শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে। ৩ দশক আগে ৩৫০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসত। বর্তমানে ৬৫ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি ভোলায় এসেছে বলে দাবি পাখি বিশেষজ্ঞদের। চরে জনবসতি বৃদ্ধি, খাদ্য কমে যাওয়া ও বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় দিন দিন কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও পাখি পর্যবেক্ষক সামিউল মোহসেনিন জানান, গত বছর ভোলায় ৬৬ প্রজাতির ৫০ হাজার ৪০টি পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়। যার মধ্যে ছিল ৬৫ প্রজাতির জলচর পাখি। ভোলায় মোট পরিযায়ীর মধ্যে সৈকত এলাকায় দেখা ৪ হাজার ৪২১টি পাখি। যার মধ্যে চেগা, জিরিয়া, বাটান ছিল উল্লেখযোগ্য। বুনোহাঁস ছিল ১২ হাজার ৮৭৩টি। এর মধ্যে সিঁথিহাঁস, বেবি, চকাচকি, রাজহাঁস উল্লেখযোগ্য।
এদিকে চলতি বছর ৬৫ প্রজাতির ৫৬ হাজার ৫২২টি জলচর পাখি দেখা গেছে। এর মধ্যে ছিল পাঁচ প্রজাতির বিপন্নপ্রায় জলচর পাখি। যার মধ্যে বিপন্ন চামুচঠুঁটো বাটান অন্যতম। এ ছাড়া বিপন্ন নর্ড ম্যানের সবুজ পা ২টি, দেশি গাঙচষা ১৩ হাজার ৪৩, নদীয়া পানচিল ৬, এশীয় ডউইচার ২৮, কালা লেজ জৌরালি ৫ হাজার ৪২৭, কালামাথা কাস্তেচরা ৪৫৫, ইউরেশীয় গুলিন্দা ৩১৩ ও ইউরেশীয় গুলিন্দা ৩৩১টি।
১০ প্রজাতির বুনোহাঁস ছিল ১৪ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দাগি রাজহাঁস, সিঁথিহাঁস, খুন্তেহাঁস, পিয়াংহাঁস, খয়রা চখাচখি, পাতি চখাচখি, উত্তরের ল্যাঞ্জাহাঁস, মড়চেরঙা ভুতিহাঁস ও মেটে রাজহাঁস।
উপকূলের ২০টি চর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে মাঝের চর, পাতার চর, দমার চর, চর শাহজালাল, কালকিনির চর, চর কুকরিমুকরি, চর পিয়াল, চর পাতিলা, আণ্ডার চর, সোনার চর, চর মনতাজ, টেগরার চর, সালুর চর, ডুবচর ও বাঙ্গের চরে বেশি সংখ্যক পাখি দেখা মেলে। গণনার সময় মাঝের চর, বঙ্গের চর ও সালুর চরে পাখি শিকারের প্রমাণ ও নমুনা দেখা যায় বলে জানান সামিউল মোহসেনিন। তিনি বলেন, বেশির ভাগ শিকারি ভোলার বাইরে থেকে আসেন। শখের বশে তাঁরা পরিযায়ী পাখি শিকার করেন।
দিন দিন পাখি কমে যাওয়ার পেছনে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে বড় কারণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাখি পর্যবেক্ষক ইনাম আল হক। তিনি জানান, বাংলাদেশে ৩০ বছর আগে ফসলে শুধু জৈব সার ব্যবহার করা হতো। এখন ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক সার; যা পাখিদের জন্য ক্ষতিকর। আবার একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিষ দিয়ে পাখি নিধন করে বাজারে বিক্রি করছেন। এত কমতে শুরু করে পরিযায়ী পাখি।
১৯৮২ সালে দেশে প্রথম পাখিশুমারি শুরু করেন প্রকৃতি ও পাখিবিশেষজ্ঞ ড. এস এম এ রশিদ। তিনি বলেন, ‘আশির দশকে ভোলায় আসা অতিথি পাখির প্রজাতির সংখ্যা ছিল ৩৫০। তা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬৫-তে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ আবদুর রহমান বলেন, ‘পাখির আবাসস্থল এখন লোকালয়ে পরিণত হয়েছে। পাখির বিচরণক্ষেত্রে দিন দিন মানুষ বাড়ছে। নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় পাখিও কমছে। এতে নদীর প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।’
পাখি শিকার বন্ধে বন বিভাগের কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়ে ভোলার উপকূলীয় বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি বন বিভাগ চরফ্যাশন উপজেলায় ৫০টি পরিযায়ী পাখিসহ ৪ ব্যক্তিকে আটক করে। এই তৎপরতা সবসময় থাকবে।’
ভোলায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমছে। ৩ দশক আগে ৩৫০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসত। বর্তমানে ৬৫ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি ভোলায় এসেছে বলে দাবি পাখি বিশেষজ্ঞদের। চরে জনবসতি বৃদ্ধি, খাদ্য কমে যাওয়া ও বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় দিন দিন কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও পাখি পর্যবেক্ষক সামিউল মোহসেনিন জানান, গত বছর ভোলায় ৬৬ প্রজাতির ৫০ হাজার ৪০টি পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়। যার মধ্যে ছিল ৬৫ প্রজাতির জলচর পাখি। ভোলায় মোট পরিযায়ীর মধ্যে সৈকত এলাকায় দেখা ৪ হাজার ৪২১টি পাখি। যার মধ্যে চেগা, জিরিয়া, বাটান ছিল উল্লেখযোগ্য। বুনোহাঁস ছিল ১২ হাজার ৮৭৩টি। এর মধ্যে সিঁথিহাঁস, বেবি, চকাচকি, রাজহাঁস উল্লেখযোগ্য।
এদিকে চলতি বছর ৬৫ প্রজাতির ৫৬ হাজার ৫২২টি জলচর পাখি দেখা গেছে। এর মধ্যে ছিল পাঁচ প্রজাতির বিপন্নপ্রায় জলচর পাখি। যার মধ্যে বিপন্ন চামুচঠুঁটো বাটান অন্যতম। এ ছাড়া বিপন্ন নর্ড ম্যানের সবুজ পা ২টি, দেশি গাঙচষা ১৩ হাজার ৪৩, নদীয়া পানচিল ৬, এশীয় ডউইচার ২৮, কালা লেজ জৌরালি ৫ হাজার ৪২৭, কালামাথা কাস্তেচরা ৪৫৫, ইউরেশীয় গুলিন্দা ৩১৩ ও ইউরেশীয় গুলিন্দা ৩৩১টি।
১০ প্রজাতির বুনোহাঁস ছিল ১৪ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দাগি রাজহাঁস, সিঁথিহাঁস, খুন্তেহাঁস, পিয়াংহাঁস, খয়রা চখাচখি, পাতি চখাচখি, উত্তরের ল্যাঞ্জাহাঁস, মড়চেরঙা ভুতিহাঁস ও মেটে রাজহাঁস।
উপকূলের ২০টি চর পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে মাঝের চর, পাতার চর, দমার চর, চর শাহজালাল, কালকিনির চর, চর কুকরিমুকরি, চর পিয়াল, চর পাতিলা, আণ্ডার চর, সোনার চর, চর মনতাজ, টেগরার চর, সালুর চর, ডুবচর ও বাঙ্গের চরে বেশি সংখ্যক পাখি দেখা মেলে। গণনার সময় মাঝের চর, বঙ্গের চর ও সালুর চরে পাখি শিকারের প্রমাণ ও নমুনা দেখা যায় বলে জানান সামিউল মোহসেনিন। তিনি বলেন, বেশির ভাগ শিকারি ভোলার বাইরে থেকে আসেন। শখের বশে তাঁরা পরিযায়ী পাখি শিকার করেন।
দিন দিন পাখি কমে যাওয়ার পেছনে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে বড় কারণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাখি পর্যবেক্ষক ইনাম আল হক। তিনি জানান, বাংলাদেশে ৩০ বছর আগে ফসলে শুধু জৈব সার ব্যবহার করা হতো। এখন ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক সার; যা পাখিদের জন্য ক্ষতিকর। আবার একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিষ দিয়ে পাখি নিধন করে বাজারে বিক্রি করছেন। এত কমতে শুরু করে পরিযায়ী পাখি।
১৯৮২ সালে দেশে প্রথম পাখিশুমারি শুরু করেন প্রকৃতি ও পাখিবিশেষজ্ঞ ড. এস এম এ রশিদ। তিনি বলেন, ‘আশির দশকে ভোলায় আসা অতিথি পাখির প্রজাতির সংখ্যা ছিল ৩৫০। তা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬৫-তে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ আবদুর রহমান বলেন, ‘পাখির আবাসস্থল এখন লোকালয়ে পরিণত হয়েছে। পাখির বিচরণক্ষেত্রে দিন দিন মানুষ বাড়ছে। নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় পাখিও কমছে। এতে নদীর প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।’
পাখি শিকার বন্ধে বন বিভাগের কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়ে ভোলার উপকূলীয় বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি বন বিভাগ চরফ্যাশন উপজেলায় ৫০টি পরিযায়ী পাখিসহ ৪ ব্যক্তিকে আটক করে। এই তৎপরতা সবসময় থাকবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে