কচুরিপানার দখলে আবাদি জমি

মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১৭
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া কাপ্তাই লেকের পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে উপজেলার মুবাছড়ি বিলের জমিগুলো ভেসে উঠছে। তবে জমিতে থাকা কচুরিপানা অনেক চেষ্টা করেও সরাতে পারছেন না কৃষকেরা। এতে আসন্ন মৌসুমে বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কৃষকেরা বলছেন, বর্ষা থেকে এ পর্যন্ত বাঁশ ও গাছ দিয়ে কচুরিপানা আটকানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। এখন কচুরিপানা সরাতে গিয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।

মুবাছড়ি বিলে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০০ একরের অধিক জমি কচুরিপানায় ভরে গেছে। কাপ্তাই লেকের পানি কমতে শুরু করায় উঁচু জমিগুলো জেগে উঠছে। এ বিলে কাপ্তাইপাড়া, মহামুনিপাড়া, হেডম্যান পাড়া, খ্যাংসা পাড়া ও মেশিন পাড়ার শতাধিক কৃষকের জমি রয়েছে। এ ছাড়া মনাটেক বিলেও অনেকের জমি কচুরিপানার নিচে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কৃষকেরা।

সিঙিনালা মহামুনিপাড়া গ্রামের ক্যজাই মারমা, নিঅংগ্য মারমা, মংতু মারমাসহ কয়েকজন চাষি জানান, চেঙ্গী নদীতে ভেসে আসা কচুরিপানার কারণে এ এলাকার কৃষকেরা প্রতিবছর এই সমস্যায় পড়েন। তবে এ বছর কচুরিপানা বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। কচুরিপানা আটকানোর জন্য এ পর্যন্ত ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে, তারপরও আটকানো সম্ভব হয়নি।

কৃষক মংচিং মারমা বলেন, ‘যেখানে ধানের বীজ কিনতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে কচুরিপানা সরাতে গিয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হবে। এদিকে ডিজেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব চিন্তা করে এবার চাষাবাদ করব কী না ভাবছি।’

সমস্যার কথা স্বীকার করে মুবাছড়ি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঞোলামং মারমা বলেন, মুবাছড়ি ব্লকে প্রায় সাড়ে ১২ একর ‘জলেভাসা জমি’ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ একর জমি এবারে কচুরিপানার নিচে পড়ে আছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, ‘কচুরিপানা সমস্যা নিয়ে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। তবে সরকারিভাবে কৃষকদের ভর্তুকি হিসেবে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব ও উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে উত্থাপন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত