ২০ হাজার ৬৫৫টি চিংড়ি ঘের রয়েছে। এর মধ্যে গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে ৭ হাজার ৫২৯ হেক্টর আয়তনের ২০ হাজার ৫০০ টি। যেখানে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন গলদা চিংড়ি উৎপাদিত হয়।
এ ছাড়া উপজেলায় মোট ২৪০ হেক্টর আয়তনের ১৫৫টি বাগদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। যেখানে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়ে থাকে এবং অন্যান্য চিংড়ি উৎপাদন হয় প্রায় ৩০ মেট্রিক টন। কেবল মাছের ঘেরেই নয়, এ উপজেলায় মোট ৩৪৫২ দশমিক ৫০ হেক্টর আয়তনের ৪ হাজার ৮১০টি পুকুরে বছরে ১৬৬৪২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। মোট ৯৮ হেক্টর আয়তনের দুটি বাঁওড়ে ১৮০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভৈরব, টেকা ও শ্রীনদী হতে বছরে ৬৭ মেট্রিক টন, ৮৭৫ হেক্টর প্লাবন ভূমি থেকে বছরে ২৫৮ মেট্রিক টন এবং বর্ষা প্লাবিত ২ হাজার ১৫০ হেক্টর ধানখেত থেকে আরও ৩ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। শুধু মাছ উৎপাদন নয়, উপজেলায় মাছের পোনা উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছেন ৬৪ জন চাষি, যারা মোট ৩০৭ দশমিক ৮৪ হেক্টর আয়তনের ৬১১টি নার্সারি পুকুরে বছরে ১২২৬ দশমিক ৭ লাখ মাছের পোনা উৎপাদন করে থাকেন। এ ছাড়া সাতটি হ্যাচারিতে বছরের ৪ হাজার ৬ কেজি রেণু উৎপাদন হয়। যদিও এ পোনা ও রেণু উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই সীমিত।
অভয়নগর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক হুসাইন সাগর বলেন, ‘অভয়নগরে প্রতি বছর মাছের উৎপাদন বাড়ছে। মৎস্য কার্যালয়ের সহায়তায় মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। যদিও বর্তমানে মৎস্য কার্যালয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারীর পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এত বড় অঞ্চলের মৎস্যচাষিদের পাশে দাঁড়াতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবুও আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফারুক হুসাইন সাগর আরও বলেন, ‘আশা করি এ বছর মাছের উৎপাদন গত বছরের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে মাছ উৎপাদন আরও বাড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে খামার যান্ত্রিকীকরণের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে